সাক্ষাৎকার

প্রতিদানের আশায় কিছু করিনি

Thumbnail Image

পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য। জন্মদিন, আন্দোলনে রাজপথে সরব উপস্থিতি আর নতুন কাজ নিয়ে বাঁধনের সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

গতকাল আপনার জন্মদিন ছিল। বিশেষ দিনটি কীভাবে কেটেছে?

বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল না। অন্য দিনের মতো কেটেছে। বাসাতেই ছিলাম। রাত ১২টা থেকে সবাই শুভেচ্ছাবার্তা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন অনেকে। কেউ মেসেজের মাধ্যমে কেউ আবার ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমার প্রতি সবার এত সম্মান ও ভালোবাসা আপ্লুত করেছে আমাকে।

যাঁরা শোবিজে কাজ করেন, তাঁরা সাধারণত নিজের বয়সটা প্রকাশ করতে চান না। আপনাকে দেখলাম এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। নিজের বয়সটা জানিয়ে দেন। এর বিশেষ কোনো কারণ আছে?

এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই করি। আমাদের সমাজে একটা ট্যাবু আছে, মেয়েদের বয়স বলতে হয় না বা লুকাতে হয়। মূলত সামাজিক চাপের কারণে এই ট্র্যাডিশন তৈরি হয়েছে। এই ট্যাবু থেকে যেন মেয়েরা বেরিয়ে আসতে পারে, সেটাই আমার চাওয়া। প্রতিটি বয়সের আলাদা সৌন্দর্য আছে। আমি বিষয়টি উপভোগ করি। সেটা যেন সবাই উপভোগ করতে পারে। এ কারণেই জন্মদিনে বয়স জানিয়ে দিই।

গতকাল রাতে ফেসবুকে জানালেন, যখন আপনি চুপ থাকেন, তার মানে নতুন কিছু আসছে। সত্যিই কি নতুন কোনো চমক আসছে?

খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, আমি যখনই চুপ থাকি, তারপর দারুণ কিছু ঘটে। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার আগেও আমি চুপ ছিলাম। তখনো অনেকে বলছিল, কেন আমি কিছু বলছি না। এরপর যখন সিনেমাটি সবার সামনে এল, সবার অভিযোগ থেমে গেল। এবারও যেহেতু চুপ আছি, তার মানে কিছু একটা হচ্ছে। তবে কী হচ্ছে, সেটা এখন বলব না। জানার জন্য আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।

আজমেরী হক বাঁধন
আজমেরী হক বাঁধন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আপনার সরব উপস্থিতি ছিল। যাঁরা সরব ছিলেন, তাঁদের অনেকে অন্তর্বর্তী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। আপনি কেন নেই?

প্রতিদানের আশায় কখনো কিছু করিনি। যা করেছি সেটা মনের টানে, ন্যায়বিচারের জন্য ও দেশের জন্য। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তাঁরা আমাকে যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছেন। সম্মান দিয়েই তাঁরা আমাকে বিভিন্ন কমিটিতে ডেকেছেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে অপারগতা জানিয়েছি। আমি কখনো কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আগের সরকারের সময়েও না। এখনো কোনো কমিটি বা সংগঠনে যেতে চাই না। ভবিষ্যতেও যাওয়ার ইচ্ছা নেই। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। নিজের জীবনকে এভাবেই সাজাতে চাই। সব সময় স্বাধীনভাবে স্বাধীন দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে থাকতে চাই।

অভিনয় শিল্পী সংঘের সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি গঠিত হয়েছে। আপনাদের দাবিগুলো কি বাস্তবায়িত হবে?

যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছিলাম, এখনো আছি। সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা উত্থাপিত দাবি নিয়ে কাজ করছে। দেখা যাক কী হয়।

‘মেয়েদের গল্প’ সিনেমা দিয়ে প্রযোজক হিসেবেও কাজ শুরু করেছেন। তা কত দূর এগিয়েছে?

মেয়েদের গল্প সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু সিনেমাটির সঙ্গে থাকছি না। তাই সিনেমার আপডেট আমার কাছে নেই।

ভারতেও আপনার নতুন কাজের খবর এসেছিল। সেই কাজের কোনো আপডেট আছে?

ভারতে কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে আমার কথা চলছিল। কিন্তু ভিসা জটিলতায় সেগুলো চূড়ান্ত করতে পারিনি। দেখা যাক, সামনে কী হয়। কোনো কাজ চূড়ান্ত হলে অবশ্যই সবাইকে জানাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত