সিলেট ও ঢাকায় ভূমিকম্প
সৌগত বসু, ঢাকা
রাজধানী ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ২৩ মিনিটে মাঝারি মানের এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ১। এই নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে চারবার কাঁপল বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুবারের মাত্রা ছিল পাঁচ বা তার বেশি। এতে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা।
ভূমিকম্পপ্রবণ বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত তিন মাসে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার অর্ধশতাধিকের বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে দেড় শতাধিকের বেশি, যা আশঙ্কাজনক।
চলতি মাসের শুরুর সপ্তাহে বাংলাদেশে পরপর তিনটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রথম ভূমিকম্পটি ৩ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫ মিনিটে অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম এলাকায়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
এর পরদিন ৪ জানুয়ারি সকাল ৭টা ২৮ মিনিটে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি ঘটে। এটি রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ছিল এবং উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের চীন সীমান্তের কাছে। এরপর ৭ জানুয়ারি সকাল ৭টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল চীনের জিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল), যা ঢাকা থেকে প্রায় ৬১৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১ এবং উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতের ভূমিকম্প সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, এর উৎপত্তিস্থল ভারতের মণিপুর রাজ্যের ওয়াংজিং অঞ্চল থেকে ১০৬ কিলোমিটার পূর্বে মিয়ানমারের সাগাইং এলাকায়। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১২৬ কিলোমিটারের বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র বলছে, বৃহস্পতিবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঢাকা থেকে ৪৮৯ কিলোমিটার দূরে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃদু মাত্রার এসব ভূমিকম্প ইঙ্গিত দেয়, সামনে বড় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে যার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চেয়ে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ভূমিকম্পের মূল যে জায়গা ধরা হয়, সেটি হচ্ছে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল; যা সিলেটের অন্তর্গত। এই অঞ্চল টেকটোনিক প্লেটের কাছাকাছি। এ ছাড়া আসাম, শিলংয়ে প্লেট আছে। এসব জায়গায় ভূমিকম্প হলে সেটির প্রভাব পড়ে দেশের মধ্যে। তবে এমন ছোট ছোট ভূমিকম্পের ধারাবাহিকতায় হঠাৎ বড় ভূমিকম্প হবে কি না, সেটি নিয়ে আগে থেকেই কিছু বলা যাবে না।
এর আগে ৭ জানুয়ারি সকালে অনুভূত হওয়া রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত হয় শতাধিক মানুষ। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের বেশ কিছু অংশেও একই সময় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে এই অঞ্চলে ভূমিকম্প বেশ সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ভেতরে ও সীমান্তের কাছাকাছি ৫টি ফল্ট জোন সক্রিয় আছে। এগুলো হলো বগুড়া ফল্ট জোন, ত্রিপুরা ফল্ট জোন, ডাউকি ফল্ট জোন, আসাম ফল্ট জোন এবং শিলং মালভূমি ফল্ট জোন। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হতে পারে ডাউকি ফল্ট জোন।
যত ক্ষতির শঙ্কা
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিলেটের ফল্ট লাইনে দিনের বেলা ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হলে কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৫ ভবন ধসে পড়তে পারে। ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। এতে আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার সমমূল্যের।
বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে ক্রমশই ঝুঁকির মুখে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, শত বছর ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্লেটে বড় ভূমিকম্প না হওয়ায় সেখানে বিপুল শক্তি সঞ্চিত হয়েছে। এর ফলে যেকোনো মুহূর্তে ৮ থেকে ৯ মাত্রার বিধ্বংসী ভূমিকম্প হতে পারে, যা ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে আনবে। মৃত্যুর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বর্তমানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, এমন ছোট ছোট ভূমিকম্প মূলত বড় শক্তি নিয়ে ভূমিকম্প হওয়ার প্রাথমিক ধাপ। এই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্পের শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে। আর বড় কোনো কিছু হলে আগে ছোট কিছু বিষয় ধরা পড়ে।
ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশে থাকা প্লেট ও ফল্টগুলো থেকে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। কিন্তু কোনো গবেষণা ছাড়া এটা সুনিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। আবার অনেকে বলেন, ১২০ বা ১৫০ বছর পর বড় ভূমিকম্প হবে, সেটাও নিশ্চিত নয়।
রাজধানী ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ২৩ মিনিটে মাঝারি মানের এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ১। এই নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে চারবার কাঁপল বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুবারের মাত্রা ছিল পাঁচ বা তার বেশি। এতে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা।
ভূমিকম্পপ্রবণ বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত তিন মাসে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার অর্ধশতাধিকের বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে দেড় শতাধিকের বেশি, যা আশঙ্কাজনক।
চলতি মাসের শুরুর সপ্তাহে বাংলাদেশে পরপর তিনটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রথম ভূমিকম্পটি ৩ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫ মিনিটে অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম এলাকায়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
এর পরদিন ৪ জানুয়ারি সকাল ৭টা ২৮ মিনিটে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি ঘটে। এটি রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ছিল এবং উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের চীন সীমান্তের কাছে। এরপর ৭ জানুয়ারি সকাল ৭টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল চীনের জিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল), যা ঢাকা থেকে প্রায় ৬১৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১ এবং উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতের ভূমিকম্প সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, এর উৎপত্তিস্থল ভারতের মণিপুর রাজ্যের ওয়াংজিং অঞ্চল থেকে ১০৬ কিলোমিটার পূর্বে মিয়ানমারের সাগাইং এলাকায়। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১২৬ কিলোমিটারের বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র বলছে, বৃহস্পতিবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঢাকা থেকে ৪৮৯ কিলোমিটার দূরে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃদু মাত্রার এসব ভূমিকম্প ইঙ্গিত দেয়, সামনে বড় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে যার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চেয়ে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ভূমিকম্পের মূল যে জায়গা ধরা হয়, সেটি হচ্ছে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল; যা সিলেটের অন্তর্গত। এই অঞ্চল টেকটোনিক প্লেটের কাছাকাছি। এ ছাড়া আসাম, শিলংয়ে প্লেট আছে। এসব জায়গায় ভূমিকম্প হলে সেটির প্রভাব পড়ে দেশের মধ্যে। তবে এমন ছোট ছোট ভূমিকম্পের ধারাবাহিকতায় হঠাৎ বড় ভূমিকম্প হবে কি না, সেটি নিয়ে আগে থেকেই কিছু বলা যাবে না।
এর আগে ৭ জানুয়ারি সকালে অনুভূত হওয়া রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত হয় শতাধিক মানুষ। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের বেশ কিছু অংশেও একই সময় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে এই অঞ্চলে ভূমিকম্প বেশ সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ভেতরে ও সীমান্তের কাছাকাছি ৫টি ফল্ট জোন সক্রিয় আছে। এগুলো হলো বগুড়া ফল্ট জোন, ত্রিপুরা ফল্ট জোন, ডাউকি ফল্ট জোন, আসাম ফল্ট জোন এবং শিলং মালভূমি ফল্ট জোন। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হতে পারে ডাউকি ফল্ট জোন।
যত ক্ষতির শঙ্কা
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিলেটের ফল্ট লাইনে দিনের বেলা ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হলে কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৫ ভবন ধসে পড়তে পারে। ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। এতে আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার সমমূল্যের।
বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে ক্রমশই ঝুঁকির মুখে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, শত বছর ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্লেটে বড় ভূমিকম্প না হওয়ায় সেখানে বিপুল শক্তি সঞ্চিত হয়েছে। এর ফলে যেকোনো মুহূর্তে ৮ থেকে ৯ মাত্রার বিধ্বংসী ভূমিকম্প হতে পারে, যা ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে আনবে। মৃত্যুর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বর্তমানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, এমন ছোট ছোট ভূমিকম্প মূলত বড় শক্তি নিয়ে ভূমিকম্প হওয়ার প্রাথমিক ধাপ। এই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্পের শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে। আর বড় কোনো কিছু হলে আগে ছোট কিছু বিষয় ধরা পড়ে।
ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশে থাকা প্লেট ও ফল্টগুলো থেকে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। কিন্তু কোনো গবেষণা ছাড়া এটা সুনিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। আবার অনেকে বলেন, ১২০ বা ১৫০ বছর পর বড় ভূমিকম্প হবে, সেটাও নিশ্চিত নয়।
মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আজ থেকে আগামী দুদিন দেশের কয়েক বিভাগে হালকা বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে...
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার বাতাসে দূষণ আজও অস্বাস্থ্যকর। গতকাল শুক্রবারের তুলনায় দূষণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকায় বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ২২৫। সকালের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের ১২৫টি দেশের মধ্যে দূষিত বাতাসের শহর হিসেবে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়।
১০ ঘণ্টা আগেজলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে প্রকৃতি ও মানুষ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে—এ কথা দশকের পর দশক ধরে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে মানুষ ও প্রকৃতি এই বিপন্নতার মধ্যে আছে। পরিবেশ বিপর্যয় মানুষের জন্য হচ্ছে, কাজেই মানুষকে এ বিপর্যয় রোধে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে
১ দিন আগেপরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
১ দিন আগে