বান্দরবান প্রতিনিধি
দুই বছরের করোনার ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বান্দরবানের মানুষ। এর মধ্যেই কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জেলার হাট-বাজারগুলো ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম হয়ে উঠছে। দিনে ব্যস্ততা ও প্রখর রোদের কারণে সন্ধ্যার পর দোকানে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ঈদের ছুটিতে ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশের অন্যতম দরিদ্র জেলা হওয়ায় এখানে ঈদবাজারে তেমন ভিড় দেখা যায় না। তবে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মুসলিম পরিবারগুলো সাধ্যমতো চেষ্টা করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে। জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র বান্দরবান বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন তাই কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন। তবে দিনে প্রচণ্ড গরমের কারণে বিকেলের পর থেকেই বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন তাঁরা। সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে বান্দরবান বাজার।
বান্দরবান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের নারী-পুরুষ ক্রেতারা দোকানে ভিড় করছেন। নিজেদের সাধ্য ও পছন্দমতো কেনাকাটা করছেন। বাজারে দামি কাপড়ের চেয়ে মাঝারি মান ও দামের কাপড়ের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে।
কয়েকজন ক্রেতা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। অনেকের আয় আগের তুলনায় কমে গেছে। এর ওপর বর্তমানে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই বেশি। তাই আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ভারসাম্য রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আর্থিক সমস্যা থাকলেও পরিবার, বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়েদের আবদার মেটাতে হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, ঈদে চাহিদার সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারা দাম বেশি আদায় করছেন।
বান্দরবান বাজারে তৈরি পোশাকের দোকান, শাড়ি কাপড়ের দোকান, ইমিটেশন জুয়েলারির দোকান ও জুতার দোকানে ক্রেতার বেশি ভিড় দেখা গেছে। বিলাসী বিপণিগুলোতে লোকজন ভিড় জমালেও কেনার চেয়ে পণ্যের দামই যাচাই করছেন বেশি। দোকানিরা বলছেন, পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুরই দাম বেশি। এটা ক্রেতারা মানতে চান না।
বান্দরবান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ব্যবসায়ী মো. আলমগীর, চাকরিজীবী রফিক উল্লাহ, মিজানুর রহমান, আবেদ আলী, গৃহিণী নুরজাহান বেগম, নাছিমা আক্তারসহ কয়েকজন বলেন, এমনিতেই দুই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে আর্থিকভাবে তাঁরা পিছিয়ে পড়েছেন। তার ওপর বর্তমানে সব পণ্যের দামই আকাশচুম্বী। মানুষের কেনাকাটা বাড়ার সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এসব ক্রেতা আরও বলেন, একই পণ্যে একেক দোকানে একেক দাম হাঁকা হচ্ছে। তারপরও দরদাম করে হলেও পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করতে চেষ্টা করছেন।
এবার জুতার দোকানে সব বয়সী ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। সামনে বর্ষা মৌসুম মাথায় রেখে ক্রেতাদের পছন্দ বর্ষা মৌসুম উপযোগী জুতার। এ ছাড়া ঈদের পরই স্কুল-কলেজের পরীক্ষা। প্রায় সবাই কমবেশি জুতা কিনছেন বলে বাজারের ক্রেতা ও দোকানিরা জানিয়েছেন।
বিক্রেতারা বলেন, তাঁরা যেভাবে বিক্রি হবে আশা করে পণ্য দোকানে তুলেছেন, বিক্রি সে তুলনায় কম। তবে তাঁরা আশা করেন, ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বাড়বে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে টানা ছুটি শুরু হবে। তখন মানুষ ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে বাজারে কেনাকাটা করতে ভিড় করবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা প্রকাশ করেন।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন, ঈদে কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে বাজারে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে বাজারে প্রায় ৭৫টি ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় সব দোকানেই নিজস্ব সিসিটিভি রয়েছে।
বান্দরবান ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাশ বলেন, সিসিটিভির বাইরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সমিতি ও ব্যবসায়ীরা সজাগ রয়েছেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ঈদ সামনে রেখে বাজার এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
দুই বছরের করোনার ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বান্দরবানের মানুষ। এর মধ্যেই কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জেলার হাট-বাজারগুলো ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম হয়ে উঠছে। দিনে ব্যস্ততা ও প্রখর রোদের কারণে সন্ধ্যার পর দোকানে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ঈদের ছুটিতে ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশের অন্যতম দরিদ্র জেলা হওয়ায় এখানে ঈদবাজারে তেমন ভিড় দেখা যায় না। তবে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মুসলিম পরিবারগুলো সাধ্যমতো চেষ্টা করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে। জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র বান্দরবান বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন তাই কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন। তবে দিনে প্রচণ্ড গরমের কারণে বিকেলের পর থেকেই বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন তাঁরা। সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে বান্দরবান বাজার।
বান্দরবান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের নারী-পুরুষ ক্রেতারা দোকানে ভিড় করছেন। নিজেদের সাধ্য ও পছন্দমতো কেনাকাটা করছেন। বাজারে দামি কাপড়ের চেয়ে মাঝারি মান ও দামের কাপড়ের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে।
কয়েকজন ক্রেতা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। অনেকের আয় আগের তুলনায় কমে গেছে। এর ওপর বর্তমানে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই বেশি। তাই আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ভারসাম্য রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আর্থিক সমস্যা থাকলেও পরিবার, বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়েদের আবদার মেটাতে হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, ঈদে চাহিদার সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারা দাম বেশি আদায় করছেন।
বান্দরবান বাজারে তৈরি পোশাকের দোকান, শাড়ি কাপড়ের দোকান, ইমিটেশন জুয়েলারির দোকান ও জুতার দোকানে ক্রেতার বেশি ভিড় দেখা গেছে। বিলাসী বিপণিগুলোতে লোকজন ভিড় জমালেও কেনার চেয়ে পণ্যের দামই যাচাই করছেন বেশি। দোকানিরা বলছেন, পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুরই দাম বেশি। এটা ক্রেতারা মানতে চান না।
বান্দরবান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ব্যবসায়ী মো. আলমগীর, চাকরিজীবী রফিক উল্লাহ, মিজানুর রহমান, আবেদ আলী, গৃহিণী নুরজাহান বেগম, নাছিমা আক্তারসহ কয়েকজন বলেন, এমনিতেই দুই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে আর্থিকভাবে তাঁরা পিছিয়ে পড়েছেন। তার ওপর বর্তমানে সব পণ্যের দামই আকাশচুম্বী। মানুষের কেনাকাটা বাড়ার সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এসব ক্রেতা আরও বলেন, একই পণ্যে একেক দোকানে একেক দাম হাঁকা হচ্ছে। তারপরও দরদাম করে হলেও পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করতে চেষ্টা করছেন।
এবার জুতার দোকানে সব বয়সী ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। সামনে বর্ষা মৌসুম মাথায় রেখে ক্রেতাদের পছন্দ বর্ষা মৌসুম উপযোগী জুতার। এ ছাড়া ঈদের পরই স্কুল-কলেজের পরীক্ষা। প্রায় সবাই কমবেশি জুতা কিনছেন বলে বাজারের ক্রেতা ও দোকানিরা জানিয়েছেন।
বিক্রেতারা বলেন, তাঁরা যেভাবে বিক্রি হবে আশা করে পণ্য দোকানে তুলেছেন, বিক্রি সে তুলনায় কম। তবে তাঁরা আশা করেন, ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বাড়বে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে টানা ছুটি শুরু হবে। তখন মানুষ ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে বাজারে কেনাকাটা করতে ভিড় করবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা প্রকাশ করেন।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন, ঈদে কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে বাজারে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে বাজারে প্রায় ৭৫টি ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় সব দোকানেই নিজস্ব সিসিটিভি রয়েছে।
বান্দরবান ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাশ বলেন, সিসিটিভির বাইরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সমিতি ও ব্যবসায়ীরা সজাগ রয়েছেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ঈদ সামনে রেখে বাজার এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে