Ajker Patrika

নারী ফুটবলে নতুন দিগন্তের উন্মোচন

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২২, ১১: ০৫
নারী ফুটবলে নতুন দিগন্তের উন্মোচন

খেলায় নারী ও পুরুষ বৈষম্যের বিষয়টি অনেক পুরোনো। নিয়মকানুন কিংবা আনুষঙ্গিক সব বিষয় একই হওয়ার পরও পার্থক্যটা ছিল বিশাল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই প্রেক্ষাপট ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে। কমছে নারী-পুরুষের অনেক বৈষম্য। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারী ফুটবল দুনিয়ায় নতুন দিগন্তের উন্মোচনও হয়েছে।

নারী ফুটবলের বদলে যাওয়ার প্রকৃত রূপটা বোঝা যাবে কদিন আগে শেষ হওয়া ইউরোর দিকে তাকালে। জার্মানি বনাম ইংল্যান্ডের ফাইনাল দেখতে সেদিন উপস্থিত হয়েছিল ৮৭ হাজার ১৯২ জন দর্শক। যেটি পুরুষ কিংবা নারী যেকোনো ইউরোর ফাইনালে সর্বোচ্চ।

টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ মিলে এবারের নারীদের ইউরোতে দর্শক উপস্থিতি ছিল ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৫ জন, যেটা আগের ইউরোর প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৭ সালে সবশেষ মেয়েদের ইউরোতে সব ম্যাচ মিলে দর্শক উপস্থিতি ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার ৫৫ জন। এ পরিসংখ্যান বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়ার দিকটাই ইঙ্গিত করছে।

উয়েফা বলছে, সামনের দিনগুলোয় এই চিত্র আরও ইতিবাচকভাবে বদলে যেতে পারে। ২০৩৩ সালের মধ্যে নারী ফুটবলের বাণিজ্যিক মূল্য ৬ হাজার ৬১২ কোটি টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গবেষণায় পরের দশকে এই সংখ্যা ৬ গুণ বৃদ্ধির পূর্বাভাসও পাওয়া গেছে।

শুধু অর্থমূল্যেই নয়, নারী ফুটবলের ভক্ত-সমর্থক বৃদ্ধির দিক থেকেও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে। যেখানে এই সময়ের মধ্যে সমর্থকসংখ্যা ১৪ কোটি থেকে ৩২ কোটিতে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর উল্লেখযোগ্য এই পরিবর্তনের ফলে বিনিয়োগের পরিমাণও এখানে অনেক বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নারী ফুটবলে ইতিবাচক এই পরিবর্তন আশাবাদী করে তুলেছে উয়েফার নারী ফুটবলের প্রধান নাদিনে কেসলেরকেও। তিনি বলেছেন, এই খেলায় অবিশ্বাস্য রকমের রোমাঞ্চকর প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, ‘নারী ফুটবলের সম্ভাবনা সীমাহীন।’ ২০২২ ইউরো নিয়ে যেভাবে নারী ফুটবলের প্রতি জনসাধারণের আগ্রহ দেখা গেছে, সেটি ব্যাপক উজ্জীবিত করেছে কেসলেরকে। তিনি তাই বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস আমরা নারী ফুটবলকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পথে আছি। যেটা কয়েক বছর আগেও অকল্পনীয় ছিল।’

নারী ফুটবলের নতুন যুগে প্রবেশের ইঙ্গিত ইউরোর সর্বশেষ ফাইনাল। শুধু দর্শক উপস্থিতিতেই নয়, সারা বিশ্ব এই ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনায় মেতেছিল। ম্যাচ জেতানো গোলের পর ক্লোয়ে কেলির জার্সি খুলে উদ্‌যাপন টুর্নামেন্টের ‘ব্র্যান্ড ভেল্যু’ও বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক। ফাইনালের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই গোল নিয়ে মেতেছিল নেটিজেনরা।

সব মিলিয়ে নারী ফুটবলের অগ্রগতির ব্যাপারে উয়েফা এখন বেশ ইতিবাচক অবস্থানে আছে। নারীদের ফুটবলকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেটিকে এখন কাজে লাগাতে চান কেসলের। তিনি বলেছেন, ‘এখনই সময় আমরা যে গতি পেয়েছি, সেটা এগিয়ে নেওয়ার। সময়টা এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আর বিনিয়োগ করার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজ করার নির্দেশ দিল সরকার

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

একাত্তর ও এক-এগারোর সময় বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন নীতি ভুল ছিল: ড্যানিলোভিচ

সীতাকুণ্ডে সৈকতে বন্ধুকে বেঁধে রেখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত