Ajker Patrika

আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা মেয়রের বিরুদ্ধে

বরিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৩৪
আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা মেয়রের বিরুদ্ধে

বরিশাল নগরের ঢাকা-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কের বাইলেন অংশ দখল করে সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) পার্ক নির্মাণের বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে। মহাসড়ক-লাগোয়া জমির মালিক দাবিদার মনোয়ার হোসেন হাওলাদার গত মঙ্গলবার বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছেন।

এদিকে মহাসড়কের জমিতে প্রায় এক মাস ধরে মেয়র সাদিক মায়ের নামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহান আরা বেগম পার্ক’ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চালালেও নীরব রয়েছে মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। গত ১৬ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান জানান, যেখানে পার্ক নির্মিত হচ্ছে, তার পাশেই দেড় শতক জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিসিসির আদালতে মামলা চলছে। আদালত ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট বিরোধ চলা জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। বিসিসি আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গত ৬ জানুয়ারি ওই জমিতে মনোয়ার হোসেনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং জমিটি নির্মিত পার্কের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান বলেন, এ ঘটনায় বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে গত মঙ্গলবার বিকেলে মামলা করা হয়েছে। আদালত আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

যদিও বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক দাবি করেছেন, সওজের অনুমতি নিয়েই পার্ক নির্মিত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে জমিজমা-সংক্রান্ত মামলা কিংবা আদালতের স্থিতাবস্থার বিষয়ে বিসিসি কিছুই জানে না।

তবে মামলার বাদী মো. মনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, সিটি করপোরেশন আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানেনি। তিনি ভয়ে তাঁর জমিতে যেতেও পারছেন না। মেয়র কীভাবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানেন না। আদালতের আদেশ তিনি অবজ্ঞা করছেন। মহাসড়কের ওপর পার্ক করছেন। তিনি তার জমি যেকোনো মূল্যে ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন।

সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ গত ২৩ জানুয়ারি গণমাধ্যমে বলেন, বড় স্থাপনা করলে দু-একজনের অসুবিধা হতে পারে। যেখানে পার্ক হচ্ছে, সেটি হাঁটার রাস্তা। সড়ক ও জনপথের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ‘পার্কের জমি নিয়ে আইনি জটিলতার বিষয় আমার জানা নেই।’

এদিকে বরিশাল সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, সিঅ্যান্ডবি রোডে বিসিসি যেখানে পার্ক নির্মাণ করছে, সেটি সওজের ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের জমি। পার্ক নির্মাণের জন্য বিসিসি অনুমতি নেয়নি। প্রকৌশলী ফিরোজ আলম জানান, তাঁরা বিষয়টি সওজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, নগরীর সিঅ্যান্ডবি সড়কে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের লেকের উত্তর পাড়ে ঢাকা-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কের বাইলেন অংশের প্রায় ২০০ গজ দখল করে বিসিসির উদ্যোগে মেয়রের মায়ের নামে পার্ক নির্মাণকাজ গত ৬ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এই বাইলেন দিয়ে থ্রি-হুইলার যানবহন চলাচল করত।

সওজের কার্যসহকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশাল নগরীর অংশে স্থানভেদে ১২০ থেকে ১৮০ ফুট অধিগ্রহণ করা জমি রয়েছে। এর মধ্যে মূল মহাসড়ক ২৪ ফুট। অবশিষ্ট জমিতে বাইলেন ও ফুটপাত। পদ্মা সেতু চালুর পর ১২০ ফুটের চার লেন মহাসড়ক উন্নীত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। চার লেনের নির্ধারিত জমিতে বিসিসি পার্ক নির্মাণ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত