ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
নানা সংকটে জর্জরিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ইউনিয়নের চর বেতকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতিমধ্যে চারবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছে বিদ্যালয়টি।
যাতায়াতের ব্যবস্থাও নাজুক। বাঁশের সাঁকো দিয়ে মরা পদ্মার খাল পার হয়ে শিশুদের যেতে হয় বিদ্যালয়ে। গত এক বছরে সাঁকো পার হতে গিয়ে চার শিক্ষার্থী হাত ও কোমর ভেঙে যায়। এসব কারণে কমেছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী তাহেরা জানান, ১৯৭৫ সালে দেবগ্রাম ইউপির শীতলপুরে স্থানীয় হাবিবুর রহমান বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক বছর পর নদীভাঙনের কবলে পড়ে এক কিলোমিটার দূরে চর দেলন্দিতে সরিয়ে আনা হয় বিদ্যালয়টি। কয়েক বছর পর দ্বিতীয় দফা ভাঙনের কবলে পড়লে চর দেলন্দি নদীর বিপরীত পাশে সরিয়ে আনা হয়। ২০১৭ সালের আগস্টে তৃতীয়বারের মতো ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যালয়টি। জায়গা না পাওয়ায় এক কিলোমিটার দূরে প্রধান শিক্ষকের বাড়ির আঙিনা চর বরাট এলাকায় অস্থায়ীভাবে চলতে থাকে বিদ্যালয়ের পাঠদান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপারে এক বছরে চার শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনের হাত ও কোমর ভেঙে যায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পাশাপাশি এলাকাবাসীর যাতায়াত এ সাঁকো দিয়ে। এরপরেও খালের ওপর তৈরি হয়নি পাকা সেতু।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, কোথাও জায়গা না পাওয়ায় তিনিসহ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষিকা মিলে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তেনাপচা নতুন পাড়ায় পৌনে ২ লাখ টাকা দিয়ে ৩৩ শতাংশ জমি কেনেন। বিদ্যালয়ের নামে জমি লিখে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে দুটি টিনের চৌচালা ঘরে শুরু করেন পাঠদান। আগে বিদ্যালয়ের ২৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী থাকলেও চারবার নদীভাঙনের কবলে পড়ায় বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ জনে।
স্থানীয়রা জানান, মাঝেমধ্যে সাঁকো পার হতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ, বই-খাতা পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। গত বছর সিফাতুল্লা নামের বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পড়ে বাম ও ডান হাত ভেঙে যায়। তার কিছুদিন পর একই ক্লাসের সোনালী আক্তার নামের আরেক শিক্ষার্থী দুবার সাঁকো থেকে পড়ে দুটি হাত ভেঙে যায়। নিদ্রা খাতুন নামের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সাঁকো থেকে পড়ে কোমর ভেঙে যায়। এ ছাড়া এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তিরও সাঁকো থেকে পড়ে হাত ভেঙে যায়।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি লিয়াকত হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের পাকা ভবনসহ খালের ওপর সেতু তৈরির বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়সহ উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, ‘চারবার নদীভাঙনের শিকার হওয়ায় বিদ্যালয়ে পাকা ভবন হয়নি। গত বছর পাকা ভবনের জন্য ও খালের ওপর সেতু তৈরি কথাও জানিয়েছি।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো. বজলুর রহমান খান বলেন, বিদ্যালয়ের পাকা ভবন ও সেতু তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।
নানা সংকটে জর্জরিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ইউনিয়নের চর বেতকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতিমধ্যে চারবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছে বিদ্যালয়টি।
যাতায়াতের ব্যবস্থাও নাজুক। বাঁশের সাঁকো দিয়ে মরা পদ্মার খাল পার হয়ে শিশুদের যেতে হয় বিদ্যালয়ে। গত এক বছরে সাঁকো পার হতে গিয়ে চার শিক্ষার্থী হাত ও কোমর ভেঙে যায়। এসব কারণে কমেছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী তাহেরা জানান, ১৯৭৫ সালে দেবগ্রাম ইউপির শীতলপুরে স্থানীয় হাবিবুর রহমান বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক বছর পর নদীভাঙনের কবলে পড়ে এক কিলোমিটার দূরে চর দেলন্দিতে সরিয়ে আনা হয় বিদ্যালয়টি। কয়েক বছর পর দ্বিতীয় দফা ভাঙনের কবলে পড়লে চর দেলন্দি নদীর বিপরীত পাশে সরিয়ে আনা হয়। ২০১৭ সালের আগস্টে তৃতীয়বারের মতো ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যালয়টি। জায়গা না পাওয়ায় এক কিলোমিটার দূরে প্রধান শিক্ষকের বাড়ির আঙিনা চর বরাট এলাকায় অস্থায়ীভাবে চলতে থাকে বিদ্যালয়ের পাঠদান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপারে এক বছরে চার শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনের হাত ও কোমর ভেঙে যায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পাশাপাশি এলাকাবাসীর যাতায়াত এ সাঁকো দিয়ে। এরপরেও খালের ওপর তৈরি হয়নি পাকা সেতু।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, কোথাও জায়গা না পাওয়ায় তিনিসহ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষিকা মিলে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তেনাপচা নতুন পাড়ায় পৌনে ২ লাখ টাকা দিয়ে ৩৩ শতাংশ জমি কেনেন। বিদ্যালয়ের নামে জমি লিখে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে দুটি টিনের চৌচালা ঘরে শুরু করেন পাঠদান। আগে বিদ্যালয়ের ২৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী থাকলেও চারবার নদীভাঙনের কবলে পড়ায় বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ জনে।
স্থানীয়রা জানান, মাঝেমধ্যে সাঁকো পার হতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ, বই-খাতা পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। গত বছর সিফাতুল্লা নামের বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পড়ে বাম ও ডান হাত ভেঙে যায়। তার কিছুদিন পর একই ক্লাসের সোনালী আক্তার নামের আরেক শিক্ষার্থী দুবার সাঁকো থেকে পড়ে দুটি হাত ভেঙে যায়। নিদ্রা খাতুন নামের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সাঁকো থেকে পড়ে কোমর ভেঙে যায়। এ ছাড়া এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তিরও সাঁকো থেকে পড়ে হাত ভেঙে যায়।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি লিয়াকত হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের পাকা ভবনসহ খালের ওপর সেতু তৈরির বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়সহ উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, ‘চারবার নদীভাঙনের শিকার হওয়ায় বিদ্যালয়ে পাকা ভবন হয়নি। গত বছর পাকা ভবনের জন্য ও খালের ওপর সেতু তৈরি কথাও জানিয়েছি।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো. বজলুর রহমান খান বলেন, বিদ্যালয়ের পাকা ভবন ও সেতু তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে