আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে এক আশঙ্কাজনক বার্তা দিল জাতিসংঘ। সংস্থাটির পরিবেশ কর্মসূচি ইউএনইপি বলছে, বর্তমানে ফ্রিজ-এসিসহ শীতলীকরণ যন্ত্রের বাজার ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ এই বাজার দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৬০ হাজার কোটি ডলারের বাজারে পরিণত হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় এই বাজার চার গুণ বড় হবে। এ পরিস্থিতিতে পরিবেশবান্ধব, জ্বালানিসাশ্রয়ী এবং অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী শীতলীকরণ ব্যবস্থা ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
ইউএনইপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে আফ্রিকায়ও বাড়বে শীতলীকরণ যন্ত্রের চাহিদা।
ইউএনইপির নেতৃত্বাধীন কুল কোয়ালিশন এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এ গবেষণা করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, দুর্বল অবকাঠামো, নিম্নমানের প্রবৃদ্ধি এবং ভারসাম্যহীন অর্থনীতি ও ব্যক্তিগত আয়ের কারণে বিশ্বজুড়ে শীতলীকরণ যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে কার্বন নিঃসারণ বেড়েছে। শীতলীকরণ যন্ত্র ব্যবহারের কারণে এখন যে কার্বন নিঃসারণ হচ্ছে, তা মোট নিঃসারণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। ২০৫০ সাল নাগাদ জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি এবং নগরায়ণের কারণে এমন এসি-ফ্রিজজাতীয় পণ্যের
চাহিদা আরও বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে এই কার্বন নিঃসারণ দ্বিগুণ হবে।
এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই গবেষণায়। বলা হয়েছে, এই নির্দেশনা অনুসরণ করা সম্ভব হলে ২০৫০ সাল নাগাদ চাহিদা অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এর মধ্যে রয়েছে শীতলীকরণ যন্ত্রে সঠিক অন্তরক ব্যবহার করা, যাতে যে এলাকা বা কক্ষের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, সেখানে তাপ ঢুকতে বা বের না হতে পারে। বনায়ন বাড়ানো, জ্বালানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও বলেছেন তাঁরা। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব ফেলবে না শীতলীকরণ যন্ত্রে এমন রেফ্রিজারেন্ট (একধরনের তরল, যা দিয়ে এসি-ফ্রিজ ঠান্ডা করার কার্যক্রমটি চলে) ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন গবেষকেরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ খাতে ইতিমধ্যে বিশ্বের বিদ্যুতের এক-পঞ্চমাংশ খরচ হয় এবং ২০৫০ সাল নাগাদ উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, ফসল ও ভ্যাকসিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলো নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে এসি-ফ্রিজের মতো শীতলীকরণ যন্ত্রের যে চাহিদা, তার মধ্যে একটি ভারসাম্য প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে আইএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাখতার দিওপ বলেন, টেকসই শীতলীকরণ যে বাজার রয়েছে, সেটা প্রায় ৬০ হাজার কোটি ডলারের। বেসরকারি বাণিজ্য খাতে এই বাজার ধরতে পারে। এ থেকে অন্তত ৮ ট্রিলিয়ন ডলার মুনাফা করা সম্ভব উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিস্থিতি তুলে ধরে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এসব দেশে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ফ্রিজ-এসির মতো শীতলীকরণ যন্ত্রের চাহিদা বাড়ছে।
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জার অ্যান্ডারসেন বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রার রেকর্ড ক্রমেই ভেঙে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ উভয়ের জন্যই শীতল রাখা অপরিহার্য। তবে আমাদের পৃথিবীকে আরও উত্তপ্ত করে না এমন সমাধানের মাধ্যমে শীতল করার চাহিদা পূরণ অবশ্যই এড়াতে হবে।’
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে এক আশঙ্কাজনক বার্তা দিল জাতিসংঘ। সংস্থাটির পরিবেশ কর্মসূচি ইউএনইপি বলছে, বর্তমানে ফ্রিজ-এসিসহ শীতলীকরণ যন্ত্রের বাজার ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ এই বাজার দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৬০ হাজার কোটি ডলারের বাজারে পরিণত হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় এই বাজার চার গুণ বড় হবে। এ পরিস্থিতিতে পরিবেশবান্ধব, জ্বালানিসাশ্রয়ী এবং অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী শীতলীকরণ ব্যবস্থা ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
ইউএনইপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে আফ্রিকায়ও বাড়বে শীতলীকরণ যন্ত্রের চাহিদা।
ইউএনইপির নেতৃত্বাধীন কুল কোয়ালিশন এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এ গবেষণা করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, দুর্বল অবকাঠামো, নিম্নমানের প্রবৃদ্ধি এবং ভারসাম্যহীন অর্থনীতি ও ব্যক্তিগত আয়ের কারণে বিশ্বজুড়ে শীতলীকরণ যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে কার্বন নিঃসারণ বেড়েছে। শীতলীকরণ যন্ত্র ব্যবহারের কারণে এখন যে কার্বন নিঃসারণ হচ্ছে, তা মোট নিঃসারণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। ২০৫০ সাল নাগাদ জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি এবং নগরায়ণের কারণে এমন এসি-ফ্রিজজাতীয় পণ্যের
চাহিদা আরও বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে এই কার্বন নিঃসারণ দ্বিগুণ হবে।
এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই গবেষণায়। বলা হয়েছে, এই নির্দেশনা অনুসরণ করা সম্ভব হলে ২০৫০ সাল নাগাদ চাহিদা অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এর মধ্যে রয়েছে শীতলীকরণ যন্ত্রে সঠিক অন্তরক ব্যবহার করা, যাতে যে এলাকা বা কক্ষের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, সেখানে তাপ ঢুকতে বা বের না হতে পারে। বনায়ন বাড়ানো, জ্বালানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও বলেছেন তাঁরা। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব ফেলবে না শীতলীকরণ যন্ত্রে এমন রেফ্রিজারেন্ট (একধরনের তরল, যা দিয়ে এসি-ফ্রিজ ঠান্ডা করার কার্যক্রমটি চলে) ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন গবেষকেরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ খাতে ইতিমধ্যে বিশ্বের বিদ্যুতের এক-পঞ্চমাংশ খরচ হয় এবং ২০৫০ সাল নাগাদ উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, ফসল ও ভ্যাকসিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলো নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে এসি-ফ্রিজের মতো শীতলীকরণ যন্ত্রের যে চাহিদা, তার মধ্যে একটি ভারসাম্য প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে আইএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাখতার দিওপ বলেন, টেকসই শীতলীকরণ যে বাজার রয়েছে, সেটা প্রায় ৬০ হাজার কোটি ডলারের। বেসরকারি বাণিজ্য খাতে এই বাজার ধরতে পারে। এ থেকে অন্তত ৮ ট্রিলিয়ন ডলার মুনাফা করা সম্ভব উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিস্থিতি তুলে ধরে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এসব দেশে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ফ্রিজ-এসির মতো শীতলীকরণ যন্ত্রের চাহিদা বাড়ছে।
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জার অ্যান্ডারসেন বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রার রেকর্ড ক্রমেই ভেঙে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ উভয়ের জন্যই শীতল রাখা অপরিহার্য। তবে আমাদের পৃথিবীকে আরও উত্তপ্ত করে না এমন সমাধানের মাধ্যমে শীতল করার চাহিদা পূরণ অবশ্যই এড়াতে হবে।’
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
৭ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
৯ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
২১ ঘণ্টা আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
১ দিন আগে