সামিউল মনির, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। নদী থেকে এভাবে বালু তোলায় উপকূল রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বালু তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি দুর্গাবাটি এলাকার উপকূল রক্ষা বাঁধের কিছু অংশ ধসে যায় এবং তা মেরামত করা হয়। এভাবে এক-দুই মাস পর পরই বাঁধের কোথাও না কোথাও ভাঙার খবর আসে। পরে তা মেরামতও করা হয়।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ও গাবুরা ইউনিয়নের মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত খোলপেটুয়া নদীর মাঝ বরাবর বিশালাকারের কার্গো নোঙর করা রয়েছে। কার্গোতে স্থাপন করা ড্রেজার মেশিনের সহায়তায় নদীর তলদেশ থেকে খনন করে বালু উত্তোলনের পর তা একই কার্গোযোগে বুড়িগোয়ালিনীর মাসুদ মোড় এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সময় লম্বা পাইপের সহায়তায় কার্গোভর্তি বালু স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা আকরাম হাজীর বালুর গাদা ও জাপান ফাস্ট ট্রেডের ক্রয় করা জমিতে ফেলা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙনকবলিত ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হলেও খোলপেটুয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। কালিকাপুরের হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৮-৯ জন শ্রমিক প্রকাশ্যে খোলপেটুয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন এবং পরে অবৈধভাবে সংগৃহীত বালু গাদায় নিয়ে বিক্রি করলেও কেউ কিছু বলছে না। এদিকে বারবার ভাঙনের মুখে পড়া উপকূল রক্ষা বাঁধ দিনে দিনে স্থানীয়দের আতঙ্কে পরিণত হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।
দাতিনাখালীর আব্দুল আজিজ ও গাবুরার চকবারা গ্রামের আব্দুস সালামসহ কয়েকজন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিবছর তাদের এলাকায় নদীভাঙন হচ্ছে। এই
অবস্থায় ভাঙনপ্রবণ এলাকার নদী থেকে নতুন করে আবার বালু উত্তোলনের ঘটনায় চর দেবে যাওয়াসহ বাঁধ ভাঙনের আতঙ্কে ভুগছে উপকূল পাড়ের বাসিন্দারা।
পোড়াকাটলা গ্রামের পরীক্ষিত মণ্ডলসহ স্থানীয়রা জানায়, খোলপেটুয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কর্তৃপক্ষের নীরবতার সুযোগে প্রায় প্রতিদিন প্রভাবশালীরা চৌদ্দরশি এলাকায় খোলপেটুয়ার বুক থেকে বালু উত্তোলন করছে। হাবিবুর রহমান ও তাঁর লোকজন বালু উত্তোলনের পর আকরাম হাজী নামের বালুগাদা মালিক সেই বালু বিক্রি করছে বলেও তিনি জানান।
বালুগাদার মালিক ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন হাজী জানান, তিনি টাকার বিনিময়ে উত্তোলনকারীদের থেকে বালু কিনছেন। সরবরাহকারীরা কোথা থেকে বালু সংগ্রহ করছে সেটা তাঁর জানার বিষয় না। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ নজরুল ইসলাম জানান, গোটা এলাকা খুবই ভাঙনকবলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ। বালু উত্তোলনে এসব এলাকা আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
বালু উত্তোলনের নেতৃত্বে থাকা হাবিবুর রহমান জানান, শ্যামনগরের কয়েকজন ওই এলাকা নির্দিষ্ট করে দিয়ে তাঁকে বালু উত্তোলনের কাজ দিয়েছেন। বিনিময়ে প্রতি ফুট বালুতে সাড়ে তিন থেকে চার টাকা পাচ্ছেন দাবি করলেও কার্গো ও সরঞ্জামাদির মালিক হাবিবুর রহমান তাঁকে বালু উত্তোলনের কাজ দেওয়া ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আরিফুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউএনওকে বিষয়টি আমি দেখার জন্য বলছি।’
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। নদী থেকে এভাবে বালু তোলায় উপকূল রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বালু তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি দুর্গাবাটি এলাকার উপকূল রক্ষা বাঁধের কিছু অংশ ধসে যায় এবং তা মেরামত করা হয়। এভাবে এক-দুই মাস পর পরই বাঁধের কোথাও না কোথাও ভাঙার খবর আসে। পরে তা মেরামতও করা হয়।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ও গাবুরা ইউনিয়নের মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত খোলপেটুয়া নদীর মাঝ বরাবর বিশালাকারের কার্গো নোঙর করা রয়েছে। কার্গোতে স্থাপন করা ড্রেজার মেশিনের সহায়তায় নদীর তলদেশ থেকে খনন করে বালু উত্তোলনের পর তা একই কার্গোযোগে বুড়িগোয়ালিনীর মাসুদ মোড় এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সময় লম্বা পাইপের সহায়তায় কার্গোভর্তি বালু স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা আকরাম হাজীর বালুর গাদা ও জাপান ফাস্ট ট্রেডের ক্রয় করা জমিতে ফেলা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙনকবলিত ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হলেও খোলপেটুয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। কালিকাপুরের হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৮-৯ জন শ্রমিক প্রকাশ্যে খোলপেটুয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন এবং পরে অবৈধভাবে সংগৃহীত বালু গাদায় নিয়ে বিক্রি করলেও কেউ কিছু বলছে না। এদিকে বারবার ভাঙনের মুখে পড়া উপকূল রক্ষা বাঁধ দিনে দিনে স্থানীয়দের আতঙ্কে পরিণত হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।
দাতিনাখালীর আব্দুল আজিজ ও গাবুরার চকবারা গ্রামের আব্দুস সালামসহ কয়েকজন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিবছর তাদের এলাকায় নদীভাঙন হচ্ছে। এই
অবস্থায় ভাঙনপ্রবণ এলাকার নদী থেকে নতুন করে আবার বালু উত্তোলনের ঘটনায় চর দেবে যাওয়াসহ বাঁধ ভাঙনের আতঙ্কে ভুগছে উপকূল পাড়ের বাসিন্দারা।
পোড়াকাটলা গ্রামের পরীক্ষিত মণ্ডলসহ স্থানীয়রা জানায়, খোলপেটুয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কর্তৃপক্ষের নীরবতার সুযোগে প্রায় প্রতিদিন প্রভাবশালীরা চৌদ্দরশি এলাকায় খোলপেটুয়ার বুক থেকে বালু উত্তোলন করছে। হাবিবুর রহমান ও তাঁর লোকজন বালু উত্তোলনের পর আকরাম হাজী নামের বালুগাদা মালিক সেই বালু বিক্রি করছে বলেও তিনি জানান।
বালুগাদার মালিক ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন হাজী জানান, তিনি টাকার বিনিময়ে উত্তোলনকারীদের থেকে বালু কিনছেন। সরবরাহকারীরা কোথা থেকে বালু সংগ্রহ করছে সেটা তাঁর জানার বিষয় না। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ নজরুল ইসলাম জানান, গোটা এলাকা খুবই ভাঙনকবলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ। বালু উত্তোলনে এসব এলাকা আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
বালু উত্তোলনের নেতৃত্বে থাকা হাবিবুর রহমান জানান, শ্যামনগরের কয়েকজন ওই এলাকা নির্দিষ্ট করে দিয়ে তাঁকে বালু উত্তোলনের কাজ দিয়েছেন। বিনিময়ে প্রতি ফুট বালুতে সাড়ে তিন থেকে চার টাকা পাচ্ছেন দাবি করলেও কার্গো ও সরঞ্জামাদির মালিক হাবিবুর রহমান তাঁকে বালু উত্তোলনের কাজ দেওয়া ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আরিফুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউএনওকে বিষয়টি আমি দেখার জন্য বলছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪