Ajker Patrika

নাচকে পেশা হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে ছেলেমেয়েরা

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, ১৬: ২২
নাচকে পেশা হিসেবে নেওয়ার  স্বপ্ন দেখছে ছেলেমেয়েরা

দক্ষিণ কোরিয়ায় দল নিয়ে গিয়েছিলেন। পারফর্ম করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে চমৎকার। ৮-১১ জুলাই দেইগু শহরে বসেছিল এই উৎসব। কোরিয়ার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু বলা যায় দেইগু শহরকে। ২০১৯ সালেই অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। এরপর তো করোনা চলে এল। আবারও ওরা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই উৎসবে প্রথমবারের মতো আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ। আনন্দের পাশাপাশি এটা দায়িত্বেরও ছিল। অনেক চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কী করব। কীভাবে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করলে আমরা যে শিল্প-সাহিত্যে অনেক সমৃদ্ধ, সেই ব্যাপারগুলো ওখানে প্রতিফলিত হবে, সেটা ভেবেই আমরা গিয়েছি। 

কী ধরনের পারফর্ম করলেন সেখানে?
উৎসবে আমরা দুটি প্রযোজনা নিয়ে অংশ নিয়েছিলাম। এর মধ্যে একটি ১০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘পাঁচফোড়ন’ ও অন্যটি ৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘নন্দিনী’। দুটির ভাবনা, নকশা, নৃত্যনির্মাণ ও নির্দেশনা আমারই। দুই রকমের আয়োজন হয়েছে। একটি সড়কের মধ্যেই স্টেজ তৈরি করা হয়েছে। আরেকটি একদম খোলা রাস্তায় পারফরম্যান্স। স্টেজে ‘পাঁচফোড়ন’ মঞ্চায়ন করেছি। এই নাচে আমরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে চিত্রায়িত করেছি। যেমন আমাদের কৃষক, শ্রমিক, গার্মেন্টসের কর্মী, মাঝি, মৌয়াল। আর ‘নন্দিনী’ প্রোডাকশনে আমরা দেখিয়েছি আমাদের নাচ, সাহিত্য, গানসহ অনেক কিছু। একেবারেই আমাদের ফোক যে ট্র্যাডিশন, ধূপ-ধোঁয়া হাতে ধুনচি নিয়ে নাচ করা। এটা যে শুধু পূজায় হয় এমন না। আমি বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করেছি। দেখেছি, এটা একেবারেই এই ভূখণ্ডের একটা আদি সংস্কৃতি। যখন মানুষ আগুন আবিষ্কার করল, তখন থেকেই নিজের চারপাশের পরিবেশকে পবিত্র রাখতে এই ধূপ কিংবা ধোঁয়ার প্রচলন হয়েছে। এই নাচটায় ছিল একেবারেই আমাদের নিজেদের সংস্কৃতির প্রতিফলন। 

নাচে আপনার এখনকার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
‘ওয়াটারনেস’ প্রযোজনার মহড়া চলছে এই মুহূর্তে। ‘অনামিকা সাগরকন্যা’র মঞ্চায়ন হচ্ছে বহুদিন ধরে। ‘হো চি মিন’ খুব বেশি প্রদর্শনী হয়নি। ইচ্ছে আছে এর প্রদর্শনী করব। আশা করছি, এই বছর নতুন আরেকটি প্রোডাকশন আনতে পারব। তেমন প্ল্যানিং চলছে। আমি কিছু গবেষণার কাজ করি। সেসব নিয়েও ব্যস্ততা আছে। ‘তুরঙ্গমী স্কুল অব ড্যান্স’-এ নিয়মিত সময় দিতে হয়। সেখানে নতুন শিল্পী তৈরির কাজ করছি।

বাংলাদেশে নাচের বর্তমান অবস্থা কী? 
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অবস্থা অনেকটা ভালো। নাচকে এখন পেশা হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে ছেলেমেয়েরা। আজ থেকে আট বছর আগে আমি যখন নাচকে পেশা হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমার সামনে খুব একটা রোল মডেল পাইনি যে এটা করেই সমাজে সম্মানের সঙ্গে থাকা যায়। এই জায়গাটা মনে হয় ক্রমেই তৈরি হচ্ছে।

বিদেশে বাংলাদেশের নাচ কীভাবে আরও গুরুত্ব পেতে পারে?
একটা সময় আমরা শুধু বিদেশিদের নাচই করেছি। চেয়েছিলাম, নৃত্যে আমার মাটির গন্ধ যেন পাওয়া যায়। ভারতের রবীন্দ্রভারতীতে নাচ নিয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই সেই ভাবনা ছিল আমার। এর জন্য অনেক খাটতে হয়েছে। রিসার্চ করতে হয়েছে। একটা সময় মানুষের ভালো লেগেছে। কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছি। প্রশংসা পাওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় মন্ত্র বলে আমি মনে করি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত