অনলাইন ডেস্ক
ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লোরেন এলাকায় পরিত্যক্ত একটি কয়লাখনিতে জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজ করছিলেন দুই বিজ্ঞানী। কিন্তু এই অনুসন্ধানে তাঁরা এমন কিছু পেয়ে গেছেন, যা ছিল কল্পনারও অতীত।
গতকাল রোববার প্রকাশিত সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত ওই কয়লাখনিতে শ্বেত হাইড্রোজেনের খোঁজ পেয়েছেন ওই গবেষকেরা। ‘শ্বেত শক্তি’ খ্যাত এই হাইড্রোজেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, লোরেনের যে খনিতে শ্বেত হাইড্রোজেন পাওয়া গেছে, তা পৃথিবীতে পাওয়া মূল্যবান এই খনিজের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ভান্ডার হতে পারে।
লোরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা অনুমান করছেন, নতুন ক্ষেত্রটিতে প্রায় ৪৬০ লাখ টন শ্বেত হাইড্রোজেন মজুত রয়েছে। অনুমান সঠিক হলে পরিবেশদূষণ করে—এমন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারে গোটা ইউরোপ। বলা যায়, এক খনি দিয়েই ইউরোপে ফ্রান্সের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে।
শ্বেত হাইড্রোজেন হলো প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনেরই একটি রূপ; যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি সোনালি হাইড্রোজেন নামেও পরিচিত। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই আণবিক হাইড্রোজেন মাটির নিচে পাওয়া যায়। মূলত ভূগর্ভস্থ জলাধারে মূল্যবান এই বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়।
আরেকটি বিষয় হলো, কারখানায় হাইড্রোজেন তৈরিতে বিপুল খরচ হলেও প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রে তেমন খরচ নেই। খুব কম খরচেই এই খনিজ উত্তোলন ও সংগ্রহ করা যায়।
বিভিন্ন ধরনের হাইড্রোজেনকে চিহ্নিত করতে রংধনুর কয়েকটি রঙের নাম ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে ‘ধূসর হাইড্রোজেন’ মিথেন দিয়ে গঠিত এবং ‘বাদামি হাইড্রোজেন’ তৈরি হয় কয়লা থেকে। ‘নীল হাইড্রোজেন’ ধূসরের মতোই। তবে পৃথিবীর উত্তাপ এটিকে বায়ুমণ্ডলে মুক্ত হওয়ার আগেই শোষণ করে ফেলে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বর্তমানে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় জ্বালানি হলো ‘সবুজ’ হাইড্রোজেন। নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে পানিকে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনে বিভক্ত করে এটি তৈরি করা হয়। তবে এর উৎপাদন অনেক কম এবং ব্যয়বহুল।
এ কারণেই বিজ্ঞানীরা শ্বেত হাইড্রোজেনের ওপর ভরসা করছেন। কারণ, বিশ্বে এটি বিপুল পরিমাণে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভবিষ্যতে মহামূল্যবান এই শ্বেত হাইড্রোজেন সবচেয়ে সহজলভ্য ও কার্যকর জ্বালানির উৎস হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বস্তুটি প্রকৃতিতে এত কম পরিমাণে পাওয়া যায় যে তা ব্যবহারের সুযোগ খুবই কম থাকে। এর আগে ফ্রান্সসহ আরও বেশ কিছু জায়গায় এটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে আমেরিকা ও মালির অনেকগুলো ভূগর্ভস্থ জলাধারে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের খোঁজ পাওয়া গেলেও পরিমাণে কম থাকায় সেগুলো উত্তোলনের উপযোগী ছিল না।
লোরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, নতুন আবিষ্কৃত হাইড্রোজেনের ভান্ডার পরিমাণে এত বেশি যে এটিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। তবে বিষয়টি নিয়ে গবেষকদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হবে। পরিত্যক্ত কয়লা খনিটির ৩ হাজার মিটার গভীরেও এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। গবেষণার জন্য এরই মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারেরা এগিয়ে এসেছেন। আগামী বছরের শুরুর দিকে জোর অনুসন্ধান চালাবে গবেষক দলটি।
ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লোরেন এলাকায় পরিত্যক্ত একটি কয়লাখনিতে জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজ করছিলেন দুই বিজ্ঞানী। কিন্তু এই অনুসন্ধানে তাঁরা এমন কিছু পেয়ে গেছেন, যা ছিল কল্পনারও অতীত।
গতকাল রোববার প্রকাশিত সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত ওই কয়লাখনিতে শ্বেত হাইড্রোজেনের খোঁজ পেয়েছেন ওই গবেষকেরা। ‘শ্বেত শক্তি’ খ্যাত এই হাইড্রোজেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, লোরেনের যে খনিতে শ্বেত হাইড্রোজেন পাওয়া গেছে, তা পৃথিবীতে পাওয়া মূল্যবান এই খনিজের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ভান্ডার হতে পারে।
লোরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা অনুমান করছেন, নতুন ক্ষেত্রটিতে প্রায় ৪৬০ লাখ টন শ্বেত হাইড্রোজেন মজুত রয়েছে। অনুমান সঠিক হলে পরিবেশদূষণ করে—এমন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারে গোটা ইউরোপ। বলা যায়, এক খনি দিয়েই ইউরোপে ফ্রান্সের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে।
শ্বেত হাইড্রোজেন হলো প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনেরই একটি রূপ; যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি সোনালি হাইড্রোজেন নামেও পরিচিত। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই আণবিক হাইড্রোজেন মাটির নিচে পাওয়া যায়। মূলত ভূগর্ভস্থ জলাধারে মূল্যবান এই বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়।
আরেকটি বিষয় হলো, কারখানায় হাইড্রোজেন তৈরিতে বিপুল খরচ হলেও প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রে তেমন খরচ নেই। খুব কম খরচেই এই খনিজ উত্তোলন ও সংগ্রহ করা যায়।
বিভিন্ন ধরনের হাইড্রোজেনকে চিহ্নিত করতে রংধনুর কয়েকটি রঙের নাম ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে ‘ধূসর হাইড্রোজেন’ মিথেন দিয়ে গঠিত এবং ‘বাদামি হাইড্রোজেন’ তৈরি হয় কয়লা থেকে। ‘নীল হাইড্রোজেন’ ধূসরের মতোই। তবে পৃথিবীর উত্তাপ এটিকে বায়ুমণ্ডলে মুক্ত হওয়ার আগেই শোষণ করে ফেলে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বর্তমানে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় জ্বালানি হলো ‘সবুজ’ হাইড্রোজেন। নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে পানিকে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনে বিভক্ত করে এটি তৈরি করা হয়। তবে এর উৎপাদন অনেক কম এবং ব্যয়বহুল।
এ কারণেই বিজ্ঞানীরা শ্বেত হাইড্রোজেনের ওপর ভরসা করছেন। কারণ, বিশ্বে এটি বিপুল পরিমাণে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভবিষ্যতে মহামূল্যবান এই শ্বেত হাইড্রোজেন সবচেয়ে সহজলভ্য ও কার্যকর জ্বালানির উৎস হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বস্তুটি প্রকৃতিতে এত কম পরিমাণে পাওয়া যায় যে তা ব্যবহারের সুযোগ খুবই কম থাকে। এর আগে ফ্রান্সসহ আরও বেশ কিছু জায়গায় এটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে আমেরিকা ও মালির অনেকগুলো ভূগর্ভস্থ জলাধারে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের খোঁজ পাওয়া গেলেও পরিমাণে কম থাকায় সেগুলো উত্তোলনের উপযোগী ছিল না।
লোরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, নতুন আবিষ্কৃত হাইড্রোজেনের ভান্ডার পরিমাণে এত বেশি যে এটিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। তবে বিষয়টি নিয়ে গবেষকদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হবে। পরিত্যক্ত কয়লা খনিটির ৩ হাজার মিটার গভীরেও এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। গবেষণার জন্য এরই মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারেরা এগিয়ে এসেছেন। আগামী বছরের শুরুর দিকে জোর অনুসন্ধান চালাবে গবেষক দলটি।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আজকে দিনের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে শেষরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
১৩ ঘণ্টা আগেবায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বর ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূ
১৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১ দিন আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
২ দিন আগে