ইয়াহইয়া মারুফ, সিলেট
চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন অভিযোগে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি ওঠে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি)। এরপর এ দাবি উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। তাঁর পদত্যাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনে বসেন ২৮ শিক্ষার্থী। সরকারের অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমীন হক শিক্ষার্থীদের ১৬৩ ঘণ্টার অনশন ভাঙান। উপাচার্যের পদত্যাগের ব্যাপারে তখন সাবেক এই দুই শিক্ষকের মাধ্যমে ‘সরকারের উচ্চপর্যায়’ থেকে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পাঠানোর আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলন স্থগিতের পর আট মাস অতিবাহিত হলেও শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এখনো স্বপদে বহাল আছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির বেশির ভাগই পূরণ হয়নি। প্রত্যাহার হয়নি আন্দোলনকারী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলা। উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত সজল কুণ্ডু। তাঁর আয়ের একমাত্র অবলম্বন ক্যানটিনটিও ফিরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। আন্দোলনকারীরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি আট মাসেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। তথ্যপ্রমাণ চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ আর একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে সীমাবদ্ধ রয়েছে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম। গত রোববার দুপুরে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
তদন্ত কমিটির সদস্য ও তৎকালীন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলশি কুমার দাস রোববার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদাধিকার বলে তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলাম। সভাপতি থাকাকালে একটি মিটিংয়ের চিঠি পেয়েছিলাম, ওতে জয়েন করেছি। এরপর আর কখনো আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। ধরে নিয়েছি সভাপতিত্ব শেষ হওয়ায় মনে হয় আমি আর ওই কমিটির সদস্য না। বর্তমান সভাপতি এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।’
শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘এ রকম কোনো কমিটির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’ তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তদন্তে কী পাওয়া গেছে, তা প্রতিবেদনে তুলে ধরব।’
আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমীন হকের বরাত দিয়ে বলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়’ আশ্বাস দেওয়ার এত দিন পরও কথা না রাখায় বিব্রত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন জাফর ইকবাল ও ইয়াসমীন হক। সর্বশেষ মাসখানেক আগেও তাঁরা শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন, তাঁদের নিয়মিত সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের কাজ চলছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, শাবিপ্রবি উপাচার্যকে সরানোর বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো ফাইলটি ফেরত এসেছে। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের বিষয়, সে ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। শিক্ষার্থীদের অনেক দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আন্দোলন শুরু হয়েছিল হল-সংক্রান্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে, সেগুলো সমাধান হয়েছে।’ তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কে মামলা করল না করল ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানে।’ সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, এখনো মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। মামলা প্রত্যাহার হয়নি।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির কাছে ছাত্রীদের অন্যতম দাবি ছিল, হলে প্রবেশের সময় বেঁধে দেওয়া যাবে না। কোনো কারণে হলে প্রবেশে দেরি হলে ছাত্রীদের হয়রানি নিয়েও পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ছিল। সার্বিক বিষয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ধরেননি। খুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমীন হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তাঁরা রিসিভ করেননি। একইভাবে যুক্তরাজ্যে সফররত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে ওই হলের ছাত্রীরা রাস্তায় নামেন। সেই থেকে আন্দোলনের সূচনা। ১৫ জানুয়ারি আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। এতে নতুন মাত্রা পায় আন্দোলন।
হলের পুরো প্রভোস্ট কমিটির অপসারণ, অব্যবস্থাপনা দূর, ছাত্রলীগের হামলার বিচার চেয়ে ১৬ জানুয়ারি শাবিপ্রবির আরও কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনে শামিল হন। সেদিন উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁকে মুক্ত করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ। একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সে সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও ছোড়েন ইটপাটকেল। সংঘর্ষকালে পুলিশ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০০ অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ১৭ জানুয়ারি রাতে মামলা করে পুলিশ।
চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন অভিযোগে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি ওঠে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি)। এরপর এ দাবি উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। তাঁর পদত্যাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনে বসেন ২৮ শিক্ষার্থী। সরকারের অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমীন হক শিক্ষার্থীদের ১৬৩ ঘণ্টার অনশন ভাঙান। উপাচার্যের পদত্যাগের ব্যাপারে তখন সাবেক এই দুই শিক্ষকের মাধ্যমে ‘সরকারের উচ্চপর্যায়’ থেকে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পাঠানোর আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলন স্থগিতের পর আট মাস অতিবাহিত হলেও শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এখনো স্বপদে বহাল আছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির বেশির ভাগই পূরণ হয়নি। প্রত্যাহার হয়নি আন্দোলনকারী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলা। উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত সজল কুণ্ডু। তাঁর আয়ের একমাত্র অবলম্বন ক্যানটিনটিও ফিরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। আন্দোলনকারীরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি আট মাসেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। তথ্যপ্রমাণ চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ আর একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে সীমাবদ্ধ রয়েছে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম। গত রোববার দুপুরে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
তদন্ত কমিটির সদস্য ও তৎকালীন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলশি কুমার দাস রোববার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদাধিকার বলে তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলাম। সভাপতি থাকাকালে একটি মিটিংয়ের চিঠি পেয়েছিলাম, ওতে জয়েন করেছি। এরপর আর কখনো আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। ধরে নিয়েছি সভাপতিত্ব শেষ হওয়ায় মনে হয় আমি আর ওই কমিটির সদস্য না। বর্তমান সভাপতি এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।’
শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘এ রকম কোনো কমিটির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’ তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তদন্তে কী পাওয়া গেছে, তা প্রতিবেদনে তুলে ধরব।’
আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমীন হকের বরাত দিয়ে বলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়’ আশ্বাস দেওয়ার এত দিন পরও কথা না রাখায় বিব্রত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন জাফর ইকবাল ও ইয়াসমীন হক। সর্বশেষ মাসখানেক আগেও তাঁরা শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন, তাঁদের নিয়মিত সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের কাজ চলছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, শাবিপ্রবি উপাচার্যকে সরানোর বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো ফাইলটি ফেরত এসেছে। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের বিষয়, সে ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। শিক্ষার্থীদের অনেক দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আন্দোলন শুরু হয়েছিল হল-সংক্রান্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে, সেগুলো সমাধান হয়েছে।’ তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কে মামলা করল না করল ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানে।’ সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, এখনো মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। মামলা প্রত্যাহার হয়নি।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির কাছে ছাত্রীদের অন্যতম দাবি ছিল, হলে প্রবেশের সময় বেঁধে দেওয়া যাবে না। কোনো কারণে হলে প্রবেশে দেরি হলে ছাত্রীদের হয়রানি নিয়েও পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ছিল। সার্বিক বিষয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ধরেননি। খুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমীন হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তাঁরা রিসিভ করেননি। একইভাবে যুক্তরাজ্যে সফররত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে ওই হলের ছাত্রীরা রাস্তায় নামেন। সেই থেকে আন্দোলনের সূচনা। ১৫ জানুয়ারি আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। এতে নতুন মাত্রা পায় আন্দোলন।
হলের পুরো প্রভোস্ট কমিটির অপসারণ, অব্যবস্থাপনা দূর, ছাত্রলীগের হামলার বিচার চেয়ে ১৬ জানুয়ারি শাবিপ্রবির আরও কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনে শামিল হন। সেদিন উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁকে মুক্ত করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ। একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সে সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও ছোড়েন ইটপাটকেল। সংঘর্ষকালে পুলিশ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০০ অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ১৭ জানুয়ারি রাতে মামলা করে পুলিশ।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে