অনলাইন ডেস্ক
কলম্বিয়ার প্রয়াত মাদক সম্রাট ও রাজনীতিবিদ পাবলো এসকোবারের আনা চারটি জলহস্তীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৯-এ। এখন এরা দেশের কয়েকটি নদীতে রাজত্ব করার পাশাপাশি মানুষ ও গবাদিপশুর ওপরও আক্রমণ চালাচ্ছে। গত নভেম্বরে কলম্বিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাস্তুসংস্থানে ক্ষতিকর ভূমিকা রাখা এই জলহস্তীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে একটি পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়।
পাবলো এসকোবার গত শতকের আশির দশকে বেআইনিভাবে এসব জলহস্তী আমদানি করেন। এগুলোই বংশবিস্তার করে মানুষকে আক্রমণ করা শুরু করে। এই জলহস্তীরা এসকোবারের ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা থেকে কাছের নদীতে চলে যায়। এদের কোনো প্রাকৃতিক শত্রু না থাকায় ইচ্ছামতো সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। কলম্বিয়া সরকারের পক্ষ থেকে ইকোসিস্টেমের ক্ষতি করা আগ্রাসী প্রজাতি ঘোষণা করা হয় এদের। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে।
১৯৯৩ সালে এসকোবারের মৃত্যুর পর তাঁর এস্টেট হাচিয়েন্দা নাপোলেস পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বেশির ভাগ প্রাণী নদীতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে বংশবিস্তার করতে থাকে। ফলে কলম্বিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয় গত নভেম্বর থেকে এদের বন্ধ্যাকরণ শুরু করে।
‘এরা খুব খুব বিপজ্জনক। জলহস্তী গুলি মানুষকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে।’ স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন ফক্স নিউজকে।
অন্যরা প্রজাতিটি আচরণ আগেভাগে অনুমান করা যায় না এমন কিংবা আক্রমণাত্মক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের মত আপনি যদি একটির মুখোমুখি হন তবে সর্বোত্তম পদক্ষেপটি হলো লুকিয়ে পড়া।
পাবলো হেচিন্দা নেপোলেস এস্টেটে নিজের ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা গড়ে তোলেন ১৯৮০-র দশকে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের এক চিড়িয়াখানা থেকে ১ হাজার ৯০০ পশু-পাখি কেনেন। এদের মধ্যে ছিল চারটি জলহস্তী, বংশবিস্তার করে এই জলহস্তীর সংখ্যা এখন ১৬৯।
গত নভেম্বরে দুটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী জলহস্তীর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বন্ধ্যাকরণ হয়েছে বলে পরিবেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এটি ইচ্ছামতো বিভিন্ন নদীতে দাবড়ে বেড়ানো ১৬৯টি জলহস্তীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের একটি বৃহত্তর সরকারি প্রচেষ্টার অংশ। পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বছরে ৪০টি জলহস্তীকে বন্ধ্যা করা, তাদের কিছুকে অন্য দেশে স্থানান্তর করা এমনকি যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর কথাও ভাবা হচ্ছে।
তবে কথা হলো, বন্ধ্যাকরণ একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। কারণ আক্রমণাত্মক এই তিন টন ওজনের প্রাণীকে চিহ্নিত করা এবং ধরাটা জটিল। পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা পরিবেশ কার্যালয়ের ডেভিড এচেভেরি লোপেজ এক ভিডিওতে বলেন।
এই এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি পশুগুলিকে ধরা আরও কঠিন করে তুলেছে। বেশি ঘাসের অর্থ তাদের জন্য প্রচুর খাবার আছে। কাজেই ফাঁদ পেতে তাদের ধরাটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান ডেভিড এচেভেরি লোপেজ।
কলম্বিয়ার সরকারের অনুমান বর্তমানে ১৬৯টি জলহস্তী আছে সেখানকার নদী গুলিতে। এগুলোর বেশির ভাগ মাগদালেনা নদী ও এর আশপাশের এলাকায় থাকে। ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ২০৩৫ সালে সংখ্যাটি গিয়ে ঠেকতে পারে ১০০০-এ।
পরিকল্পনাটি যখন প্রথম ঘোষণা করা হয় তখন পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানায় প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল। প্রতিটি বন্ধ্যাকরণে খরচ পড়বে ৯ হাজার ৮০০ ডলার।
মেক্সিকোর কুইনতানা রু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজিস্ট ও ২০২১ সালের একটি গ্রুপ স্টাডির প্রধান লেখক নাটালি কাস্তব্লাঙ্কো-মার্টিনেজ তখন সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছিলেন যে জলহস্তী সংকট বিশ্বের আগ্রাসী প্রজাতি গুলির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গুলির একটি। ওই গবেষণায় কিছু প্রাণীকে প্রয়োজনে মেরে ফেলার কথাও বলা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন জলহস্তীর বন্ধ্যাকরণই যথেষ্ট হবে না এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে। ফিলিপাইন, মেক্সিকো ও ভারতে কিছু প্রাণী পাঠানোর কথাও জানিয়েছে সরকার।
কলম্বিয়ার প্রয়াত মাদক সম্রাট ও রাজনীতিবিদ পাবলো এসকোবারের আনা চারটি জলহস্তীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৯-এ। এখন এরা দেশের কয়েকটি নদীতে রাজত্ব করার পাশাপাশি মানুষ ও গবাদিপশুর ওপরও আক্রমণ চালাচ্ছে। গত নভেম্বরে কলম্বিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাস্তুসংস্থানে ক্ষতিকর ভূমিকা রাখা এই জলহস্তীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে একটি পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়।
পাবলো এসকোবার গত শতকের আশির দশকে বেআইনিভাবে এসব জলহস্তী আমদানি করেন। এগুলোই বংশবিস্তার করে মানুষকে আক্রমণ করা শুরু করে। এই জলহস্তীরা এসকোবারের ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা থেকে কাছের নদীতে চলে যায়। এদের কোনো প্রাকৃতিক শত্রু না থাকায় ইচ্ছামতো সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। কলম্বিয়া সরকারের পক্ষ থেকে ইকোসিস্টেমের ক্ষতি করা আগ্রাসী প্রজাতি ঘোষণা করা হয় এদের। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে।
১৯৯৩ সালে এসকোবারের মৃত্যুর পর তাঁর এস্টেট হাচিয়েন্দা নাপোলেস পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বেশির ভাগ প্রাণী নদীতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে বংশবিস্তার করতে থাকে। ফলে কলম্বিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয় গত নভেম্বর থেকে এদের বন্ধ্যাকরণ শুরু করে।
‘এরা খুব খুব বিপজ্জনক। জলহস্তী গুলি মানুষকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে।’ স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন ফক্স নিউজকে।
অন্যরা প্রজাতিটি আচরণ আগেভাগে অনুমান করা যায় না এমন কিংবা আক্রমণাত্মক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের মত আপনি যদি একটির মুখোমুখি হন তবে সর্বোত্তম পদক্ষেপটি হলো লুকিয়ে পড়া।
পাবলো হেচিন্দা নেপোলেস এস্টেটে নিজের ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা গড়ে তোলেন ১৯৮০-র দশকে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের এক চিড়িয়াখানা থেকে ১ হাজার ৯০০ পশু-পাখি কেনেন। এদের মধ্যে ছিল চারটি জলহস্তী, বংশবিস্তার করে এই জলহস্তীর সংখ্যা এখন ১৬৯।
গত নভেম্বরে দুটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী জলহস্তীর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বন্ধ্যাকরণ হয়েছে বলে পরিবেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এটি ইচ্ছামতো বিভিন্ন নদীতে দাবড়ে বেড়ানো ১৬৯টি জলহস্তীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের একটি বৃহত্তর সরকারি প্রচেষ্টার অংশ। পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বছরে ৪০টি জলহস্তীকে বন্ধ্যা করা, তাদের কিছুকে অন্য দেশে স্থানান্তর করা এমনকি যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর কথাও ভাবা হচ্ছে।
তবে কথা হলো, বন্ধ্যাকরণ একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। কারণ আক্রমণাত্মক এই তিন টন ওজনের প্রাণীকে চিহ্নিত করা এবং ধরাটা জটিল। পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা পরিবেশ কার্যালয়ের ডেভিড এচেভেরি লোপেজ এক ভিডিওতে বলেন।
এই এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি পশুগুলিকে ধরা আরও কঠিন করে তুলেছে। বেশি ঘাসের অর্থ তাদের জন্য প্রচুর খাবার আছে। কাজেই ফাঁদ পেতে তাদের ধরাটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান ডেভিড এচেভেরি লোপেজ।
কলম্বিয়ার সরকারের অনুমান বর্তমানে ১৬৯টি জলহস্তী আছে সেখানকার নদী গুলিতে। এগুলোর বেশির ভাগ মাগদালেনা নদী ও এর আশপাশের এলাকায় থাকে। ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ২০৩৫ সালে সংখ্যাটি গিয়ে ঠেকতে পারে ১০০০-এ।
পরিকল্পনাটি যখন প্রথম ঘোষণা করা হয় তখন পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানায় প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল। প্রতিটি বন্ধ্যাকরণে খরচ পড়বে ৯ হাজার ৮০০ ডলার।
মেক্সিকোর কুইনতানা রু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজিস্ট ও ২০২১ সালের একটি গ্রুপ স্টাডির প্রধান লেখক নাটালি কাস্তব্লাঙ্কো-মার্টিনেজ তখন সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছিলেন যে জলহস্তী সংকট বিশ্বের আগ্রাসী প্রজাতি গুলির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গুলির একটি। ওই গবেষণায় কিছু প্রাণীকে প্রয়োজনে মেরে ফেলার কথাও বলা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন জলহস্তীর বন্ধ্যাকরণই যথেষ্ট হবে না এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে। ফিলিপাইন, মেক্সিকো ও ভারতে কিছু প্রাণী পাঠানোর কথাও জানিয়েছে সরকার।
প্রাচীন রোম ও চীনে মূত্রকে প্রাকৃতিক সার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সম্প্রতি চীনা বিজ্ঞানীরাও মূত্র ব্যবহার করে সার উৎপাদনের চেষ্টা করছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের কৃষকেরা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি টেকসই কৃষির লক্ষ্যে প্রাচীন চীনা ও রোমক পদ্ধতি আবারও গ্রহণ করছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেফাল্গুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীতের প্রকোপ কমে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। আজ মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে...
১৫ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণ আজ খানিকটা কম হলেও ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। গতকালের তুলনায় দূষণ অনেকটাই কম। বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ৯টায় ঢাকায় বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ১৬৭। গতকাল এই সময়ে বায়ুমান ছিল ২২৫...
১৭ ঘণ্টা আগেমৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আজ থেকে আগামী দুদিন দেশের কয়েক বিভাগে হালকা বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে...
২ দিন আগে