নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বেশি দায়ী উন্নত দেশগুলো। এর বিপরীতে জলবায়ু ঝুঁকিজনিত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনুন্নত দেশগুলো। এই ক্ষতি প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য উন্নত দেশগুলোর থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জলবায়ু অর্থায়ন পাওয়ার কথা ছোট দেশগুলোর।
কিন্তু সেখানে ক্ষতিপূরণের নামে বেশির ভাগই পাওয়া যায় ঋণ। গত ১৪ বছরে দেশে এই ঋণের সমষ্টিগত পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। এতে মাথাপিছু জলবায়ু ঋণের পরিমাণ ৭৯ দশমিক ৬১ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ হাজার ৪৮৫ টাকা। ঋণভারের এ হিসাব ২০২২ সালের। যদিও ২০০৮ সালে বাংলাদেশের জনগণের ওপর জলবায়ু-সংক্রান্ত কোনো ঋণ ছিল না।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ (সিআই) আয়োজিত একটি জাতীয় সংলাপের আলোচনায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধে এমন তথ্য উঠে আসে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আলোচনায় ‘জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায়বিচার ও সমতা: বাংলাদেশ এবং অন্যান্য এলডিসির জন্য জলবায়ু ঋণের ফাঁদের ঝুঁকি’ শীর্ষক প্রতিবেদন তুলে ধরেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে মোট ঋণ দাঁড়ায় ৩৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। মাথাপিছু ঋণ দাঁড়ায় ২ দশমিক ৩২ ডলারে। এভাবে ২০১০ সালে মাথাপিছু ঋণ বেড়ে হয় ৩ দশমিক ৩২ ডলার, ২০১১ সালে ৪ দশমিক ৪৮ ডলার। ২০১২ সালে সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৯১ ডলারে।
তবে পরের বছরেই মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়। এরপর দ্রুতগতিতে কয়েক গুণ করে বেড়েছে। ২০১৩ সালে একলাফে জলবায়ু ঋণ ওঠে ১৪ দশমিক ৪২ ডলারে। এরপর ২০১৪ সালে ২৫ দশমিক ৬১, ২০১৫ সালে ৩৪ দশমিক ৫৫, ২০১৬ সালে ৪০ দশমিক ৭৮, ২০১৭ সালে ৪৪ দশমিক ৫১, ২০১৮ সালে ৫৭ দশমিক ২২, ২০১৯ সালে ৬৩ দশমিক ৯৩, ২০২০ সালে ৭২ দশমিক ১৭ এবং ২০২১ ও ২০২২ সালে অপরিবর্তিত ৭৯ দশমিক ৬১ ডলার মাথাপিছু ঋণ দাঁড়িয়েছে।
জাকির হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু অর্থায়নের ১ ডলার অনুদান পেলে তার ৯৫ সেন্টই আসলে ঋণ হিসেবে পায়। এই ধারা আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে যখন বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাবে। প্রতিশ্রুত আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলের মাত্র ৩০ দশমিক ৭৪ শতাংশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে, যা অভিযোজন এবং প্রশমন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য খুব কম।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের টেকনিক্যাল কমিটি ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফিন্যান্স প্রোপোজাল ইভালুয়েশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ না করেও আমরা (এলডিসি) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, এটা অবিচার। আবার যখন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা, তখন আমাদের দেওয়া হয় ঋণ। সেটাও আবার ৯০: ১০ অনুপাতে। অর্থাৎ জলবায়ু অর্থায়নের ভেতরেই আমরা একটা গুরুতর অবিচারের মধ্যে আছি।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন অবশ্যই ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে হতে হবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের ওপর অযৌক্তিক ঋণের বোঝা চাপানো না হয়, যাদের জলবায়ু সংকট তৈরিতে কোনো ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শুধু ঋণ নয়, অনুদানের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বেশি দায়ী উন্নত দেশগুলো। এর বিপরীতে জলবায়ু ঝুঁকিজনিত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনুন্নত দেশগুলো। এই ক্ষতি প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য উন্নত দেশগুলোর থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জলবায়ু অর্থায়ন পাওয়ার কথা ছোট দেশগুলোর।
কিন্তু সেখানে ক্ষতিপূরণের নামে বেশির ভাগই পাওয়া যায় ঋণ। গত ১৪ বছরে দেশে এই ঋণের সমষ্টিগত পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। এতে মাথাপিছু জলবায়ু ঋণের পরিমাণ ৭৯ দশমিক ৬১ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ হাজার ৪৮৫ টাকা। ঋণভারের এ হিসাব ২০২২ সালের। যদিও ২০০৮ সালে বাংলাদেশের জনগণের ওপর জলবায়ু-সংক্রান্ত কোনো ঋণ ছিল না।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ (সিআই) আয়োজিত একটি জাতীয় সংলাপের আলোচনায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধে এমন তথ্য উঠে আসে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আলোচনায় ‘জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায়বিচার ও সমতা: বাংলাদেশ এবং অন্যান্য এলডিসির জন্য জলবায়ু ঋণের ফাঁদের ঝুঁকি’ শীর্ষক প্রতিবেদন তুলে ধরেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে মোট ঋণ দাঁড়ায় ৩৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। মাথাপিছু ঋণ দাঁড়ায় ২ দশমিক ৩২ ডলারে। এভাবে ২০১০ সালে মাথাপিছু ঋণ বেড়ে হয় ৩ দশমিক ৩২ ডলার, ২০১১ সালে ৪ দশমিক ৪৮ ডলার। ২০১২ সালে সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৯১ ডলারে।
তবে পরের বছরেই মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়। এরপর দ্রুতগতিতে কয়েক গুণ করে বেড়েছে। ২০১৩ সালে একলাফে জলবায়ু ঋণ ওঠে ১৪ দশমিক ৪২ ডলারে। এরপর ২০১৪ সালে ২৫ দশমিক ৬১, ২০১৫ সালে ৩৪ দশমিক ৫৫, ২০১৬ সালে ৪০ দশমিক ৭৮, ২০১৭ সালে ৪৪ দশমিক ৫১, ২০১৮ সালে ৫৭ দশমিক ২২, ২০১৯ সালে ৬৩ দশমিক ৯৩, ২০২০ সালে ৭২ দশমিক ১৭ এবং ২০২১ ও ২০২২ সালে অপরিবর্তিত ৭৯ দশমিক ৬১ ডলার মাথাপিছু ঋণ দাঁড়িয়েছে।
জাকির হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু অর্থায়নের ১ ডলার অনুদান পেলে তার ৯৫ সেন্টই আসলে ঋণ হিসেবে পায়। এই ধারা আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে যখন বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাবে। প্রতিশ্রুত আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলের মাত্র ৩০ দশমিক ৭৪ শতাংশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে, যা অভিযোজন এবং প্রশমন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য খুব কম।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের টেকনিক্যাল কমিটি ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফিন্যান্স প্রোপোজাল ইভালুয়েশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ না করেও আমরা (এলডিসি) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, এটা অবিচার। আবার যখন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা, তখন আমাদের দেওয়া হয় ঋণ। সেটাও আবার ৯০: ১০ অনুপাতে। অর্থাৎ জলবায়ু অর্থায়নের ভেতরেই আমরা একটা গুরুতর অবিচারের মধ্যে আছি।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন অবশ্যই ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে হতে হবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের ওপর অযৌক্তিক ঋণের বোঝা চাপানো না হয়, যাদের জলবায়ু সংকট তৈরিতে কোনো ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শুধু ঋণ নয়, অনুদানের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতে হবে।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১৪ ঘণ্টা আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর...
২ দিন আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে।
৩ দিন আগে