আয়নাল হোসেন, ঢাকা
প্রতিবছরই দেশে উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানির পরিমাণ বাড়ছে। করোনাকালীন সময়ে গত এক বছরে রপ্তানি বেড়েছে ৬১ শতাংশ। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২০ সালে বিশ্বের ১৫৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি হয়, যার পরিমাণ ৪ হাজার ১৫৫ কোটি ৪৭ লাখ ১৫ হাজার ৬২ টাকা। আর গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ১৫৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করা হয় ৬ হাজার ৭০৯ কোটি ৭ লাখ ৪০ হাজার ৬২০ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ২ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা বা ৬১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে।
২০২১ সালে ২ হাজার ১৬৭ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করে শীর্ষে অবস্থান করছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। ১ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। ৬৩৫ কোটি টাকার রপ্তানি করে তৃতীয় অবস্থানে জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস। ৩৮২ কোটি টাকা অপসোনিন, ৩৬৫ কোটি টাকা ইনসেপটা, ৩৪৭ কোটি টাকা এসকেএফ ফার্মা, ১৩৯ কোটি টাকা এসিআই ফার্মা, ১৩৬ কোটি টাকা পপুলার ফার্মা এবং ১১৮ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। দেশের ৪৬টি কোম্পানি গত বছর ওষুধ রপ্তানি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে ওষুধ আমদানির সময় বায়োইকুইভ্যালেন্স স্টাডি করে তা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো নিজ দেশে বিতরণের সময় কোনো ওষুধেরই বায়োইকুইভ্যালেন্স স্টাডি করে না। অর্থাৎ দেশে বিতরণ করা ওষুধগুলো নিম্নমানের। তবে বায়োলজিক্যাল ওষুধগুলো বায়োইকুইভ্যালেন্স স্টাডি করা দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।
এক বছরে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ইয়াহ্ইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দ্য অ্যাগ্রিমেন্ট অন ট্রেড রিলেটেড অ্যাসপেক্টস অব ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস-ট্রিপস সুবিধার বাধ্যবাধকতা থাকায় ভারতসহ অনেক দেশই এই ৯টি ওষুধ উৎপাদন করতে পারেনি। অথচ বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে ৯টি ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানির সুযোগ পায়। ফলে দেশে এক বছরে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারতও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করে।’
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বলেন, ‘কোভিড-সংশ্লিষ্ট রেমডেসিভিরসহ বিভিন্ন ওষুধের বিদেশে বেশি চাহিদা ছিল। এ কারণে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে রপ্তানিতে বেক্সিমকো ফার্মাই শীর্ষ থাকবে। এ ক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসনের প্রতিবেদন সঠিক নয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিবেদন সঠিক।’
ওষুধ সম্পর্কিত পড়ুন:
প্রতিবছরই দেশে উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানির পরিমাণ বাড়ছে। করোনাকালীন সময়ে গত এক বছরে রপ্তানি বেড়েছে ৬১ শতাংশ। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২০ সালে বিশ্বের ১৫৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি হয়, যার পরিমাণ ৪ হাজার ১৫৫ কোটি ৪৭ লাখ ১৫ হাজার ৬২ টাকা। আর গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ১৫৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করা হয় ৬ হাজার ৭০৯ কোটি ৭ লাখ ৪০ হাজার ৬২০ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ২ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা বা ৬১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে।
২০২১ সালে ২ হাজার ১৬৭ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করে শীর্ষে অবস্থান করছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। ১ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। ৬৩৫ কোটি টাকার রপ্তানি করে তৃতীয় অবস্থানে জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস। ৩৮২ কোটি টাকা অপসোনিন, ৩৬৫ কোটি টাকা ইনসেপটা, ৩৪৭ কোটি টাকা এসকেএফ ফার্মা, ১৩৯ কোটি টাকা এসিআই ফার্মা, ১৩৬ কোটি টাকা পপুলার ফার্মা এবং ১১৮ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। দেশের ৪৬টি কোম্পানি গত বছর ওষুধ রপ্তানি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে ওষুধ আমদানির সময় বায়োইকুইভ্যালেন্স স্টাডি করে তা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো নিজ দেশে বিতরণের সময় কোনো ওষুধেরই বায়োইকুইভ্যালেন্স স্টাডি করে না। অর্থাৎ দেশে বিতরণ করা ওষুধগুলো নিম্নমানের। তবে বায়োলজিক্যাল ওষুধগুলো বায়োইকুইভ্যালেন্স স্টাডি করা দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।
এক বছরে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ইয়াহ্ইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দ্য অ্যাগ্রিমেন্ট অন ট্রেড রিলেটেড অ্যাসপেক্টস অব ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস-ট্রিপস সুবিধার বাধ্যবাধকতা থাকায় ভারতসহ অনেক দেশই এই ৯টি ওষুধ উৎপাদন করতে পারেনি। অথচ বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে ৯টি ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানির সুযোগ পায়। ফলে দেশে এক বছরে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারতও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করে।’
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বলেন, ‘কোভিড-সংশ্লিষ্ট রেমডেসিভিরসহ বিভিন্ন ওষুধের বিদেশে বেশি চাহিদা ছিল। এ কারণে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে রপ্তানিতে বেক্সিমকো ফার্মাই শীর্ষ থাকবে। এ ক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসনের প্রতিবেদন সঠিক নয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিবেদন সঠিক।’
ওষুধ সম্পর্কিত পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে