মো. মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল
নাগরপুর উপজেলার বেকরা গ্রামের আলাউদ্দিনের অ্যাজমা সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ৩ ডিসেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেদিন সকালেই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু সিট বরাদ্দ না পাওয়ায় পাঁচ দিন ধরে আছেন মেঝেতে।
মেডিসিন বিভাগের বারান্দার মেঝেতে থাকা আলাউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, একজন অ্যাজমা রোগী এই শীতের মধ্যে মেঝেতে থাকলে অসুখ কমবে কীভাবে? টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
শুধু আলাউদ্দিন নন, সিট না পাওয়ায় তাঁর পাশেই বারান্দার মেঝেতে শুয়ে আছেন ভূঞাপুরের বলরামপুর গ্রামের হেহের আলীর সাত বছরের ছেলে নাইম। নাইমের বাবা বলেন, ‘দুই দিন আগে ছেলে মাদ্রাসাতে পড়ার সময় অচেতন হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষকেরা জানালে চিকিৎসার জন্য এখানে নিয়ে আসা হয়। সিট বরাদ্দ না পাওয়ায় বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। এই শীতের মধ্যে মেঝেতে থাকতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
ক্ষোভ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সেবাই যদি না পাই তবে মেডিকেল কলেজ করে লাভ কী?’ শুধু এই দুই রোগীর স্বজনই না, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা চিকিৎসা সেবা নিতে হাসপাতালে আসছেন, তাঁদের বেশির ভাগের একই প্রশ্ন—কবে চালু হবে মেডিকেল কলেজ?
গত বুধবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন রোগী। একই অবস্থা হাসপাতালের অন্য বিভাগেও। প্রতিটি ওয়ার্ডেই সিটের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি। যে কারণে অনেক রোগীরই ঠাঁই হয় হাসপাতালের মেঝে কিংবা বারান্দায়।
কথা হয় কালিহাতী উপজেলার রেণু বেগমের সঙ্গে। কানের সমস্যা নিয়ে এসেছেন এখানে সকাল ৯টায়। বেলা ১১টার সময়ও ডাক্তার দেখাতে পারেননি। লম্বা লাইনের মাঝামাঝিতে দাঁড়িয়ে আছেন। রেণু বেগম বলেন, যদি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হতো, তবে সেখানে ডাক্তার দেখাতে যেতাম, তাহলে আর এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
ডাক্তার দেখাতে এসে ভোগান্তির কথা শোনালেন গোপালপুর থেকে আসা ৬৫ বছরের আবু বকর। পায়ের সমস্যা নিয়ে সকালবেলা এলেও বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডাক্তার দেখাতে পারেননি। বয়সের কারণে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতেই কষ্ট হচ্ছে। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে চিকিৎসা করাতে এসে রোগ আরও বেড়ে গেল’।
হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে জানতে চাইলে এখানকার তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে কাজ চালাতে হয়। তার ওপর প্রতিদিন ৪৫০ থেকে ৫০০ রোগী ভর্তি থাকে। আর বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ রোগী সেবা নিতে আসেন। যে কারণে সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। সীমিত সম্পদ নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। মেডিকেল কলেজ চালু হলে এই অবস্থার উন্নতি হবে।’
বিষয়টি নিয়ে টাঙ্গাইল সদর আসনের সাংসদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘টাঙ্গাইলে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেটি দিয়েছেন। ২০১৪ সালে মেডিকেল কলেজ হলেও হাসপাতালটি আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। প্রকল্প পরিচালকসহ যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না।’
আর মেডিকেল কলেজ কবে চালু হবে, জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কথা বলা যাবে না বলে জানান প্রকল্প পরিচালক ও টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নূরুল আমীন মিয়া।
নাগরপুর উপজেলার বেকরা গ্রামের আলাউদ্দিনের অ্যাজমা সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ৩ ডিসেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেদিন সকালেই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু সিট বরাদ্দ না পাওয়ায় পাঁচ দিন ধরে আছেন মেঝেতে।
মেডিসিন বিভাগের বারান্দার মেঝেতে থাকা আলাউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, একজন অ্যাজমা রোগী এই শীতের মধ্যে মেঝেতে থাকলে অসুখ কমবে কীভাবে? টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
শুধু আলাউদ্দিন নন, সিট না পাওয়ায় তাঁর পাশেই বারান্দার মেঝেতে শুয়ে আছেন ভূঞাপুরের বলরামপুর গ্রামের হেহের আলীর সাত বছরের ছেলে নাইম। নাইমের বাবা বলেন, ‘দুই দিন আগে ছেলে মাদ্রাসাতে পড়ার সময় অচেতন হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষকেরা জানালে চিকিৎসার জন্য এখানে নিয়ে আসা হয়। সিট বরাদ্দ না পাওয়ায় বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। এই শীতের মধ্যে মেঝেতে থাকতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
ক্ষোভ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সেবাই যদি না পাই তবে মেডিকেল কলেজ করে লাভ কী?’ শুধু এই দুই রোগীর স্বজনই না, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা চিকিৎসা সেবা নিতে হাসপাতালে আসছেন, তাঁদের বেশির ভাগের একই প্রশ্ন—কবে চালু হবে মেডিকেল কলেজ?
গত বুধবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন রোগী। একই অবস্থা হাসপাতালের অন্য বিভাগেও। প্রতিটি ওয়ার্ডেই সিটের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি। যে কারণে অনেক রোগীরই ঠাঁই হয় হাসপাতালের মেঝে কিংবা বারান্দায়।
কথা হয় কালিহাতী উপজেলার রেণু বেগমের সঙ্গে। কানের সমস্যা নিয়ে এসেছেন এখানে সকাল ৯টায়। বেলা ১১টার সময়ও ডাক্তার দেখাতে পারেননি। লম্বা লাইনের মাঝামাঝিতে দাঁড়িয়ে আছেন। রেণু বেগম বলেন, যদি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হতো, তবে সেখানে ডাক্তার দেখাতে যেতাম, তাহলে আর এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
ডাক্তার দেখাতে এসে ভোগান্তির কথা শোনালেন গোপালপুর থেকে আসা ৬৫ বছরের আবু বকর। পায়ের সমস্যা নিয়ে সকালবেলা এলেও বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডাক্তার দেখাতে পারেননি। বয়সের কারণে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতেই কষ্ট হচ্ছে। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে চিকিৎসা করাতে এসে রোগ আরও বেড়ে গেল’।
হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে জানতে চাইলে এখানকার তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে কাজ চালাতে হয়। তার ওপর প্রতিদিন ৪৫০ থেকে ৫০০ রোগী ভর্তি থাকে। আর বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ রোগী সেবা নিতে আসেন। যে কারণে সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। সীমিত সম্পদ নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। মেডিকেল কলেজ চালু হলে এই অবস্থার উন্নতি হবে।’
বিষয়টি নিয়ে টাঙ্গাইল সদর আসনের সাংসদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘টাঙ্গাইলে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেটি দিয়েছেন। ২০১৪ সালে মেডিকেল কলেজ হলেও হাসপাতালটি আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। প্রকল্প পরিচালকসহ যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না।’
আর মেডিকেল কলেজ কবে চালু হবে, জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কথা বলা যাবে না বলে জানান প্রকল্প পরিচালক ও টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নূরুল আমীন মিয়া।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে