আজকের পত্রিকা
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে। মাঠে নুয়ে পড়েছে খেতের ফসল। এ ছাড়া রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
শ্রীপুর (গাজীপুর): গত সোমবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টিতে শীতকালীন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা।
পানির নিচে তলিয়ে গেছে শাকসবজির খেত। কোনো কোনো এলাকায় খেতের পানি সরাতে পানির পাম্প লাগিয়েছেন চাষিরা। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া, শিমলাপাড়া, কাওরান বাজার, কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধাই, আবদার, শিমুলতলা, তেলিহাটি ইউনিয়নের ডোমবাড়িচালা, তালতলি ও সাইটালিয়া গ্রামে লালশাক, পাটশাক, পুঁইশাক, লাউখেত, কুমড়া, শিম, মুলাসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজির খেতে পানি জমে রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুয়ীদুল ইসলাম বলেন, শ্রীপুরে শীতকালীন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলি জমি থেকে দ্রুত পানিনিষ্কাশনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ): হরিরামপুরে ধানখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বয়ড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের মালেক মিয়া জানান, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। গতকালের দমকা বাতাসে জমিতে নুয়ে পড়েছে ধানগাছ। লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি। রহিম নামের এক কৃষক বলেন, ‘ছয় বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছি। পুরো খেত পানির নিচে। খরচের টাকাও উঠবে না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, উপজেলার অনেক স্থানে ধানখেত নুয়ে পড়েছে। সবজিচাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ): গতকাল বিকেলে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নতুন ভাষানচর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকদের শাকসবজি পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। কৃষকেরা জমি থেকে পানি সরানোর কাজ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০ হেক্টর জমির ধানখেত পানিতে আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। এতে কিছুটা ফলন কম হবে। এ ছাড়া ৩ হেক্টর জমির শাকসবজি পানিতে আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে।
লতব্দী গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, বেশির ভাগ জমির ধান পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এই ধানগুলো আর কয়েক দিনের মধ্যেই কেটে ঘরে তোলা যেত, সেগুলো এখন পানির নিচে। দ্রুত সময়ে পানি নেমে না গেলে পচে নষ্ট হয়ে যাবে ধান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। তাঁরা কৃষকদের খেতে জমে থাকা পানি সরানোসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা সম্ভব না। এক সপ্তাহ গেলে বোঝা যাবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘিওর (মানিকগঞ্জ): উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। খাল, বিল, মাঠ, ফসলি জমি ও পুকুরগুলো বৃষ্টির পানিতে টইটম্বুর হয়ে গেছে। উপজেলার সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে ভাঙন। উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের কুশুণ্ড, চর কুশুণ্ড, পেঁচারকান্দা, ঘিওর সদরের মাইলাঘী আবাসন এলাকা, বাটরাকান্দি, রসুলপুর, উত্তরপাড়, কুস্তা, বানিয়াজুরী ইউনিয়নের নকীব বাড়ি, জাবরা এলাকায় নদীভাঙনের শিকার হয়েছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও কাঁচা-পাকা রাস্তা।
শীতকালীন আগাম সবজিখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ): অনেকের ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। পদ্মাতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টিতে শীতকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। উপজেলার অনেক এলাকায় রাস্তাঘাটে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা।
বালিগাঁও ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, ‘ঝড়ে আমার বাড়ির পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিটি পড়ে গেছে।
তবে রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের জানমালের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।’
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে। মাঠে নুয়ে পড়েছে খেতের ফসল। এ ছাড়া রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
শ্রীপুর (গাজীপুর): গত সোমবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টিতে শীতকালীন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা।
পানির নিচে তলিয়ে গেছে শাকসবজির খেত। কোনো কোনো এলাকায় খেতের পানি সরাতে পানির পাম্প লাগিয়েছেন চাষিরা। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া, শিমলাপাড়া, কাওরান বাজার, কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধাই, আবদার, শিমুলতলা, তেলিহাটি ইউনিয়নের ডোমবাড়িচালা, তালতলি ও সাইটালিয়া গ্রামে লালশাক, পাটশাক, পুঁইশাক, লাউখেত, কুমড়া, শিম, মুলাসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজির খেতে পানি জমে রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুয়ীদুল ইসলাম বলেন, শ্রীপুরে শীতকালীন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলি জমি থেকে দ্রুত পানিনিষ্কাশনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ): হরিরামপুরে ধানখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বয়ড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের মালেক মিয়া জানান, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। গতকালের দমকা বাতাসে জমিতে নুয়ে পড়েছে ধানগাছ। লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি। রহিম নামের এক কৃষক বলেন, ‘ছয় বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছি। পুরো খেত পানির নিচে। খরচের টাকাও উঠবে না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, উপজেলার অনেক স্থানে ধানখেত নুয়ে পড়েছে। সবজিচাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ): গতকাল বিকেলে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নতুন ভাষানচর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকদের শাকসবজি পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। কৃষকেরা জমি থেকে পানি সরানোর কাজ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০ হেক্টর জমির ধানখেত পানিতে আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। এতে কিছুটা ফলন কম হবে। এ ছাড়া ৩ হেক্টর জমির শাকসবজি পানিতে আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে।
লতব্দী গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, বেশির ভাগ জমির ধান পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এই ধানগুলো আর কয়েক দিনের মধ্যেই কেটে ঘরে তোলা যেত, সেগুলো এখন পানির নিচে। দ্রুত সময়ে পানি নেমে না গেলে পচে নষ্ট হয়ে যাবে ধান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। তাঁরা কৃষকদের খেতে জমে থাকা পানি সরানোসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা সম্ভব না। এক সপ্তাহ গেলে বোঝা যাবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘিওর (মানিকগঞ্জ): উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। খাল, বিল, মাঠ, ফসলি জমি ও পুকুরগুলো বৃষ্টির পানিতে টইটম্বুর হয়ে গেছে। উপজেলার সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে ভাঙন। উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের কুশুণ্ড, চর কুশুণ্ড, পেঁচারকান্দা, ঘিওর সদরের মাইলাঘী আবাসন এলাকা, বাটরাকান্দি, রসুলপুর, উত্তরপাড়, কুস্তা, বানিয়াজুরী ইউনিয়নের নকীব বাড়ি, জাবরা এলাকায় নদীভাঙনের শিকার হয়েছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও কাঁচা-পাকা রাস্তা।
শীতকালীন আগাম সবজিখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ): অনেকের ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। পদ্মাতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টিতে শীতকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। উপজেলার অনেক এলাকায় রাস্তাঘাটে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা।
বালিগাঁও ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, ‘ঝড়ে আমার বাড়ির পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিটি পড়ে গেছে।
তবে রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের জানমালের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪