খায়রুল বাসার নির্ঝর
‘স্পর্শ’ সিনেমায় অভিনয় করতে রাজি হলেন কেন?
সিনেমাটি খুবই ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট নিয়ে তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের সিনেমা আমি করতে চাই। বাংলা সিনেমা এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত হয়েছে। অনেক পরিণত সাবজেক্ট আমরা পাচ্ছি। মনে হয়েছিল, সিনেমাটি করতে পারলে আমার খুব ভালো লাগবে। এর আগে কলকাতায় ১২ দিনের শুটিং করেছি। বাংলাদেশ অংশের শুটিংয়ের জন্য অনেক দিন ধরে আমাদের কথাবার্তা চলছিল। অবশেষে আমি আসতে পারলাম। আমার আর নিরবের খুব ইন্টারেস্টিং চরিত্র এ ছবিতে। ডিরেক্টর খুব সুন্দর স্ক্রিপ্ট লিখেছেন আমাদের নিয়ে। নিরব তো হ্যান্ডসাম হিরো। খুব ভালো করেছে সে। আমাদের কেমিস্ট্রিটা দর্শকের ভালো লাগবে। আমি জানি, বাংলাদেশের দর্শক আমাকে খুব ভালোবাসেন। আমার নতুন নতুন কাজ তাঁরা দেখতে চান।
স্পর্শ কী নিয়ে তৈরি হচ্ছে?
স্পর্শ আসলে খুব সেনসিটিভ একটা শব্দ। এর অনেক রকম মানে হয়। এ সিনেমায়ও স্পর্শর অনেক রকম মানে আছে, দর্শক সিনেমাটি দেখলে বুঝতে পারবেন। স্পর্শ শুধু একটা কিছুকে কেন্দ্র করে নয়; বহু সম্পর্কের ভেতরে স্পর্শ কীভাবে কাজ করে, সেটা নিয়েই কথা।
বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সিনেমার মধ্যে তুলনা টানতে বললে কোন ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে রাখবেন?
দুটো জায়গার দুটো ধারা। এভাবে তুলনা করা যায় না। দুই জায়গাতেই খুব ইন্টারেস্টিং কাজ হচ্ছে। কনটেন্ট এখন একটা অন্য জায়গায় চলে গেছে। এখন ওটিটি যেভাবে এসেছে, সেখানে আমরা নতুন কনটেন্ট পাচ্ছি, নতুন শিল্পী ও নির্মাতারা কাজ করছে। পুরোনো অনেক শিল্পী ফিরে আসছেন। এখন আমার মনে হয়, কনটেন্ট ইজ দ্য কিং। কনটেন্ট যত ভালো তৈরি হবে, শিল্পীরাও নিজেদের নতুনভাবে এক্সপ্রেস করতে পারবেন।
বাংলাদেশের অনেক অভিনেতার সঙ্গে আপনি কাজ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কারা আপনার বেশি প্রিয়?
আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তারা সবাই আমার খুব ফেবারিট। এত ভালো সম্পর্ক আমার সবার সঙ্গে! ফেরদৌস আমার খুব ভালো বন্ধু। তার সঙ্গে অনেক বছরের সম্পর্ক, ফ্যামিলির মতো আমাদের রিলেশনশিপ। মান্না ভাইয়ের কথা বলব। তাঁর সঙ্গে প্রচুর কাজ করেছি। মান্না ভাইকে খুব মিস করি। অদ্ভুত তাঁর স্টারডম ছিল। এখনো তাঁর স্ত্রী শেলি আপার সঙ্গে আমার গভীর যোগাযোগ। আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি, তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক আমার রয়েই যায়। আমিন খানের সঙ্গে অভিনয় করেছি, রিসেন্টলি আরিফিন শুভর সঙ্গে কাজ হয়েছে। ফলে সবার সঙ্গেই আমার সুসম্পর্ক। আমি যাঁকে খুব সম্মান করি এবং ভালোবাসি, তিনি হচ্ছেন আলমগীর ভাই। তাঁর সঙ্গেও অনেক কাজ করেছি। তাঁর পরিচালনায় কাজ করেছি। এখন নিরবের সঙ্গে করছি। আমি মনে করি, অভিনয়শিল্পীরা তাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে বেঁচে থাকে। আমি ওই ভার্সেটাইল জায়গাটার মধ্যে বেঁচে থাকতে চাই।
৫২ বছর বয়সেও আপনি ফিটনেস ধরে রেখেছেন…
(রেগে গিয়ে) এটা বলার কি খুব দরকার? নায়িকাদের এ প্রশ্ন কখনো করতে নেই। আর ওই বয়সটা এখনো হয়নি আমার, যেটা আপনি বলছেন।
আপনার কাঁধে ব্যান্ডেজ দেখতে পাচ্ছি। আঘাত পেয়েছেন?
পরশু দিন সেটে একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। আমি একটা নতুন ছবির শুটিং করছি। ‘দাবাড়ু’ নাম। একটা শট ছিল—আমি রান্না করছি, কড়াইয়ের মধ্যে একটা বল এসে পড়বে এবং সেটা উল্টে যাবে। উল্টে না গিয়ে গরম পানি ছিটকে এমন ছ্যাঁকা লেগেছে যে একটু ক্ষত হয়ে গেছে। কিন্তু শুটিং শিডিউল আবার মিস করা যাবে না। ব্যথা নিয়েই কাজ করব; কারণ, আমি মনে করি, দিস ইজ মাই কমিটমেন্ট।
সম্প্রতি বাংলাদেশের কোনো সিনেমা দেখা হয়েছে?
বেশ কিছু ছবি রিলিজ হয়েছে। ‘সুড়ঙ্গ’ নিয়ে খুব আলাপ হচ্ছে। তার আগে ‘হাওয়া’। চঞ্চলের সঙ্গে আমার দেখা হলো কয়েক দিন আগে। আমরা আমেরিকাতে একটা শো করলাম একসঙ্গে। মৃণাল সেনকে নিয়ে একটা সেমিনার ছিল, সেখানে আমার বক্তব্যও ছিল—আমরা একসঙ্গে অংশ নিয়েছিলাম অনুষ্ঠানে। আর আমার বন্ধুর ছবিও রিলিজ হয়েছে না? ফেরদৌসের? ‘মাইক’ সিনেমার জন্য ওকে আমার অনেক শুভেচ্ছা। ওর আরেকটা ছবি আসছে বোধ হয় ‘১৯৭১: সেই সব দিন’ নামে।
প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি টালিউডে খুব বিখ্যাত। আপনারা নতুন কোনো কাজ করছেন একসঙ্গে?
১৫ বছর পরেও যখন আমরা ‘প্রাক্তন’ বলে একটা ছবি করেছি, সেটা পুরো বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। তার এক-দেড় বছর পর ‘দৃষ্টিকোণ’ নামে আরেকটা ছবি করলাম, কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায়। সেটাও ম্যাসিভ হিট। এর পরে আমরা আরেকটা ছবি করব, যেটা আমাদের ক্যারিয়ারের ৫০তম ছবি হবে। সে স্ক্রিপ্টটা লেখা হচ্ছে।
জনপ্রিয়তার পাশাপাশি আপনাদের নিয়ে কিছু সমালোচনাও আছে। শ্রীলেখা মিত্র অভিযোগ করেছিলেন, ওই সময় আপনারা মনোপলি করে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেককে কাজ করতে দেননি। এ নিয়ে কিছু বলবেন?
যোদ্ধারা সব সময় যুদ্ধ করেই জিতেছে। আমি নিজেকে একজন চলচ্চিত্রকর্মী এবং চলচ্চিত্রের যোদ্ধা বলেই মনে করি। আমার সম্বন্ধে কে কী বলল, আই ডোন্ট কেয়ার। আমি কাজ দিয়েই আমার পরিচয় দিয়ে দিয়েছি। তা ছাড়া এত বছর তো পরিশ্রম ছাড়া, ভালো কাজ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা যায় না। শাহরুখ খান আমাকে বলেছিলেন, ইন্ডাস্ট্রি খুবই নির্মম জায়গা। এখানে যুদ্ধ করেই নিজের জায়গা তৈরি করতে হয়।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সিনেমায় কাজ শুরু করল। আপনার সন্তানদের নিয়ে কী পরিকল্পনা? ওরা সিনেমায় আসবে?
না, ওরা এখন পড়াশোনা করছে। ছেলে আমেরিকাতে আছে, আর মেয়ে সিঙ্গাপুরে। মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়ে। ছেলে জাস্ট টুয়েলভ শেষ করেছে। এখন এ ধরনের কোনো প্ল্যান নেই।
বলিউডে নতুন কাজের খবর আছে?
বলিউডে আমার চারটি ছবি রেডি। শিগগির রিলিজ হবে। ‘স্পর্শ’ সিনেমার শুটিং শেষ করেই আবার মুম্বাই যাব। ‘কালত্রিঘরি’ নামে একটা সিনেমা করলাম আরবাজ খানের সঙ্গে। ওটা তাড়াতাড়িই আসবে। আরেকটা সিনেমা করলাম, দীপক তিরোজি কামব্যাক করল একটা লাভস্টোরিতে। আরেকটা একটু অন্য ধরনের ছবি করছি। যেটার নাম ‘ইকতার’। সেটাও আসছে।
বাংলাদেশের প্রতি আপনার একটা আবেগের জায়গা আছে। আপনার মা-বাবার জন্মস্থান এখানে…
বাংলাদেশ তো আমারই দেশ। আমি তো এটাকে আলাদা করে দেখি না। সে জন্য বোধ হয় এখানকার মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে। কারণ, আমার বাবার দেশ বিক্রমপুর, আর মায়ের দেশ মানিকগঞ্জ। ফলে আমার একটা ভিত আছে এখানে। আমি যখন একটা ছবি করতে এসেছিলাম অনেক বছর আগে, তখন মায়ের জন্মস্থানে গিয়েছিলাম। সেটা দেখে এসেছিলাম।
এখানকার কোন খাবার বেশি পছন্দ আপনার?
বাংলাদেশের ভর্তা আমার সবচেয়ে ফেবারিট। এটা খেতে হবে। সে যে ভর্তাই হোক, চিংড়িভর্তা, আলুভর্তা, বেগুনভর্তা। আর ভালো লাগে কাচ্চি বিরিয়ানি, তেহারি এবং অবশ্যই ইলিশ মাছ।
শুনেছি শিক্ষিকা হিসেবে নাকি আপনি খুব ভালো?
আমি আসলে টিচার হতে চেয়েছিলাম। টিচিং প্রফেশনটাকে খুব ভালোবাসি। আমার নিজের ভেতরে একটা শিক্ষিকা সত্তা আছে। আমার মেয়ে বলে, ইউ আর ভেরি গুড টিচার। আমার মেয়ের পরীক্ষার সময় আমিই পড়াই। বাট যেটা ডেসটিনি, ঈশ্বর যেটা আমার জন্য রেখেছেন, সেটাই আমি করেছি। আর সেটা ভালো করে যাতে করতে পারি, তার জন্য পরবর্তীকালে প্রচুর পরিশ্রম করেছি।
‘স্পর্শ’ সিনেমায় অভিনয় করতে রাজি হলেন কেন?
সিনেমাটি খুবই ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট নিয়ে তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের সিনেমা আমি করতে চাই। বাংলা সিনেমা এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত হয়েছে। অনেক পরিণত সাবজেক্ট আমরা পাচ্ছি। মনে হয়েছিল, সিনেমাটি করতে পারলে আমার খুব ভালো লাগবে। এর আগে কলকাতায় ১২ দিনের শুটিং করেছি। বাংলাদেশ অংশের শুটিংয়ের জন্য অনেক দিন ধরে আমাদের কথাবার্তা চলছিল। অবশেষে আমি আসতে পারলাম। আমার আর নিরবের খুব ইন্টারেস্টিং চরিত্র এ ছবিতে। ডিরেক্টর খুব সুন্দর স্ক্রিপ্ট লিখেছেন আমাদের নিয়ে। নিরব তো হ্যান্ডসাম হিরো। খুব ভালো করেছে সে। আমাদের কেমিস্ট্রিটা দর্শকের ভালো লাগবে। আমি জানি, বাংলাদেশের দর্শক আমাকে খুব ভালোবাসেন। আমার নতুন নতুন কাজ তাঁরা দেখতে চান।
স্পর্শ কী নিয়ে তৈরি হচ্ছে?
স্পর্শ আসলে খুব সেনসিটিভ একটা শব্দ। এর অনেক রকম মানে হয়। এ সিনেমায়ও স্পর্শর অনেক রকম মানে আছে, দর্শক সিনেমাটি দেখলে বুঝতে পারবেন। স্পর্শ শুধু একটা কিছুকে কেন্দ্র করে নয়; বহু সম্পর্কের ভেতরে স্পর্শ কীভাবে কাজ করে, সেটা নিয়েই কথা।
বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সিনেমার মধ্যে তুলনা টানতে বললে কোন ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে রাখবেন?
দুটো জায়গার দুটো ধারা। এভাবে তুলনা করা যায় না। দুই জায়গাতেই খুব ইন্টারেস্টিং কাজ হচ্ছে। কনটেন্ট এখন একটা অন্য জায়গায় চলে গেছে। এখন ওটিটি যেভাবে এসেছে, সেখানে আমরা নতুন কনটেন্ট পাচ্ছি, নতুন শিল্পী ও নির্মাতারা কাজ করছে। পুরোনো অনেক শিল্পী ফিরে আসছেন। এখন আমার মনে হয়, কনটেন্ট ইজ দ্য কিং। কনটেন্ট যত ভালো তৈরি হবে, শিল্পীরাও নিজেদের নতুনভাবে এক্সপ্রেস করতে পারবেন।
বাংলাদেশের অনেক অভিনেতার সঙ্গে আপনি কাজ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কারা আপনার বেশি প্রিয়?
আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তারা সবাই আমার খুব ফেবারিট। এত ভালো সম্পর্ক আমার সবার সঙ্গে! ফেরদৌস আমার খুব ভালো বন্ধু। তার সঙ্গে অনেক বছরের সম্পর্ক, ফ্যামিলির মতো আমাদের রিলেশনশিপ। মান্না ভাইয়ের কথা বলব। তাঁর সঙ্গে প্রচুর কাজ করেছি। মান্না ভাইকে খুব মিস করি। অদ্ভুত তাঁর স্টারডম ছিল। এখনো তাঁর স্ত্রী শেলি আপার সঙ্গে আমার গভীর যোগাযোগ। আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি, তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক আমার রয়েই যায়। আমিন খানের সঙ্গে অভিনয় করেছি, রিসেন্টলি আরিফিন শুভর সঙ্গে কাজ হয়েছে। ফলে সবার সঙ্গেই আমার সুসম্পর্ক। আমি যাঁকে খুব সম্মান করি এবং ভালোবাসি, তিনি হচ্ছেন আলমগীর ভাই। তাঁর সঙ্গেও অনেক কাজ করেছি। তাঁর পরিচালনায় কাজ করেছি। এখন নিরবের সঙ্গে করছি। আমি মনে করি, অভিনয়শিল্পীরা তাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে বেঁচে থাকে। আমি ওই ভার্সেটাইল জায়গাটার মধ্যে বেঁচে থাকতে চাই।
৫২ বছর বয়সেও আপনি ফিটনেস ধরে রেখেছেন…
(রেগে গিয়ে) এটা বলার কি খুব দরকার? নায়িকাদের এ প্রশ্ন কখনো করতে নেই। আর ওই বয়সটা এখনো হয়নি আমার, যেটা আপনি বলছেন।
আপনার কাঁধে ব্যান্ডেজ দেখতে পাচ্ছি। আঘাত পেয়েছেন?
পরশু দিন সেটে একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। আমি একটা নতুন ছবির শুটিং করছি। ‘দাবাড়ু’ নাম। একটা শট ছিল—আমি রান্না করছি, কড়াইয়ের মধ্যে একটা বল এসে পড়বে এবং সেটা উল্টে যাবে। উল্টে না গিয়ে গরম পানি ছিটকে এমন ছ্যাঁকা লেগেছে যে একটু ক্ষত হয়ে গেছে। কিন্তু শুটিং শিডিউল আবার মিস করা যাবে না। ব্যথা নিয়েই কাজ করব; কারণ, আমি মনে করি, দিস ইজ মাই কমিটমেন্ট।
সম্প্রতি বাংলাদেশের কোনো সিনেমা দেখা হয়েছে?
বেশ কিছু ছবি রিলিজ হয়েছে। ‘সুড়ঙ্গ’ নিয়ে খুব আলাপ হচ্ছে। তার আগে ‘হাওয়া’। চঞ্চলের সঙ্গে আমার দেখা হলো কয়েক দিন আগে। আমরা আমেরিকাতে একটা শো করলাম একসঙ্গে। মৃণাল সেনকে নিয়ে একটা সেমিনার ছিল, সেখানে আমার বক্তব্যও ছিল—আমরা একসঙ্গে অংশ নিয়েছিলাম অনুষ্ঠানে। আর আমার বন্ধুর ছবিও রিলিজ হয়েছে না? ফেরদৌসের? ‘মাইক’ সিনেমার জন্য ওকে আমার অনেক শুভেচ্ছা। ওর আরেকটা ছবি আসছে বোধ হয় ‘১৯৭১: সেই সব দিন’ নামে।
প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি টালিউডে খুব বিখ্যাত। আপনারা নতুন কোনো কাজ করছেন একসঙ্গে?
১৫ বছর পরেও যখন আমরা ‘প্রাক্তন’ বলে একটা ছবি করেছি, সেটা পুরো বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। তার এক-দেড় বছর পর ‘দৃষ্টিকোণ’ নামে আরেকটা ছবি করলাম, কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায়। সেটাও ম্যাসিভ হিট। এর পরে আমরা আরেকটা ছবি করব, যেটা আমাদের ক্যারিয়ারের ৫০তম ছবি হবে। সে স্ক্রিপ্টটা লেখা হচ্ছে।
জনপ্রিয়তার পাশাপাশি আপনাদের নিয়ে কিছু সমালোচনাও আছে। শ্রীলেখা মিত্র অভিযোগ করেছিলেন, ওই সময় আপনারা মনোপলি করে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেককে কাজ করতে দেননি। এ নিয়ে কিছু বলবেন?
যোদ্ধারা সব সময় যুদ্ধ করেই জিতেছে। আমি নিজেকে একজন চলচ্চিত্রকর্মী এবং চলচ্চিত্রের যোদ্ধা বলেই মনে করি। আমার সম্বন্ধে কে কী বলল, আই ডোন্ট কেয়ার। আমি কাজ দিয়েই আমার পরিচয় দিয়ে দিয়েছি। তা ছাড়া এত বছর তো পরিশ্রম ছাড়া, ভালো কাজ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা যায় না। শাহরুখ খান আমাকে বলেছিলেন, ইন্ডাস্ট্রি খুবই নির্মম জায়গা। এখানে যুদ্ধ করেই নিজের জায়গা তৈরি করতে হয়।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সিনেমায় কাজ শুরু করল। আপনার সন্তানদের নিয়ে কী পরিকল্পনা? ওরা সিনেমায় আসবে?
না, ওরা এখন পড়াশোনা করছে। ছেলে আমেরিকাতে আছে, আর মেয়ে সিঙ্গাপুরে। মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়ে। ছেলে জাস্ট টুয়েলভ শেষ করেছে। এখন এ ধরনের কোনো প্ল্যান নেই।
বলিউডে নতুন কাজের খবর আছে?
বলিউডে আমার চারটি ছবি রেডি। শিগগির রিলিজ হবে। ‘স্পর্শ’ সিনেমার শুটিং শেষ করেই আবার মুম্বাই যাব। ‘কালত্রিঘরি’ নামে একটা সিনেমা করলাম আরবাজ খানের সঙ্গে। ওটা তাড়াতাড়িই আসবে। আরেকটা সিনেমা করলাম, দীপক তিরোজি কামব্যাক করল একটা লাভস্টোরিতে। আরেকটা একটু অন্য ধরনের ছবি করছি। যেটার নাম ‘ইকতার’। সেটাও আসছে।
বাংলাদেশের প্রতি আপনার একটা আবেগের জায়গা আছে। আপনার মা-বাবার জন্মস্থান এখানে…
বাংলাদেশ তো আমারই দেশ। আমি তো এটাকে আলাদা করে দেখি না। সে জন্য বোধ হয় এখানকার মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে। কারণ, আমার বাবার দেশ বিক্রমপুর, আর মায়ের দেশ মানিকগঞ্জ। ফলে আমার একটা ভিত আছে এখানে। আমি যখন একটা ছবি করতে এসেছিলাম অনেক বছর আগে, তখন মায়ের জন্মস্থানে গিয়েছিলাম। সেটা দেখে এসেছিলাম।
এখানকার কোন খাবার বেশি পছন্দ আপনার?
বাংলাদেশের ভর্তা আমার সবচেয়ে ফেবারিট। এটা খেতে হবে। সে যে ভর্তাই হোক, চিংড়িভর্তা, আলুভর্তা, বেগুনভর্তা। আর ভালো লাগে কাচ্চি বিরিয়ানি, তেহারি এবং অবশ্যই ইলিশ মাছ।
শুনেছি শিক্ষিকা হিসেবে নাকি আপনি খুব ভালো?
আমি আসলে টিচার হতে চেয়েছিলাম। টিচিং প্রফেশনটাকে খুব ভালোবাসি। আমার নিজের ভেতরে একটা শিক্ষিকা সত্তা আছে। আমার মেয়ে বলে, ইউ আর ভেরি গুড টিচার। আমার মেয়ের পরীক্ষার সময় আমিই পড়াই। বাট যেটা ডেসটিনি, ঈশ্বর যেটা আমার জন্য রেখেছেন, সেটাই আমি করেছি। আর সেটা ভালো করে যাতে করতে পারি, তার জন্য পরবর্তীকালে প্রচুর পরিশ্রম করেছি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে