Ajker Patrika

অবৈধ ক্লিনিকের ছড়াছড়ি শুরু হয়নি অভিযান

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জুন ২০২২, ০৮: ৪৪
অবৈধ ক্লিনিকের ছড়াছড়ি শুরু হয়নি অভিযান

অনিবন্ধিত বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও এর বাস্তবায়ন নেই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়। ফলে বিনা বাধায় নিবন্ধন ছাড়াই রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মালিকেরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন বলছে, সঠিক তালিকা না পাওয়ার কারণে অভিযান চালানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, অবৈধ ক্লিনিকগুলোর তালিকা করার কাজ চলছে।

গত ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশের অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় অনিবন্ধিত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য অভিযান চালানো হলেও রাঙ্গুনিয়ায় এ বিষয়ে কোনো তৎপরতা নেই।

জানা গেছে, উপজেলায় ৬টি হাসপাতাল ও ছোট-বড় ৩৪টি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১টি হাসপাতাল ও ৪টি রোগ নির্ণয়কেন্দ্রের নিবন্ধন রয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ছাড়াই চলছে।

উপজেলা সদরের এভারগ্রিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক সুজন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার আগে কেউ নিবন্ধন করেনি রাঙ্গুনিয়ায়।’ নিবন্ধনের কপি দেখতে চাইলে তিনি ২০১৬ সালের নিবন্ধনের ফটোকপি দেখান। মূল কপি দেখাতে পারেননি। তবে ২০২০ সালের অনলাইন আবেদনের একটি কপি দেখান। পরে তাঁর প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন থাকলেও নবায়ন নেই বলে জানান।

এখানে সেবা নিতে আসেন পৌরসভা এলাকার আবদুস সবুর। অনিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কেন এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তাঁরা যে প্রতিষ্ঠানের নাম প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন, সেখানেই পরীক্ষা করি।’

সরফভাটা ইউনিয়নের মীরেরখীল এলাকার বয়োবৃদ্ধ আবদুল মালেক জানান, উপজেলার অধিকাংশ ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তালিকা ঝোলানো থাকলেও মূলত চিকিৎসা দেন নার্স ও প্যারামেডিক। সব ক্লিনিকে রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতিও নেই। ওরা দু-এক দিনের সময় নিয়ে বাইরে থেকে রিপোর্ট এনে রোগীদের সরবরাহ করেন। ফলে অনেক সময় রিপোর্ট সঠিক পাওয়া যায় না।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছে। ওই নির্দেশনা কার্যকর করতে উপজেলায় কয়টি অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, তার তালিকা করা হচ্ছে। সবগুলোতে জনগণ শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কটি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধভাবে চলছে, সেগুলোর সঠিক তালিকা এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। উনি তালিকা করে দিলেই আমরা অভিযান চালিয়ে সেসব হাসপাতাল বন্ধ করে দেব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত