নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) গভর্নিং কাউন্সিল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করবে বেলা ২টায়। সংবাদ সম্মেলনটি হবে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে—গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সবাই অপেক্ষা করতে থাকলেন উল্লিখিত জায়গায়। সংবাদ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে জানা গেল, এটি হবে বিসিবি কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত স্থানে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলই যেখানে ঘোষণা দিয়ে সব ঠিক রাখতে পারছে না, অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে আর কী বলা যায়! যেখানে-সেখানে তাদের সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে। গতকাল দেশের বড় তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ক্রিকেট সরঞ্জামাদির বাক্সের উপর সংবাদ মাধ্যমের বুম রেখে যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন, সে ছবি দেখে অস্বস্তিতে পড়তে হলো খোদ বিসিবি কর্তাদেরই।
দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ১২ বছরে পা দিয়েছে। এখনো টুর্নামেন্টকে শতভাগ সুশৃঙ্খল বলার সুযোগ নেই। গুণে-মানে, আয়োজনের ধরনে কিংবা আর্থিক লাভে ১২ বছরে টুর্নামেন্ট কোথায় নিয়ে যাওয়ার কথা, আর কোথায় পড়ে আছে! বিশ্বের বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর তুলনায় প্রতিবছর বিপিএল শুধুই পেছাচ্ছে। আয়োজকদের অবশ্য যুক্তি, বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেল তাঁদের পক্ষে অনুসরণ করা কঠিন; ‘দেশীয় স্টাইলে’ই বিপিএল আয়োজন করতে চান।
এখন বিশ্বের অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ভারতীয় স্বত্বাধিকারীদের দাপট দেখা যাচ্ছে। বিপিএলেও তারা আসতে চেয়েছিল। তবে বিসিবি তাতে আগ্রহ দেখায়নি। কেন দেখায়নি, সে ব্যাখ্যায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক গতকাল বলেছেন, ‘তারা অনেকবারই আমাদের অ্যাপ্রোচ করেছিল। বোর্ডের সিদ্ধান্ত, আমরা টুর্নামেন্ট আমাদের দেশীয় স্টাইলে চালাতে চাই। এ রকম কিছু করতে চাই না যে টুর্নামেন্টের রাইটস আমাদের হাতে থাকবে না, অন্য কারও কাছে চলে যাবে।’
এখন বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টেই বেটিং সাইটের দাপট। বিপুল অর্থের হাতছানি থাকলেও দেশের বিদ্যমান আইন ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় বিসিবি এখনো বিপিএলে বেটিং সাইটের অনুপ্রবেশ কিছুতেই চাইছে না। আর্থিকভাবে লাভবান হতে বেটিং সাইটের দ্বারস্থ হতে হবে—এমন কোনো কথা নেই।
নিজেদের উদ্ভাবনী ভাবনা আর ব্যতিক্রম উদ্যোগে ১২ বছরের পুরোনো একটি টুর্নামেন্ট এমনি আর্থিকভাবে বিপুল লাভজনক আর দেশের ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে সফল করে তোলা যায়। কিন্তু কেন তোলা হয় না? পুরোনো সমস্যাগুলোই আবার সামনে চলে আসছে। বিপিএল আয়োজকেরা স্বীকারই করে নিচ্ছেন, তাঁরা এখনো বছরে নির্দিষ্ট সময় (স্লট) নির্ধারণ করতে পারেননি টুর্নামেন্ট আয়োজনের, যেটি বিশ্বের বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের জন্য বরাদ্দ থাকে। একই সময়ে যদি তিন-চারটি টুর্নামেন্টের সঙ্গে বিপিএলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়, ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার কীভাবে খেলতে আসবে বাংলাদেশে? এবার যেমন তারকা-সংকটে ভুগছে বিপিএল।
বিপিএল কেন হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে করা যায় না, এ উত্তরে গতকালও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বিমানবন্দর, হোটেলসহ লজিস্টিক সীমাবদ্ধতা আবার সামনে আনলেন। বিষয়টির সমাধানে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিলেন গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব। প্রতিবারের মতো এবারও কি দর্শকখরা ঘোচাতে পারবে বিপিএল, সে প্রশ্নও চলে আসছে।
বিপিএল এখনো যে আর্থিক মডেলে আয়োজন হচ্ছে, তাতে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি সম্ভব নয়, সেটি গতকাল আরেকবার জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি। বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলো যতই নিত্যনতুন কিংবা আকর্ষণীয় হয়ে উঠুক, বিপিএল আয়োজকেরা সেখানে নিজেদের পরের সারিতে দেখেই সন্তুষ্ট! দেশীয় স্টাইলেই তো বিপিএল হতে পারে, কিন্তু সেটি বছরের পর বছর বিশৃঙ্খল, অপরিকল্পিত আর এলোমেলো কেন হবে? অবশ্য প্রতি মৌসুমে বিপিএল ঘিরে এসব প্রশ্ন বারবার হয় বলে এখন এসবও বেশ গা-সওয়া হয়ে গেছে ক্রিকেটসংশ্লিষ্টদের। এখন মাঠের খেলা যদি জমজমাট হয়, তবেই হয়তো বিপিএল ঘিরে প্রশ্নগুলো একটু আড়াল হতে পারে। সে লক্ষ্য নিয়ে বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে আজ দুপুরে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) গভর্নিং কাউন্সিল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করবে বেলা ২টায়। সংবাদ সম্মেলনটি হবে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে—গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সবাই অপেক্ষা করতে থাকলেন উল্লিখিত জায়গায়। সংবাদ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে জানা গেল, এটি হবে বিসিবি কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত স্থানে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলই যেখানে ঘোষণা দিয়ে সব ঠিক রাখতে পারছে না, অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে আর কী বলা যায়! যেখানে-সেখানে তাদের সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে। গতকাল দেশের বড় তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ক্রিকেট সরঞ্জামাদির বাক্সের উপর সংবাদ মাধ্যমের বুম রেখে যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন, সে ছবি দেখে অস্বস্তিতে পড়তে হলো খোদ বিসিবি কর্তাদেরই।
দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ১২ বছরে পা দিয়েছে। এখনো টুর্নামেন্টকে শতভাগ সুশৃঙ্খল বলার সুযোগ নেই। গুণে-মানে, আয়োজনের ধরনে কিংবা আর্থিক লাভে ১২ বছরে টুর্নামেন্ট কোথায় নিয়ে যাওয়ার কথা, আর কোথায় পড়ে আছে! বিশ্বের বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর তুলনায় প্রতিবছর বিপিএল শুধুই পেছাচ্ছে। আয়োজকদের অবশ্য যুক্তি, বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেল তাঁদের পক্ষে অনুসরণ করা কঠিন; ‘দেশীয় স্টাইলে’ই বিপিএল আয়োজন করতে চান।
এখন বিশ্বের অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ভারতীয় স্বত্বাধিকারীদের দাপট দেখা যাচ্ছে। বিপিএলেও তারা আসতে চেয়েছিল। তবে বিসিবি তাতে আগ্রহ দেখায়নি। কেন দেখায়নি, সে ব্যাখ্যায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক গতকাল বলেছেন, ‘তারা অনেকবারই আমাদের অ্যাপ্রোচ করেছিল। বোর্ডের সিদ্ধান্ত, আমরা টুর্নামেন্ট আমাদের দেশীয় স্টাইলে চালাতে চাই। এ রকম কিছু করতে চাই না যে টুর্নামেন্টের রাইটস আমাদের হাতে থাকবে না, অন্য কারও কাছে চলে যাবে।’
এখন বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টেই বেটিং সাইটের দাপট। বিপুল অর্থের হাতছানি থাকলেও দেশের বিদ্যমান আইন ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় বিসিবি এখনো বিপিএলে বেটিং সাইটের অনুপ্রবেশ কিছুতেই চাইছে না। আর্থিকভাবে লাভবান হতে বেটিং সাইটের দ্বারস্থ হতে হবে—এমন কোনো কথা নেই।
নিজেদের উদ্ভাবনী ভাবনা আর ব্যতিক্রম উদ্যোগে ১২ বছরের পুরোনো একটি টুর্নামেন্ট এমনি আর্থিকভাবে বিপুল লাভজনক আর দেশের ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে সফল করে তোলা যায়। কিন্তু কেন তোলা হয় না? পুরোনো সমস্যাগুলোই আবার সামনে চলে আসছে। বিপিএল আয়োজকেরা স্বীকারই করে নিচ্ছেন, তাঁরা এখনো বছরে নির্দিষ্ট সময় (স্লট) নির্ধারণ করতে পারেননি টুর্নামেন্ট আয়োজনের, যেটি বিশ্বের বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের জন্য বরাদ্দ থাকে। একই সময়ে যদি তিন-চারটি টুর্নামেন্টের সঙ্গে বিপিএলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়, ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার কীভাবে খেলতে আসবে বাংলাদেশে? এবার যেমন তারকা-সংকটে ভুগছে বিপিএল।
বিপিএল কেন হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে করা যায় না, এ উত্তরে গতকালও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বিমানবন্দর, হোটেলসহ লজিস্টিক সীমাবদ্ধতা আবার সামনে আনলেন। বিষয়টির সমাধানে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিলেন গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব। প্রতিবারের মতো এবারও কি দর্শকখরা ঘোচাতে পারবে বিপিএল, সে প্রশ্নও চলে আসছে।
বিপিএল এখনো যে আর্থিক মডেলে আয়োজন হচ্ছে, তাতে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি সম্ভব নয়, সেটি গতকাল আরেকবার জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি। বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলো যতই নিত্যনতুন কিংবা আকর্ষণীয় হয়ে উঠুক, বিপিএল আয়োজকেরা সেখানে নিজেদের পরের সারিতে দেখেই সন্তুষ্ট! দেশীয় স্টাইলেই তো বিপিএল হতে পারে, কিন্তু সেটি বছরের পর বছর বিশৃঙ্খল, অপরিকল্পিত আর এলোমেলো কেন হবে? অবশ্য প্রতি মৌসুমে বিপিএল ঘিরে এসব প্রশ্ন বারবার হয় বলে এখন এসবও বেশ গা-সওয়া হয়ে গেছে ক্রিকেটসংশ্লিষ্টদের। এখন মাঠের খেলা যদি জমজমাট হয়, তবেই হয়তো বিপিএল ঘিরে প্রশ্নগুলো একটু আড়াল হতে পারে। সে লক্ষ্য নিয়ে বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে আজ দুপুরে।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে