ক্রীড়া ডেস্ক
মাঠে ওলি রবিনসন বনাম উসমান খাজা। মাঠের বাইরে রবিনসন বনাম রিকি পন্টিং। একটু ভুলই হলো, ইংলিশ পেসারকে এক হাত নেওয়ায় পন্টিংয়ের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ম্যাথু হেইডেন, ইয়ান হিলিরাও। অস্ট্রেলিয়ার সাবেকরা বিচ্ছিন্নভাবে যা বলছেন, তার অর্থটা দাঁড়ায় এই—বড় বড় কথা বলা ওই রবিনসনটা কে!
ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ক্রিকেট ‘বাজবল’-এর একটা ‘ক্যারেক্টার’ই ধরুন রবিনসনকে। দল যদি আগ্রাসী ব্যাটিং করে, আগ্রাসী বোলিং করে, ‘ব্রামব্রেলা’র মতো আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংও সাজায়, তাহলে মাঠে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে খেপিয়ে তোলায় রবিনসন কিছু বললে তাঁর দোষটা কী! খাজাকে বেফাঁস কিছু বলার পর আত্মপক্ষ সমর্থনে একটু ঘুরিয়ে এমনটাই বলতে চেয়েছিলেন রবিনসন।
রবিনসনই বলুন কিংবা কথার লড়াই, সবকিছুর কেন্দ্রে তো আসলে বাজবল। এই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে এজবাস্টনে ইংল্যান্ড জিততে পারেনি ঠিকই, কিন্তু তাদের ক্রিকেট সবার চোখে প্রশান্তি এনেছে। নাসের হুসেইন ও জিওফ বয়কট অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, যদি জয়ই অধরা থেকে যায়, তাহলে এই আগ্রাসী ক্রিকেট দিয়ে কী হবে! জিওফ অবশ্য বাজবলে নিজের মুগ্ধতার কথাও জানিয়েছেন।
বাজবলেই ভর করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। সাবেক ক্রিকেটার ইয়ান বেলও একই পরামর্শ দিয়েছেন বেন স্টোকসদের। আর বর্তমান দলে থাকা সাবেক অধিনায়ক জো রুট তো বাজবলে এতটাই মুগ্ধ যে, আফসোস করেই বললেন, কেন যে তাঁর অধিনায়কত্বে এমন আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেননি! রুটের ভাষায়, ‘আমার সময়ে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকলে, বেন যেভাবে করছে সেভাবেই নেতৃত্ব দেয়া শুরু করতাম। এটা অনেক বেশি রোমাঞ্চকর, আরও বেশি কৌতূহল জাগানিয়া।’
মজার ব্যাপার, রুটের নেতৃত্ব যাওয়ার পরই অধিনায়কের চেয়ারে বসানো হয় অলরাউন্ডার স্টোকসকে। আগের কোচ ক্রিস সিলভারউডকে সরিয়ে নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় একসময়ে আগ্রাসী ব্যাটার ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। দুজনের সৃজনশীল চিন্তারই ফসল আজকের এই বাজবল।
এজবাস্টনে বাজবল ‘ফেল’ খেলার ধরন থেকে সরে আসতে নারাজ স্টোকস। রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্চে শেষ হওয়া টেস্টের পর যা প্রথমে স্টোকস ও পরে ম্যাককালাম খোলাখুলিই জানিয়ে দেন কথাটা। কোচ ও অধিনায়ককে সমর্থন করে এবার রুট বললেন, বাজবলই তাঁদের ভরসা। এজবাস্টনে ফল না পাওয়ায় বাজবলের সমালোচনা শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড খেলার ধরনে পরিবর্তন আনবে কি না, এমন প্রশ্নে রুটের উত্তর, ‘অবশ্যই নয়। দল হিসেবে যদি আমরা বেড়ে উঠতে চাই, তাহলে এসব ভাবনাকে আমলে নেওয়া যাবে না। কোনো একটি দিনে কোনো কিছু আমাদের পক্ষে না এলেই ভিন্ন কিছু ভাবার চিন্তা মাথায় আনা যাবে না। উল্টো যদি প্রয়োজন পড়ে, আমরা যা করছি, তা দ্বিগুণ করতে হবে।’
২৮ জুন থেকে লর্ডসে শুরু হবে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের রেকর্ডটা ‘অ্যাওয়ে টিমে’র মতো। দুই দলের খেলা ৫২ টেস্টে ইংল্যান্ডের জয় ১২টি, অস্ট্রেলিয়ার ২৪টি! লর্ডসে জিততে হলে তাই দ্বিগুণ শক্তিতেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ইংলিশদের। কার্যকর করে তুলতে হবে বাজবলকে।
যে বাজবল নিয়ে এত আলোচনা, সেটির জন্মই হতো না যদি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) ‘না’ করে না দিতেন রিকি পন্টিং! সিলভারউডের উত্তরসূরি হিসেবে ইসিবির প্রথম পছন্দ ছিল অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়কই। ইসিবির পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি পন্টিং। এই তথ্য এতদিন পর ফাঁস করেছেন পন্টিং নিজেই, ‘ম্যাককালাম দায়িত্ব নেওয়ার আগে আমার কাছে প্রস্তাব এসেছিল। রব কি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।’
কিন্তু রাজি হননি পন্টিং। কেন, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যানের উত্তর, ‘কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমার সন্তানদের থেকে বেশি দূরে থাকতে ভালো লাগে না। একসময় সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছি। তাই ওদের কাছাকাছিই থাকতে চেয়েছি।’ ভাগ্যিস ‘না’ করে দিয়েছিলেন পন্টিং। না হলে যে বাজবল দেখাই যেত না।
মাঠে ওলি রবিনসন বনাম উসমান খাজা। মাঠের বাইরে রবিনসন বনাম রিকি পন্টিং। একটু ভুলই হলো, ইংলিশ পেসারকে এক হাত নেওয়ায় পন্টিংয়ের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ম্যাথু হেইডেন, ইয়ান হিলিরাও। অস্ট্রেলিয়ার সাবেকরা বিচ্ছিন্নভাবে যা বলছেন, তার অর্থটা দাঁড়ায় এই—বড় বড় কথা বলা ওই রবিনসনটা কে!
ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ক্রিকেট ‘বাজবল’-এর একটা ‘ক্যারেক্টার’ই ধরুন রবিনসনকে। দল যদি আগ্রাসী ব্যাটিং করে, আগ্রাসী বোলিং করে, ‘ব্রামব্রেলা’র মতো আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংও সাজায়, তাহলে মাঠে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে খেপিয়ে তোলায় রবিনসন কিছু বললে তাঁর দোষটা কী! খাজাকে বেফাঁস কিছু বলার পর আত্মপক্ষ সমর্থনে একটু ঘুরিয়ে এমনটাই বলতে চেয়েছিলেন রবিনসন।
রবিনসনই বলুন কিংবা কথার লড়াই, সবকিছুর কেন্দ্রে তো আসলে বাজবল। এই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে এজবাস্টনে ইংল্যান্ড জিততে পারেনি ঠিকই, কিন্তু তাদের ক্রিকেট সবার চোখে প্রশান্তি এনেছে। নাসের হুসেইন ও জিওফ বয়কট অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, যদি জয়ই অধরা থেকে যায়, তাহলে এই আগ্রাসী ক্রিকেট দিয়ে কী হবে! জিওফ অবশ্য বাজবলে নিজের মুগ্ধতার কথাও জানিয়েছেন।
বাজবলেই ভর করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। সাবেক ক্রিকেটার ইয়ান বেলও একই পরামর্শ দিয়েছেন বেন স্টোকসদের। আর বর্তমান দলে থাকা সাবেক অধিনায়ক জো রুট তো বাজবলে এতটাই মুগ্ধ যে, আফসোস করেই বললেন, কেন যে তাঁর অধিনায়কত্বে এমন আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেননি! রুটের ভাষায়, ‘আমার সময়ে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকলে, বেন যেভাবে করছে সেভাবেই নেতৃত্ব দেয়া শুরু করতাম। এটা অনেক বেশি রোমাঞ্চকর, আরও বেশি কৌতূহল জাগানিয়া।’
মজার ব্যাপার, রুটের নেতৃত্ব যাওয়ার পরই অধিনায়কের চেয়ারে বসানো হয় অলরাউন্ডার স্টোকসকে। আগের কোচ ক্রিস সিলভারউডকে সরিয়ে নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় একসময়ে আগ্রাসী ব্যাটার ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। দুজনের সৃজনশীল চিন্তারই ফসল আজকের এই বাজবল।
এজবাস্টনে বাজবল ‘ফেল’ খেলার ধরন থেকে সরে আসতে নারাজ স্টোকস। রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্চে শেষ হওয়া টেস্টের পর যা প্রথমে স্টোকস ও পরে ম্যাককালাম খোলাখুলিই জানিয়ে দেন কথাটা। কোচ ও অধিনায়ককে সমর্থন করে এবার রুট বললেন, বাজবলই তাঁদের ভরসা। এজবাস্টনে ফল না পাওয়ায় বাজবলের সমালোচনা শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড খেলার ধরনে পরিবর্তন আনবে কি না, এমন প্রশ্নে রুটের উত্তর, ‘অবশ্যই নয়। দল হিসেবে যদি আমরা বেড়ে উঠতে চাই, তাহলে এসব ভাবনাকে আমলে নেওয়া যাবে না। কোনো একটি দিনে কোনো কিছু আমাদের পক্ষে না এলেই ভিন্ন কিছু ভাবার চিন্তা মাথায় আনা যাবে না। উল্টো যদি প্রয়োজন পড়ে, আমরা যা করছি, তা দ্বিগুণ করতে হবে।’
২৮ জুন থেকে লর্ডসে শুরু হবে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের রেকর্ডটা ‘অ্যাওয়ে টিমে’র মতো। দুই দলের খেলা ৫২ টেস্টে ইংল্যান্ডের জয় ১২টি, অস্ট্রেলিয়ার ২৪টি! লর্ডসে জিততে হলে তাই দ্বিগুণ শক্তিতেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ইংলিশদের। কার্যকর করে তুলতে হবে বাজবলকে।
যে বাজবল নিয়ে এত আলোচনা, সেটির জন্মই হতো না যদি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) ‘না’ করে না দিতেন রিকি পন্টিং! সিলভারউডের উত্তরসূরি হিসেবে ইসিবির প্রথম পছন্দ ছিল অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়কই। ইসিবির পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি পন্টিং। এই তথ্য এতদিন পর ফাঁস করেছেন পন্টিং নিজেই, ‘ম্যাককালাম দায়িত্ব নেওয়ার আগে আমার কাছে প্রস্তাব এসেছিল। রব কি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।’
কিন্তু রাজি হননি পন্টিং। কেন, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যানের উত্তর, ‘কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমার সন্তানদের থেকে বেশি দূরে থাকতে ভালো লাগে না। একসময় সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছি। তাই ওদের কাছাকাছিই থাকতে চেয়েছি।’ ভাগ্যিস ‘না’ করে দিয়েছিলেন পন্টিং। না হলে যে বাজবল দেখাই যেত না।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে