অক্টোবর থেকে সুপারশপে, নভেম্বরে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ০৮
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০: ০৬

আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে এবং ১ নভেম্বর থেকে সব কাঁচাবাজারে পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেছেন, ‘পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিনের ব্যাগ ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা আছে, সেটি কার্যকর করতে আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে এবং ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারগুলোতে আইনের প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। একই সঙ্গে ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন যারা উৎপাদন করে, সেখানে আমরা অভিযান পরিচালনা শুরু করব।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার বণিক সমিতির অফিসে পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে পলিথিন শপিং ব্যাগ, পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি সামগ্রীর ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টাউন হল কাঁচাবাজারে ক্লিনআপ কার্যক্রম উদ্বোধন এবং বাজারে পলিথিনের বিকল্প সামগ্রী বিতরণ, বাজারে বিদ্যমান পলিথিন ব্যাগসহ অন্যান্য পলিথিনজাত প্যাকেজিং সংগ্রহের জন্য বিন ও স্থায়ী নোটিশ বোর্ড স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ঢাকার সুপারশপগুলোতে প্লাস্টিক ও পলিপ্রপাইলিনের ব্যাগ আর ব্যবহার বন্ধ সরকারের একক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এটি সুপারশপগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা হবে। এ জন্য বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনসহ ২০-২৫টি প্রতিষ্ঠান পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ তাদের সরবরাহ করবে। ইতিমধ্যে সুপারশপগুলো তাদের চাহিদা দিয়েছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাগের জোগানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কাঁচাবাজারগুলো যাতে আর পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার না করে, সে জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এটা নতুন করে নিষেধ করার কিছু নেই। এটা ২০০২ সাল থেকে আইন করে নিষিদ্ধ করা আছে। বিভিন্ন সময়ে পলিথিন উৎপাদনকারী বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু মার্কেটে কখনো অভিযান চালানো হয়নি। ফলে মার্কেটগুলো দেদার পলিথিন এনেছে এবং পলিথিনে পণ্য দিয়েছে।

এ সময় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, উপপরিচালক, মোহাম্মদপুর টাউন হল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার বণিক সমিতির সভাপতিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত