Ajker Patrika

সাংসদের চাপে চেয়ারম্যান প্রার্থী এলাকাছাড়া

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ৪৫
সাংসদের চাপে চেয়ারম্যান প্রার্থী এলাকাছাড়া

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দ্বীন মোহাম্মদ মাদবর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্বীন মোহাম্মদের অভিযোগ, শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ নাহিম রাজ্জাক তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গতকাল সাংসদ নাহিম রাজ্জাককে মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ধরেননি। এ কারণে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর ডামুড্যা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ইসলামপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ মাদবর ও মোসলেম আলী ঢালী।

নির্বাচনে সাংসদ নাহিম রাজ্জাক আবুল হোসেন মোল্লাকে সমর্থন দিয়েছেন। নির্বাচনের শুরু থেকেই দ্বীন মোহাম্মদ মাদবরকে নির্বাচন না করার অনুরোধ করেন সাংসদ। সাংসদের অনুরোধ উপেক্ষা করে মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন দ্বীন মোহাম্মদ মাদবর। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংসদ গত শনিবার দুপুরে দলবল নিয়ে হাজির হন দ্বীন মোহাম্মদের বাড়িতে। বাড়ির উঠানে সভায় বক্তব্যে দ্বীন মোহাম্মদকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করেন সাংসদ নাহিম রাজ্জাক। তখন দ্বীন মোহাম্মদের সমর্থকেরা সাংসদের এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।

দ্বীন মোহাম্মদের বাড়িতে ওই সভার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দ্বীন মোহাম্মদকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করে সাংসদকে বলতে শোনা যায়: ‘এর আগে দ্বীন মোহাম্মদকে চেয়ারম্যান বানিয়েছি, সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে। এখনো তাকে ভালো একটা জায়গায় বসানোর দায়িত্ব আমাদের। নির্বাচন বড় না আমি বড়? আমার ওপর আস্থা আছে?’ এ সময় উপস্থিত লোকজন একযোগে ‘মানি না’ বলে প্রতিবাদ করেন।

দ্বীন মোহাম্মদ মাদবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, আমরা সবাই আওয়ামী পরিবারের লোক। অথচ সাংসদ প্রকাশ্যে আমার প্রতিপক্ষ আবুল মোল্লার পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাপ দিচ্ছেন। এমপি আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাওয়ার কথা বলার পর থেকে সন্ত্রাসীরা আমাকে এলাকায় যেতে দিচ্ছে না। আমাকে ও আমার সমর্থকদের নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। আমি ডামুড্যা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি এবং জেলা ডিবি কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও জানিয়েছি।’

জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডামুড্যা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ আজিজুর রহমান বলেন, সাংসদ নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে প্রচার-প্রচারণা বা কাউকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে লোকমুখে শুনেছি, তিনি এলাকায় এসেছিলেন। শুনে তো আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত