Ajker Patrika

শবে বরাতের তাৎপর্য

ইজাজুল হক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২২, ১৬: ৫৮
শবে বরাতের তাৎপর্য

হিজরি সনের অষ্টম মাস শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি ইসলামে বেশ মর্যাদাপূর্ণ। এ রাতকে লাইলাতুল বারাআত ও শবে বরাত তথা মুক্তির রাত বলে অভিহিত করা হয়। হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন মিন নিসফি শাবান’ বা ‘শাবান মাসের মধ্য দিবসের রাতও বলা হয়েছে। কোরআন-হাদিসে এ রাতের অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘হা মিম, উজ্জ্বল কিতাবের শপথ! নিশ্চয়ই আমি তা এক বরকতময় রাতে নাজিল করেছি; নিশ্চয়ই আমি ছিলাম সতর্ককারী। যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়। এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে, নিশ্চয়ই আমিই দূত পাঠিয়ে থাকি।’ (সুরা দুখান: ১-৫)। হজরত ইকরিমা (রা.) প্রমুখ কয়েকজন তাফসিরবিদ থেকে বর্ণিত আছে, সুরা দুখানের দ্বিতীয় আয়াতে বরকতের রাত বলে শবে বরাতকে বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন) এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন, ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।’ (শুআবুল ইমান)

তাই রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে এবং পরের দিনটি রোজা রেখে কাটানো উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ) এ রাতে কবর জিয়ারত করাও সুন্নত। হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) এ রাতে মদিনার ‘বাকি কবরস্থান’-এ এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফার করতেন। তিনি আরও বলেন, মহানবী (সা.) তাঁকে বলেন, ‘এ রাতে বনি কালবের ভেড়া-বকরির পশমের চেয়েও বেশিসংখ্যক গুনাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।’ (তিরমিজি)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত