রিমন রহমান, রাজশাহী
চারতলা ভবনটির সামনের অংশের নিচে মাটি নেই। ভবনে ঢোকার সিঁড়িটি ধসে পড়তে পারে যেকোনো সময়। ধসে পড়া ঠেকাতে সিঁড়ির স্ল্যাবের নিচে একটি বাঁশ দিয়ে ঠেকনা দেওয়া আছে। ভবনের বাসিন্দারা এর ওপর দিয়েই চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে। সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য খনন করায় রাজশাহী মহানগরীর ফিরোজাবাদ এলাকার ভবনটির এমন দশা।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ রাজশাহী নগরীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে আমচত্বর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্ত করছে। এর সঙ্গেই চলছে সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ। এফ কনস্ট্রাকশন ও রানা বিল্ডার্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠান সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে কাজ করছে। এখন ড্রেনের জন্য খনন করা হচ্ছে একেবারেই ভবন ঘেঁষে। এতে অনেক ভবন ঝুঁকিতে। ভবনের মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে আমচত্বর থেকে বড়বনগ্রাম পর্যন্ত সড়কের একপাশে ড্রেন নির্মাণ করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এখানেই ড্রেনের জন্য খনন করা হয়েছে ভবন ঘেঁষে। সিটি করপোরেশন বলছে, ড্রেন নির্মাণের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে আইন দেখিয়ে সওজ বলছে, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ নেই।
নগরীর নওদাপাড়া, শালবাগান, ফিরোজাবাদ ও আমচত্বর এলাকায় গতকাল সোমবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, সওজের ড্রেনের জন্য গভীর করে খননের ফলে অনেকের ভবনের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। চলাচলের পথও বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের। কোথাও কোথাও চলাচলের জন্য দু-একটি মাচা দেওয়া হলেও বেশির ভাগকেই চলতে হচ্ছে ভিন্ন উপায়ে ঝুঁকি নিয়ে। শালবাগান এলাকায়সড়কের পাশে থাকা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের মহাস্থান রেজিমেন্টের সদর দপ্তরের প্রধান ফটকও বন্ধ হয়ে গেছে ড্রেনের খননের ফলে।
শালবাগান এলাকার একটি বহুতল ভবনের নাম ‘কৃষি পল্লি’। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আবাসনের জন্য কিছুদিন আগে ভবনটি করেছেন। কিন্তু সওজের ড্রেনের জন্য কয়েক দিন আগে ভবনের সামনে খনন করা হলে মাটি সরে গেছে। ভবনের সামনে বেজমেন্টের একটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এখানে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির চারপাশ থেকে মাটি সরে গেছে। চরম ঝুঁকিতে কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আছে খুঁটিটি। এতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত।
এ এলাকায় কালিপদ সাহা নামের এক ব্যক্তির চারতলা ভবনের সামনে ড্রেনের জন্য খনন করা হয়েছে। ফলে এই ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়েছে। খনন করার কারণে ভবনের নিচতলায় থাকা রডের গুদাম থেকে রড বের করা যাচ্ছে না। গুদামটি কিছুদিন ধরে বন্ধই আছে। কালিপদ সাহার ব্যবস্থাপক জ্যোতিষ কুমার বলেন, ‘এমনভাবে ড্রেনের কাজ হচ্ছে যে, বিল্ডিংই ঝুঁকিতে পড়েছে। গুদামটা যে খুলব তারও উপায় নেই। একটা মাচাও দেয়নি চলাচলের জন্য।’
ড্রেনের জন্য খনন করায় নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরিফুল হকের দোতলা ভবনের বারান্দায় ফাটল ধরেছে। তিনি বলেন, ‘কোনো রকম প্রোটেকশন ছাড়াই কাজ করা হচ্ছে। এতে আমাদের ঘরবাড়ি ঝুঁকিতে পড়েছে। মনে হচ্ছে বারান্দাটা ভেঙে পড়বে। ভেঙে না পড়লেও নতুন করে না করলে টিকবে না। আমরা যাঁরা এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, সওজকে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
তবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সওজের রাজশাহীর সড়ক উপবিভাগ-১ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাহিনুর রহমান। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী হাইওয়ে থেকে ১০ মিটার, মানে প্রায় ৩৩ ফুট দূরে ভবন নির্মাণ করতে হবে।
মো. নাহিনুর রহমান জানান, প্রায় পাঁচ ফুট গভীর করে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ডেনের প্রস্থও পাঁচ ফুট। এ কারণে গভীর করে মাটি কাটতে হচ্ছে। তাই কিছু স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
এদিকে নগরীর আমচত্বর থেকে বড়বনগ্রাম এলাকায় সড়কের পাশে রাসিকও প্রায় একই রকম ড্রেন নির্মাণ করছে। সেদিকেই অনেক স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়েছে। বড়বনগ্রাম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ড্রেন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে তোফাজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ির দেয়ালে ফাটল ধরেছে। তোফাজ্জল বলেন, দেয়ালের পাশে মাটি কাটার কারণে এমন ফাটল হয়েছে। তিনি বাড়ির পেছন দিকে নিয়ে গিয়ে ধসে পড়া দেয়াল দেখিয়ে বলেন, কাজের সময় এই দেয়ালটাও ভেঙেছে। নিজ খরচে নতুন করে পিলার দিতে হয়েছে।
রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ‘এ ধরনের ক্ষতি হলে আমরা ক্ষতিপূরণ দেব। সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। তোফাজ্জলের বিষয়টা জানা নেই। তিনি চাইলে তাঁকেও ক্ষতিপূরণ দেব। আমরা অনেককেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে একটু ক্ষতি হলেও মানুষকে বুঝিয়ে আমরা কাজটা করছি।’
চারতলা ভবনটির সামনের অংশের নিচে মাটি নেই। ভবনে ঢোকার সিঁড়িটি ধসে পড়তে পারে যেকোনো সময়। ধসে পড়া ঠেকাতে সিঁড়ির স্ল্যাবের নিচে একটি বাঁশ দিয়ে ঠেকনা দেওয়া আছে। ভবনের বাসিন্দারা এর ওপর দিয়েই চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে। সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য খনন করায় রাজশাহী মহানগরীর ফিরোজাবাদ এলাকার ভবনটির এমন দশা।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ রাজশাহী নগরীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে আমচত্বর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্ত করছে। এর সঙ্গেই চলছে সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ। এফ কনস্ট্রাকশন ও রানা বিল্ডার্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠান সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে কাজ করছে। এখন ড্রেনের জন্য খনন করা হচ্ছে একেবারেই ভবন ঘেঁষে। এতে অনেক ভবন ঝুঁকিতে। ভবনের মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে আমচত্বর থেকে বড়বনগ্রাম পর্যন্ত সড়কের একপাশে ড্রেন নির্মাণ করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এখানেই ড্রেনের জন্য খনন করা হয়েছে ভবন ঘেঁষে। সিটি করপোরেশন বলছে, ড্রেন নির্মাণের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে আইন দেখিয়ে সওজ বলছে, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ নেই।
নগরীর নওদাপাড়া, শালবাগান, ফিরোজাবাদ ও আমচত্বর এলাকায় গতকাল সোমবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, সওজের ড্রেনের জন্য গভীর করে খননের ফলে অনেকের ভবনের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। চলাচলের পথও বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের। কোথাও কোথাও চলাচলের জন্য দু-একটি মাচা দেওয়া হলেও বেশির ভাগকেই চলতে হচ্ছে ভিন্ন উপায়ে ঝুঁকি নিয়ে। শালবাগান এলাকায়সড়কের পাশে থাকা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের মহাস্থান রেজিমেন্টের সদর দপ্তরের প্রধান ফটকও বন্ধ হয়ে গেছে ড্রেনের খননের ফলে।
শালবাগান এলাকার একটি বহুতল ভবনের নাম ‘কৃষি পল্লি’। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আবাসনের জন্য কিছুদিন আগে ভবনটি করেছেন। কিন্তু সওজের ড্রেনের জন্য কয়েক দিন আগে ভবনের সামনে খনন করা হলে মাটি সরে গেছে। ভবনের সামনে বেজমেন্টের একটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এখানে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির চারপাশ থেকে মাটি সরে গেছে। চরম ঝুঁকিতে কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আছে খুঁটিটি। এতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত।
এ এলাকায় কালিপদ সাহা নামের এক ব্যক্তির চারতলা ভবনের সামনে ড্রেনের জন্য খনন করা হয়েছে। ফলে এই ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়েছে। খনন করার কারণে ভবনের নিচতলায় থাকা রডের গুদাম থেকে রড বের করা যাচ্ছে না। গুদামটি কিছুদিন ধরে বন্ধই আছে। কালিপদ সাহার ব্যবস্থাপক জ্যোতিষ কুমার বলেন, ‘এমনভাবে ড্রেনের কাজ হচ্ছে যে, বিল্ডিংই ঝুঁকিতে পড়েছে। গুদামটা যে খুলব তারও উপায় নেই। একটা মাচাও দেয়নি চলাচলের জন্য।’
ড্রেনের জন্য খনন করায় নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরিফুল হকের দোতলা ভবনের বারান্দায় ফাটল ধরেছে। তিনি বলেন, ‘কোনো রকম প্রোটেকশন ছাড়াই কাজ করা হচ্ছে। এতে আমাদের ঘরবাড়ি ঝুঁকিতে পড়েছে। মনে হচ্ছে বারান্দাটা ভেঙে পড়বে। ভেঙে না পড়লেও নতুন করে না করলে টিকবে না। আমরা যাঁরা এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, সওজকে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
তবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সওজের রাজশাহীর সড়ক উপবিভাগ-১ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাহিনুর রহমান। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী হাইওয়ে থেকে ১০ মিটার, মানে প্রায় ৩৩ ফুট দূরে ভবন নির্মাণ করতে হবে।
মো. নাহিনুর রহমান জানান, প্রায় পাঁচ ফুট গভীর করে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ডেনের প্রস্থও পাঁচ ফুট। এ কারণে গভীর করে মাটি কাটতে হচ্ছে। তাই কিছু স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
এদিকে নগরীর আমচত্বর থেকে বড়বনগ্রাম এলাকায় সড়কের পাশে রাসিকও প্রায় একই রকম ড্রেন নির্মাণ করছে। সেদিকেই অনেক স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়েছে। বড়বনগ্রাম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ড্রেন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে তোফাজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ির দেয়ালে ফাটল ধরেছে। তোফাজ্জল বলেন, দেয়ালের পাশে মাটি কাটার কারণে এমন ফাটল হয়েছে। তিনি বাড়ির পেছন দিকে নিয়ে গিয়ে ধসে পড়া দেয়াল দেখিয়ে বলেন, কাজের সময় এই দেয়ালটাও ভেঙেছে। নিজ খরচে নতুন করে পিলার দিতে হয়েছে।
রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ‘এ ধরনের ক্ষতি হলে আমরা ক্ষতিপূরণ দেব। সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। তোফাজ্জলের বিষয়টা জানা নেই। তিনি চাইলে তাঁকেও ক্ষতিপূরণ দেব। আমরা অনেককেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে একটু ক্ষতি হলেও মানুষকে বুঝিয়ে আমরা কাজটা করছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে