সুন্দরবন দিবসে বনের কাছে গণক্ষমা প্রার্থনা

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮: ৪৫
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩২

বন-বিনাশী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দায়ে মায়ের মতো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবনের কাছে গণক্ষমা প্রার্থনা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, বাদাবন সংঘ ও ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, জলবায়ু সংকট সৃষ্টি, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, পশুর নদীতে কয়লা-তেল ভর্তি জাহাজডুবি, জাহাজের বর্জ্য, প্লাস্টিক দূষণ, বাঘ-হরিণ-পাখিসহ বন্যপ্রাণী হত্যা, বিষ দিয়ে মাছ নিধন, ডলফিন হত্যা, বৃক্ষ নিধনসহ মানবসৃষ্ট বন-বিনাশী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে জেলে-বাওয়ালি-মৌয়াল এবং কর্মজীবীদের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এই কর্মসূচিতে ‘জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করো’, ‘সুন্দরবনের বাঘ-হরিণ হত্যা বন্ধ করো’, ‘পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড বন্ধ করো’, ‘বিষ দিয়ে মৎস্য নিধন বন্ধ করো’ সহ বিভিন্ন ফেস্টুন-প্লাকার্ড নিয়ে বনজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মসূচি শেষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাপার জেলা আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার নূর আলম শেখ। এ সময় বাদাবন সংঘের মোংলা এরিয়া ম্যানেজার অজিফা খাতুন, বাপা নেতা পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার ইস্রাফিল বয়াতি, বাপা নেতা নদীকর্মী হাসিব সরদার, ডলফিন সংরক্ষণ দলের স্টিফেন হালদার, শেখর রায়, বাপা নেতা মীরা বিশ্বাস, তরুণ মণ্ডল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

গণক্ষমা প্রার্থনা সমাবেশে বক্তারা বলেন, মানুষের বন-বিনাশী কর্মকাণ্ডের ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়েছে। মহাপ্রাণ সুন্দরবনকে বাঁচাতে এবং টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে বন-বিনাশী কর্মকাণ্ড থেকে মানুষকে সরে আসতে হবে। সুন্দরবন বিনাশী সকল প্রকল্প বন্ধ করে সরকারকে পরিবেশ ও জনবান্ধব টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প নিতে হবে।

তাঁরা আরও বলেন, সুন্দরবন আমাদের বিপদ-আপদে মায়ের মতো আগলে রাখে। অথচ আমরাই আবার মায়ের মতো সুন্দরবনের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছি। তাই সুন্দরবনের কাছে ক্ষমা চাইতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত