শিহাব আহমেদ
সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে আপনার নতুন ইংরেজি গান ‘স্পাইসি’। গানটি নিয়ে বলুন।
পাঁচ বছর পর আমার ইংরেজি গান প্রকাশ পেয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রকাশ পেয়েছিল ‘ডার্টি ট্রিকস’। স্পাইসি শিরোনামের গানে র্যাপ অংশটুকু গেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হেজেল রোজ। গানটি লিখেছেন গ্র্যামি মনোনয়নপ্রাপ্ত মার্কিন সংগীতশিল্পী র্যাচেল ওয়েস্ট। সংগীত প্রযোজনা করেছেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির, তাঁর সঙ্গে আছেন বলিউডের ডিজে সঞ্জয়।
গানটির বাংলা অংশ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। নিশ্চয় আপনার নজরে এসেছে। এই প্রসঙ্গে কী বলবেন?
এখন ইন্টারনেটের যুগ, সবকিছুতেই মন্তব্য করা অনেক সহজ। তাই অনেক সময় না বুঝেই অনেকে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন। যে অংশটুকু নিয়ে সমালোচনা করছেন, সেটুকু কিন্তু আমার লেখা, কিংবা সুর করা নয়। লিরিকটা কিন্তু ফুয়াদ ভাইও লেখেন নাই। এটা অনেক আগের গান। নার্গিস নামের একজনের গাওয়া। ইউটিউবে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। ২০০৬ সালে সেই গানটি ফুয়াদ ভাই কানিজ সুবর্ণাকে নিয়ে প্রথম করেন। সেই রেফারেন্সটাই ২০২৪ সালে আমার ইংরেজি গানে আনা হয়েছে। অনেকে বুঝতে পারছেন, অনেকে আবার বুঝছেন না। যাঁরা ফুয়াদ ভাইয়ের গান শোনেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন। যাঁরা নতুন বা বয়সে ছোট, তারা বুঝতে পারছে না গানের অংশটুকু রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেই সময়ে আমাদের দেশে ইন্টারনেট এত সহজলভ্য ছিল না বিধায় তখন এত কথা হয়নি। এখন মানুষের বলার সুযোগ বেড়েছে।
মানুষের এত সমালোচনা আপনাকে ব্যথিত করছে কি?
একদমই না। ট্রলকে কখনো পাত্তা দিই না। আমার যোগ্যতা সম্পর্কে আমি জানি। আমি কী করতে পারি, সেটা কাজের মধ্য দিয়েই প্রমাণ করে আসছি। সামনেও কাজ দিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাই। তাই সমালোচনা নিয়ে আমি কখনো ভাবি না। তবে আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো এই ট্রল নিয়ে নড়েচড়ে যেত। আমাকে এইসব ভাবায় না। আমার চেহারা যেহেতু পরিচিত, তাই সমালোচনাটা আমার ঘাড়ে পড়ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি লজ্জিত নই।
অন্য কোনো গান ব্যবহার করলে হয়তো এমন সমালোচনা হতো না। এ নিয়ে কোনো আফসোস হয়?
এই গানটি কেন করলাম—এমন কোনো আফসোস নেই। খুব হ্যাপিলি গানটি করেছি। ব্যক্তিগতভাবে গানটি আমার পছন্দ হয়েছে বলেই গেয়েছি। এমনিতেও সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশের মানুষ এপ্রিসিয়েশন করার চেয়ে হাসাহাসি করতে বেশি পছন্দ করে। যখন ভালো কিছু হয় এপ্রিশিয়েট করতে অনেকে দ্বিধাবোধ করি কিন্তু কোনো কিছু নিয়ে হাসাহাসি করতে বেশি সময় লাগে না।
দীর্ঘদিন পর ইংরেজি গান, নতুন ইউটিউব চ্যানেল—সব মিলিয়ে প্রত্যাশা কি পূরণ হয়েছে?
স্পাইসি গানটি মূলত দেশের বাইরের শ্রোতাদের জন্য করা। তাঁরা যে ধরনের গান শুনতে পছন্দ করেন, সেভাবেই গানের কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করা হয়েছে। ওকে ব্রো রেকর্ডস নামের নতুন ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেলেও প্রথম চার দিনে প্রায় আড়াই লাখ ভিউজ হয়েছে। নতুন চ্যানেলের জন্য এটি দারুণ ব্যাপার। এত ফাস্ট গ্রো করার অনেক কারণ আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলা যে অংশটুকু ভাইরাল হয়েছে, তা শুনে অনেকেই পুরো গানটি শুনতে যাচ্ছে। তখন তারা দেখছে, এটা পুরোই ভিন্ন জিনিস। এই সারপ্রাইজ ফ্যাক্টরটাও কাজ করছে। ট্রোল করায় কিন্তু গানটির প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেড়েছে।
এই গানে তিন দেশের শিল্পীর কাজ করার পরিকল্পনাটা কীভাবে হয়েছিল?
গত বছর ফুয়াদ ভাই যখন গানটির কথা জানান, তখন মনে হলো এটা তো আমার কমফোর্ট জোন। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে যখন গিয়েছিলাম, সে সময় রেকর্ডিং করে এসেছি। আর গত বছরের শেষ দিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং করেছি।
সামনে আপনার গাওয়া নতুন আর কী কী গান আসছে?
এ বছর অনেক গান আসবে। বেশ কয়েকটি গানের রেকর্ডিং শেষ করেছি। কয়েকটি গানের ভিডিওর শুটিং শেষ হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে গানগুলো প্রকাশ পাবে। এ ছাড়া আমার প্রথম বাংলা একক অ্যালবাম নিয়ে পরিকল্পনা করছি।
সম্প্রতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মনোগামী’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন। অভিনয় নিয়ে পরিকল্পনা কী?
হুট করেই অভিনয়ে আসা। তবে দর্শকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। আমি মূলত গানের মানুষ। অভিনয় নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। সামনে ভালো কোনো প্রজেক্ট পেলে আবারও অভিনয় করব। তবে এই মুহূর্তে গান নিয়েই সময় কাটছে।
সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে আপনার নতুন ইংরেজি গান ‘স্পাইসি’। গানটি নিয়ে বলুন।
পাঁচ বছর পর আমার ইংরেজি গান প্রকাশ পেয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রকাশ পেয়েছিল ‘ডার্টি ট্রিকস’। স্পাইসি শিরোনামের গানে র্যাপ অংশটুকু গেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হেজেল রোজ। গানটি লিখেছেন গ্র্যামি মনোনয়নপ্রাপ্ত মার্কিন সংগীতশিল্পী র্যাচেল ওয়েস্ট। সংগীত প্রযোজনা করেছেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির, তাঁর সঙ্গে আছেন বলিউডের ডিজে সঞ্জয়।
গানটির বাংলা অংশ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। নিশ্চয় আপনার নজরে এসেছে। এই প্রসঙ্গে কী বলবেন?
এখন ইন্টারনেটের যুগ, সবকিছুতেই মন্তব্য করা অনেক সহজ। তাই অনেক সময় না বুঝেই অনেকে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন। যে অংশটুকু নিয়ে সমালোচনা করছেন, সেটুকু কিন্তু আমার লেখা, কিংবা সুর করা নয়। লিরিকটা কিন্তু ফুয়াদ ভাইও লেখেন নাই। এটা অনেক আগের গান। নার্গিস নামের একজনের গাওয়া। ইউটিউবে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। ২০০৬ সালে সেই গানটি ফুয়াদ ভাই কানিজ সুবর্ণাকে নিয়ে প্রথম করেন। সেই রেফারেন্সটাই ২০২৪ সালে আমার ইংরেজি গানে আনা হয়েছে। অনেকে বুঝতে পারছেন, অনেকে আবার বুঝছেন না। যাঁরা ফুয়াদ ভাইয়ের গান শোনেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন। যাঁরা নতুন বা বয়সে ছোট, তারা বুঝতে পারছে না গানের অংশটুকু রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেই সময়ে আমাদের দেশে ইন্টারনেট এত সহজলভ্য ছিল না বিধায় তখন এত কথা হয়নি। এখন মানুষের বলার সুযোগ বেড়েছে।
মানুষের এত সমালোচনা আপনাকে ব্যথিত করছে কি?
একদমই না। ট্রলকে কখনো পাত্তা দিই না। আমার যোগ্যতা সম্পর্কে আমি জানি। আমি কী করতে পারি, সেটা কাজের মধ্য দিয়েই প্রমাণ করে আসছি। সামনেও কাজ দিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাই। তাই সমালোচনা নিয়ে আমি কখনো ভাবি না। তবে আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো এই ট্রল নিয়ে নড়েচড়ে যেত। আমাকে এইসব ভাবায় না। আমার চেহারা যেহেতু পরিচিত, তাই সমালোচনাটা আমার ঘাড়ে পড়ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি লজ্জিত নই।
অন্য কোনো গান ব্যবহার করলে হয়তো এমন সমালোচনা হতো না। এ নিয়ে কোনো আফসোস হয়?
এই গানটি কেন করলাম—এমন কোনো আফসোস নেই। খুব হ্যাপিলি গানটি করেছি। ব্যক্তিগতভাবে গানটি আমার পছন্দ হয়েছে বলেই গেয়েছি। এমনিতেও সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশের মানুষ এপ্রিসিয়েশন করার চেয়ে হাসাহাসি করতে বেশি পছন্দ করে। যখন ভালো কিছু হয় এপ্রিশিয়েট করতে অনেকে দ্বিধাবোধ করি কিন্তু কোনো কিছু নিয়ে হাসাহাসি করতে বেশি সময় লাগে না।
দীর্ঘদিন পর ইংরেজি গান, নতুন ইউটিউব চ্যানেল—সব মিলিয়ে প্রত্যাশা কি পূরণ হয়েছে?
স্পাইসি গানটি মূলত দেশের বাইরের শ্রোতাদের জন্য করা। তাঁরা যে ধরনের গান শুনতে পছন্দ করেন, সেভাবেই গানের কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করা হয়েছে। ওকে ব্রো রেকর্ডস নামের নতুন ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেলেও প্রথম চার দিনে প্রায় আড়াই লাখ ভিউজ হয়েছে। নতুন চ্যানেলের জন্য এটি দারুণ ব্যাপার। এত ফাস্ট গ্রো করার অনেক কারণ আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলা যে অংশটুকু ভাইরাল হয়েছে, তা শুনে অনেকেই পুরো গানটি শুনতে যাচ্ছে। তখন তারা দেখছে, এটা পুরোই ভিন্ন জিনিস। এই সারপ্রাইজ ফ্যাক্টরটাও কাজ করছে। ট্রোল করায় কিন্তু গানটির প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেড়েছে।
এই গানে তিন দেশের শিল্পীর কাজ করার পরিকল্পনাটা কীভাবে হয়েছিল?
গত বছর ফুয়াদ ভাই যখন গানটির কথা জানান, তখন মনে হলো এটা তো আমার কমফোর্ট জোন। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে যখন গিয়েছিলাম, সে সময় রেকর্ডিং করে এসেছি। আর গত বছরের শেষ দিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং করেছি।
সামনে আপনার গাওয়া নতুন আর কী কী গান আসছে?
এ বছর অনেক গান আসবে। বেশ কয়েকটি গানের রেকর্ডিং শেষ করেছি। কয়েকটি গানের ভিডিওর শুটিং শেষ হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে গানগুলো প্রকাশ পাবে। এ ছাড়া আমার প্রথম বাংলা একক অ্যালবাম নিয়ে পরিকল্পনা করছি।
সম্প্রতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মনোগামী’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন। অভিনয় নিয়ে পরিকল্পনা কী?
হুট করেই অভিনয়ে আসা। তবে দর্শকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। আমি মূলত গানের মানুষ। অভিনয় নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। সামনে ভালো কোনো প্রজেক্ট পেলে আবারও অভিনয় করব। তবে এই মুহূর্তে গান নিয়েই সময় কাটছে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে