সড়কে ডাকাত আতঙ্ক

আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৮: ২১

অরক্ষিত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রায়ই ডাকাতের কবলে পড়ে বাসের যাত্রীদের সব হারাতে হয়। এমনকি জীবননাশের ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। 

টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে গত ৩০ বছরে ১৩টি ডাকাতির ঘটনা দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের হিসাবে ওই সময়ে শুধু ঘাটাইলের দেউলাবাড়ী থেকে মধুপুরের নরকোনা পর্যন্ত সড়কে অর্ধশতাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশ থাকলেও আঞ্চলিক মহাসড়কে নেই। এলেঙ্গা হাইওয়ে ফাঁড়ির ২৮ সদস্যের টহল টিম বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের ১০ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে পুলিশ না থাকায় ঘাটাইল ও মধুপুর অংশ রাতে হয়ে ওঠে অনিরাপদ। এ ছাড়া মধুপুরের পঁচিশমাইল থেকে রসুলপুর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক বনাঞ্চলে ঢাকা। ওই অংশে কয়েক বছর আগেও রাতে পুলিশের পাহারায় যান চলাচল করত। রাতের ওই টহল ব্যবস্থা ও ভাইঘাটের পুলিশ ফাঁড়ি প্রত্যাহার করায় পুরো এলাকা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।

মধুপুরের জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেন, পাঁচ বছর আগে গায়রা গ্রামের বাসন্তী নামের এক শিক্ষক বাস ডাকাতের হামলার শিকার হয়ে মারা যান। বাস ডাকাতেরা তাঁরসহ অন্য যাত্রীদের স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে তাঁকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। পরে বাসচালকের সহযোগিতায় প্রান্তিক পরিবহনের বাসটি বড়বাইদ এতিমখানার কাছে থামিয়ে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভোরে মাদারগঞ্জ স্পেশাল এক্সপ্রেসের ইমন পরিবহনে ডাকাতি হয়। ডাকাতেরা বাইপাইল থেকে উঠে ঘাটাইলের দেউলাবাড়ী নামক স্থানে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে টাকাসহ মালামাল লুট করে নরকোনায় বাস থামিয়ে নেমে যায়। এই ঘটনায় আহত সাতজনের মধ্যে তারা মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতোয়ার রহমান বলেন, ‘স্বল্প জনবল দিয়ে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতীর ১০ কিলোমিটার অংশের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাকি অংশগুলো সংশ্লিষ্ট উপজেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখভাল করে থাকে। মধুপুরের হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি চালু 
হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত আরও সহজতর হবে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত