কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২২, ০৭: ৪৩
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২২, ১৩: ১৬

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকায় কুতুবদিয়া চ্যানেলে খননযন্ত্র বসিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে দুই সপ্তাহ ধরে পরিবেশ বিধ্বংসী এ কাজ চলে আসলেও দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, মগনামা লঞ্চঘাঠের অদূরে শক্তিশালী খননযন্ত্র বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু তোলা হচ্ছে। এসব বালু প্লাস্টিকের পাইপের মাধ্যমে দুইশো মিটার দূরে বেড়িবাঁধের ভেতরের অংশে মজুত করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ কেটে বসানো হয়েছে পাইপ। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের মগনামা লঞ্চঘাট ও কুতুবদিয়া চ্যানেলের দুই পাড়।

মগনামা ইউনিয়নে পরিষদের সাবেক সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে তুলে আনা বালুর সঙ্গে আসা লবণাক্ত পানি গড়িয়ে রাহাত আলী পাড়ার দশ একর জমির ধানখেত নষ্ট হয়েছে। পুকুরে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পুকুরের মাছ মরে যাচ্ছে। গৃহস্থালি কাজেও এসব পুকুর ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

ড্রেজার মালিক আসিফ চৌধুরী বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামিল ইকবাল এন্টারপ্রাইজের জন্য বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তারা এসব বালু বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজে ব্যবহার করবে।’

বালু উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ‘বালু সাথে চ্যানেল থেকে আসা লবণাক্ত পানি লোকালয়ে না যায় মতো আমরা আট লাখ টাকা ব্যয়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ করেছি। তারপর লবণাক্ত পানি লোকালয়ে যাচ্ছে কিনা, তা আমি খোঁজ নেব।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুপ চক্রবর্তী বলেন, বেড়িবাঁধ কাটার বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সাগর চ্যানেল থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত