Ajker Patrika

গরমে বেড়েছে বিদ্যুৎবিভ্রাট

মাসুদ পারভেজ, কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা)
আপডেট : ২৭ মে ২০২২, ১৪: ৫০
গরমে বেড়েছে বিদ্যুৎবিভ্রাট

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের একদিকে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এর ওপরে ঘন ঘন হচ্ছে বিদ্যুৎবিভ্রাট। এমনকি রাতের বেলায়ও একাধিকবার বিদ্যুৎ যাওয়ায় চরম আকার ধারণ করেছে ভোগান্তি। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, জেলায় বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু গরমের তীব্রতা বাড়লে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। সেই চাহিদার কারণে ট্রান্সমিটার লোড নিতে না পারায় বারবার লাইন আউট হয়ে যাচ্ছে। সেটি মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৩-৪ দিন ধরে কালীগঞ্জে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে মাঠে-ঘাটে। শুধু দিনের বেলায় নয়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় এলাকাবাসীর। দিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতেও একটু পরপরই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ বিস্তর। উপজেলার প্রতিটি এলাকাতেই এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।

উপজেলার মৌতলা এলাকার বাসিন্দা আবু রায়হান বলেন, ‘দিনের বেলায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়াতে যতটা ভোগান্তি বাড়ায়, রাতের বেলা এর কয়েকগুণ বেশি হয়। গত বুধবার দিবাগত রাতেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কয়েকবার ঘুম থেকে উঠে বাইরে যেতে হয়েছে। এ ছাড়া খাবারের সময়, নামাজের সময়ও বিদ্যুতের আসা যাওয়া অব্যাহত থাকে।’

আবু রায়হান আরও বলেন, ‘আমাদের তাও যেমন-তেমন চলে। শিশুরা আরও বেশি সমস্যায় রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে তাঁরা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি করে।’

কুশুলিয়া এলাকারা ব্যবসায়ী কবীর হোসেন বলেন, ‘রাতে যে কতবার বিদ্যুৎ গেছে তার কোনো হিসেব নেই। এর মধ্যে ভোরবেলা বিদ্যুৎ গেছে তো আর আসার নামই নেই। সারা রাত জেগে থেকে সারা দিন কি কাজ করা যায়।’

একই এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত বিশ্বাসের দাবি, ‘বারবার বিদ্যুৎ অফিসে কল দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। গ্রাহকদের সমস্যা যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো বিষয়ই না। নিজেরে মতো করে বিদ্যুৎ দেওয়া-নেওয়া করাই তাঁদের কাজ।’

কবীর হোসেন আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ঘরের টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস জিনিস অকেজো হয়ে যাচ্ছে।’

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলাতে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে এসি, ফ্রিজের ব্যবহারও বেড়েছে। এতে বিদ্যুতের যে ট্রান্সমিটার রয়েছে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে লোড নিতে পারছে না। ফলে কিছু সময় পরপরই লাইন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’

আব্দুর রহমান আরও বলেন, ‘বন্ধ হয়ে যাওয়া লাইন সচল করতে অন্য সংযোগগুলোও অনেক সময় বিচ্ছিন্ন করতে হয়। যার কারণে লোডশেডিং বেড়েছে। তবে জনগণকে এ সমস্যাটা বুঝতে হবে। কারণ এটি মানবসৃষ্ট কোনো সমস্যা নয়। সর্বোপরি আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আপগ্রেড করছে সরকার, যার সুফল অচিরেই আমাদের নতুন প্রজন্ম ভোগ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত