মাসুদ পারভেজ, কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের একদিকে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এর ওপরে ঘন ঘন হচ্ছে বিদ্যুৎবিভ্রাট। এমনকি রাতের বেলায়ও একাধিকবার বিদ্যুৎ যাওয়ায় চরম আকার ধারণ করেছে ভোগান্তি। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, জেলায় বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু গরমের তীব্রতা বাড়লে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। সেই চাহিদার কারণে ট্রান্সমিটার লোড নিতে না পারায় বারবার লাইন আউট হয়ে যাচ্ছে। সেটি মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩-৪ দিন ধরে কালীগঞ্জে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে মাঠে-ঘাটে। শুধু দিনের বেলায় নয়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় এলাকাবাসীর। দিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতেও একটু পরপরই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ বিস্তর। উপজেলার প্রতিটি এলাকাতেই এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।
উপজেলার মৌতলা এলাকার বাসিন্দা আবু রায়হান বলেন, ‘দিনের বেলায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়াতে যতটা ভোগান্তি বাড়ায়, রাতের বেলা এর কয়েকগুণ বেশি হয়। গত বুধবার দিবাগত রাতেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কয়েকবার ঘুম থেকে উঠে বাইরে যেতে হয়েছে। এ ছাড়া খাবারের সময়, নামাজের সময়ও বিদ্যুতের আসা যাওয়া অব্যাহত থাকে।’
আবু রায়হান আরও বলেন, ‘আমাদের তাও যেমন-তেমন চলে। শিশুরা আরও বেশি সমস্যায় রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে তাঁরা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি করে।’
কুশুলিয়া এলাকারা ব্যবসায়ী কবীর হোসেন বলেন, ‘রাতে যে কতবার বিদ্যুৎ গেছে তার কোনো হিসেব নেই। এর মধ্যে ভোরবেলা বিদ্যুৎ গেছে তো আর আসার নামই নেই। সারা রাত জেগে থেকে সারা দিন কি কাজ করা যায়।’
একই এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত বিশ্বাসের দাবি, ‘বারবার বিদ্যুৎ অফিসে কল দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। গ্রাহকদের সমস্যা যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো বিষয়ই না। নিজেরে মতো করে বিদ্যুৎ দেওয়া-নেওয়া করাই তাঁদের কাজ।’
কবীর হোসেন আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ঘরের টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস জিনিস অকেজো হয়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলাতে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে এসি, ফ্রিজের ব্যবহারও বেড়েছে। এতে বিদ্যুতের যে ট্রান্সমিটার রয়েছে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে লোড নিতে পারছে না। ফলে কিছু সময় পরপরই লাইন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
আব্দুর রহমান আরও বলেন, ‘বন্ধ হয়ে যাওয়া লাইন সচল করতে অন্য সংযোগগুলোও অনেক সময় বিচ্ছিন্ন করতে হয়। যার কারণে লোডশেডিং বেড়েছে। তবে জনগণকে এ সমস্যাটা বুঝতে হবে। কারণ এটি মানবসৃষ্ট কোনো সমস্যা নয়। সর্বোপরি আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আপগ্রেড করছে সরকার, যার সুফল অচিরেই আমাদের নতুন প্রজন্ম ভোগ করবে।’
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের একদিকে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এর ওপরে ঘন ঘন হচ্ছে বিদ্যুৎবিভ্রাট। এমনকি রাতের বেলায়ও একাধিকবার বিদ্যুৎ যাওয়ায় চরম আকার ধারণ করেছে ভোগান্তি। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, জেলায় বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু গরমের তীব্রতা বাড়লে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। সেই চাহিদার কারণে ট্রান্সমিটার লোড নিতে না পারায় বারবার লাইন আউট হয়ে যাচ্ছে। সেটি মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩-৪ দিন ধরে কালীগঞ্জে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে মাঠে-ঘাটে। শুধু দিনের বেলায় নয়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় এলাকাবাসীর। দিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতেও একটু পরপরই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ বিস্তর। উপজেলার প্রতিটি এলাকাতেই এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।
উপজেলার মৌতলা এলাকার বাসিন্দা আবু রায়হান বলেন, ‘দিনের বেলায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়াতে যতটা ভোগান্তি বাড়ায়, রাতের বেলা এর কয়েকগুণ বেশি হয়। গত বুধবার দিবাগত রাতেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কয়েকবার ঘুম থেকে উঠে বাইরে যেতে হয়েছে। এ ছাড়া খাবারের সময়, নামাজের সময়ও বিদ্যুতের আসা যাওয়া অব্যাহত থাকে।’
আবু রায়হান আরও বলেন, ‘আমাদের তাও যেমন-তেমন চলে। শিশুরা আরও বেশি সমস্যায় রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে তাঁরা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি করে।’
কুশুলিয়া এলাকারা ব্যবসায়ী কবীর হোসেন বলেন, ‘রাতে যে কতবার বিদ্যুৎ গেছে তার কোনো হিসেব নেই। এর মধ্যে ভোরবেলা বিদ্যুৎ গেছে তো আর আসার নামই নেই। সারা রাত জেগে থেকে সারা দিন কি কাজ করা যায়।’
একই এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত বিশ্বাসের দাবি, ‘বারবার বিদ্যুৎ অফিসে কল দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। গ্রাহকদের সমস্যা যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো বিষয়ই না। নিজেরে মতো করে বিদ্যুৎ দেওয়া-নেওয়া করাই তাঁদের কাজ।’
কবীর হোসেন আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ঘরের টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস জিনিস অকেজো হয়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলাতে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে এসি, ফ্রিজের ব্যবহারও বেড়েছে। এতে বিদ্যুতের যে ট্রান্সমিটার রয়েছে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে লোড নিতে পারছে না। ফলে কিছু সময় পরপরই লাইন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
আব্দুর রহমান আরও বলেন, ‘বন্ধ হয়ে যাওয়া লাইন সচল করতে অন্য সংযোগগুলোও অনেক সময় বিচ্ছিন্ন করতে হয়। যার কারণে লোডশেডিং বেড়েছে। তবে জনগণকে এ সমস্যাটা বুঝতে হবে। কারণ এটি মানবসৃষ্ট কোনো সমস্যা নয়। সর্বোপরি আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আপগ্রেড করছে সরকার, যার সুফল অচিরেই আমাদের নতুন প্রজন্ম ভোগ করবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে