মনিরামপুর প্রতিনিধি
মনিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের নিজস্ব ভবন নেই। ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে দুটি কক্ষে ঝুঁকি নিয়ে বহু বছর ধরে চলছে ভূমি অফিসের কাজ।
ধসে পড়ার ভয়ে গত বছরের বর্ষা মৌসুমে বাঁশের খুঁটির ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে ভবনের ছাদ ও দেয়াল। ১৫-২০ বছর পরিত্যক্ত এ ভবনে চলছে ভূমিসেবা কার্যক্রম।
এ নিয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় ‘ভূমি অফিসের ছাদ রক্ষায় বাঁশের খুঁটি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর দপ্তরটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের তৎপরতা দেখা গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আজও সেই ভবনের কক্ষে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ওই অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ঝুঁকি নিয়ে সেই কক্ষে আসা যাওয়া করছেন সেবা গ্রহীতারা।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোহিতা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবন নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ১০ শতক জমি ভূমি অফিসের নামে নিবন্ধন করে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন। ইতিমধ্যে নিবন্ধনের কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
দুই-তিন মাসের মধ্যে সেখানে ভবনের কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদী রোহিতা ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান।
জানা যায়, ১৯৬২ সালে নির্মিত রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিষদের জন্য নতুন ভবন হয়েছে। তখন পুরোনো ভবন ফেলে নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয় পরিষদের কার্যক্রম।
নিজেদের অফিস না থাকায় এরপর সেই ভবনে চালু হয় ভূমি অফিসের কাজ। ১৫-২০ বছর পরিত্যক্ত সেই ভবনে চলছে ভূমি অফিসের কার্যক্রম।
৫-৭ বছর ধরে এ ভবনটির পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। ভূমি অফিসের কক্ষের দেয়াল ও ছাদ ফেটে গেছে। একটু বৃষ্টি হলে ভেতরে পানি গড়িয়ে পড়ে। তখন ভেতরে বসার পরিবেশ থাকে না।
এমন অবস্থায় বাঁশের খুঁটিতে ছাদ ঠেক দিয়ে রেখে সেখানে বসে কাজ করছেন অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফ বাচ্চু। পাশের ছাদ ধসে পড়া কক্ষে বসেন নায়েব। নিয়মিত ঝুঁকি নিয়ে এ অফিসের চারজন কর্মকর্তা কর্মচারী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
আব্দুল লতিফ বাচ্চু বলেন, ‘দুই কক্ষে আমাদের কার্যক্রম চলে। আমার কক্ষের দেয়াল ও ছাদ ফেটে গেছে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেক দিয়ে রেখেছি। বর্ষার সময় ভেতরে পানি পড়ে।’
আব্দুল লতিফ বাচ্চু বলেন, ‘বসা যায় না। মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। আর নায়েবের কক্ষের ছাদ খসে পড়ছে। একবার ওই কক্ষের ফ্যান খুলে পড়েছিল। ভেতরে কেউ না থাকায় বাঁচা।’
রোহিতা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, ‘পত্রিকায় লেখালিখির পর আমাদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বেশ তৎপর হয়েছেন। তখন পাশের একটি ভাড়া ভবনে আমরা উঠেছিলাম। মালিকানা জটিলতা থাকায় দুদিন পরে আমাদের আবার এ অফিসে ফিরতে হয়েছে।’
জাহিদুর রহমান আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ আমাদের অফিসের জন্য ১০ শতক জমি লিখে দিয়েছে। সেসব কাগজপত্র ঢাকায় পৌঁছে গেছে। আমাদের জন্য নতুন ভবন হবে।’
মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘রোহিতা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবন হবে। এর আগ পর্যন্ত ভূমি অফিসের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে দুটো কক্ষ বরাদ্দ দেওয়ার কথা।’
হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘জেলা প্রশাসক দপ্তর থেকে কর্মকর্তারা এসে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, কিন্তু পরিষদের কক্ষ দিতে গড়িমসি করছেন।’
রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কৃষ্ণগোপাল মুখার্জি বলেন, ‘দোতলায় দুটো কক্ষে অন্য দপ্তরের অফিস। তাঁদের নেমে যেতে বলেছি। তাঁরা নামলে সে দুই কক্ষ ভূমি অফিসকে দেওয়া হবে।’
মনিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের নিজস্ব ভবন নেই। ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে দুটি কক্ষে ঝুঁকি নিয়ে বহু বছর ধরে চলছে ভূমি অফিসের কাজ।
ধসে পড়ার ভয়ে গত বছরের বর্ষা মৌসুমে বাঁশের খুঁটির ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে ভবনের ছাদ ও দেয়াল। ১৫-২০ বছর পরিত্যক্ত এ ভবনে চলছে ভূমিসেবা কার্যক্রম।
এ নিয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় ‘ভূমি অফিসের ছাদ রক্ষায় বাঁশের খুঁটি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর দপ্তরটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের তৎপরতা দেখা গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আজও সেই ভবনের কক্ষে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ওই অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ঝুঁকি নিয়ে সেই কক্ষে আসা যাওয়া করছেন সেবা গ্রহীতারা।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোহিতা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবন নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ১০ শতক জমি ভূমি অফিসের নামে নিবন্ধন করে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন। ইতিমধ্যে নিবন্ধনের কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
দুই-তিন মাসের মধ্যে সেখানে ভবনের কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদী রোহিতা ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান।
জানা যায়, ১৯৬২ সালে নির্মিত রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিষদের জন্য নতুন ভবন হয়েছে। তখন পুরোনো ভবন ফেলে নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয় পরিষদের কার্যক্রম।
নিজেদের অফিস না থাকায় এরপর সেই ভবনে চালু হয় ভূমি অফিসের কাজ। ১৫-২০ বছর পরিত্যক্ত সেই ভবনে চলছে ভূমি অফিসের কার্যক্রম।
৫-৭ বছর ধরে এ ভবনটির পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। ভূমি অফিসের কক্ষের দেয়াল ও ছাদ ফেটে গেছে। একটু বৃষ্টি হলে ভেতরে পানি গড়িয়ে পড়ে। তখন ভেতরে বসার পরিবেশ থাকে না।
এমন অবস্থায় বাঁশের খুঁটিতে ছাদ ঠেক দিয়ে রেখে সেখানে বসে কাজ করছেন অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফ বাচ্চু। পাশের ছাদ ধসে পড়া কক্ষে বসেন নায়েব। নিয়মিত ঝুঁকি নিয়ে এ অফিসের চারজন কর্মকর্তা কর্মচারী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
আব্দুল লতিফ বাচ্চু বলেন, ‘দুই কক্ষে আমাদের কার্যক্রম চলে। আমার কক্ষের দেয়াল ও ছাদ ফেটে গেছে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেক দিয়ে রেখেছি। বর্ষার সময় ভেতরে পানি পড়ে।’
আব্দুল লতিফ বাচ্চু বলেন, ‘বসা যায় না। মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। আর নায়েবের কক্ষের ছাদ খসে পড়ছে। একবার ওই কক্ষের ফ্যান খুলে পড়েছিল। ভেতরে কেউ না থাকায় বাঁচা।’
রোহিতা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, ‘পত্রিকায় লেখালিখির পর আমাদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বেশ তৎপর হয়েছেন। তখন পাশের একটি ভাড়া ভবনে আমরা উঠেছিলাম। মালিকানা জটিলতা থাকায় দুদিন পরে আমাদের আবার এ অফিসে ফিরতে হয়েছে।’
জাহিদুর রহমান আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ আমাদের অফিসের জন্য ১০ শতক জমি লিখে দিয়েছে। সেসব কাগজপত্র ঢাকায় পৌঁছে গেছে। আমাদের জন্য নতুন ভবন হবে।’
মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘রোহিতা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবন হবে। এর আগ পর্যন্ত ভূমি অফিসের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে দুটো কক্ষ বরাদ্দ দেওয়ার কথা।’
হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘জেলা প্রশাসক দপ্তর থেকে কর্মকর্তারা এসে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, কিন্তু পরিষদের কক্ষ দিতে গড়িমসি করছেন।’
রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কৃষ্ণগোপাল মুখার্জি বলেন, ‘দোতলায় দুটো কক্ষে অন্য দপ্তরের অফিস। তাঁদের নেমে যেতে বলেছি। তাঁরা নামলে সে দুই কক্ষ ভূমি অফিসকে দেওয়া হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে