নি আজাদ, চারঘাট
প্রায় ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর থেকে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে রূপান্তর হচ্ছে। কথা ছিল, কাজ শুরুর পর পর্যায়ক্রমে সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করা হবে। কিন্তু সড়কের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হলেও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা-নাটোরের লালপুর হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত এই সড়কের দৈর্ঘ্য ৫৪ কিলোমিটার। বর্তমানে সড়কটি রয়েছে ১৮ ফুট চওড়া। নতুন সড়ক হবে ৩৪ ফুট চওড়া। সড়কের দুই পাশে তিন ফুট করে মোট ছয় ফুট থাকবে ফুটপাত। সড়কের চারঘাট, বাঘা ও লালপুর সদরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। পানি জমে এ রকম জায়গায় নির্মাণ করা হবে ঢালাই সড়ক। অথচ এত ব্যয়বহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করা হচ্ছে না। এ সড়কের শুধু চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিটি বাঁকেই সরকারি জমি আছে। কিন্তু দখলদার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দাপটে সরকারি জমি অধিগ্রহণ না করে বাঁক রেখেই সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। নির্মাণকাজ শেষ হয়ে হয়ে গেলে কখনো এই বাঁক সোজা করা হবে না ৷ তখন প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটবে।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, রাস্তার যেসব জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক আছে, সেখানে সরকারি জমি নেই। এ জন্য তারা জমি অধিগ্রহণ করতে পারছে না। সড়ক নির্মাণকাজ শেষ হলে আলাদা একটা প্রকল্প নিয়ে বাঁকগুলো সোজা করা হবে।
গতকাল রোববার ওই সড়কের চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, হলিদাগাছী স্কুল মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়, সরদহ ট্রাফিক মোড়, ঈদগাহ মোড়, পাইলট স্কুল মোড়, ফকিরের মোড়, সিনেমা হল মোড় ও কাঁকরামারী বটতলা মোড়ের বাঁকগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব মোড় আগেই বিপজ্জনক ছিল, রাস্তা বড় হলে অধিক গাড়ির চাপে আরও বিপজ্জনক হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সড়ক আন্দোলন চারঘাট উপজেলা শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে রূপান্তর হলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের গাড়িগুলো এ সড়কে চলাচল করবে। তখন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে দুর্ঘটনার পরিমাণ আরও বাড়বে। এ ব্যাপারে আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগে লিখিত আবেদনও করেছি। কিন্তু তারপরও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সড়কের কাজ শেষ হওয়ার পর বাঁক সোজা করার উদ্যোগ নেওয়া হলে নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে।’
এদিকে সড়কের কাজে অনিয়মের অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয় লোকজন। চারঘাটের মেরামতপুর এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, সড়কের বানেশ্বর-ট্রাফিক মোড় অংশে পুরো রাস্তা খুঁড়ে নতুন পাথর, বালি ও খোয়া দিয়ে রাস্তা করা হয়েছ। অথচ চারঘাট বাজার থেকে বাঘা অংশে আগের রাস্তার ওপর বালু-পাথর দিয়ে পিচ দেওয়া হচ্ছে। এতে এই অংশের রাস্তা টেকসই হবে না।
বাঁক সোজা করার বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রাজশাহীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ মো. আসিফ বলেন, সরকারি জমি সবটুকু ব্যবহার করেও রাস্তার বাঁকগুলো সোজা করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে আলাদা একটা প্রকল্প নিয়ে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সড়কের কাজ
শেষে নতুন করে বাঁকগুলো সোজা করার কাজ করা হবে।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা-নাটোরের লালপুর হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত এই সড়কের দৈর্ঘ্য ৫৪ কিলোমিটার।
সড়কের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হলেও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সড়কের শুধু চারঘাট উপজেলায় ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দখলদার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দাপটে সরকারি জমি অধিগ্রহণ না করে বাঁক রেখেই সড়কের নির্মাণকাজ চলছে।
সড়কের কাজে অনিয়মের বিষয়ে শাহ মো. আসিফ বলেন, সড়কের বানেশ্বর-ট্রাফিক মোড় অংশে প্রথম ১০ কিলোমিটার রাস্তার নিচে এইচবিবি রাস্তা ছিল। সে জন্য সেগুলো তুলে ফেলে নতুন করে বক্স কেটে বালু-পাথর দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। অপরদিকে চারঘাট বাজার অংশে পিচের নিচে যথেষ্ট খোয়া ছিল। সে জন্য সেখানে সব
তুলে ফেলা হয়নি ৷ ডিজাইন অনুযায়ী রাস্তার কাজ করা হচ্ছে।
প্রায় ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর থেকে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে রূপান্তর হচ্ছে। কথা ছিল, কাজ শুরুর পর পর্যায়ক্রমে সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করা হবে। কিন্তু সড়কের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হলেও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা-নাটোরের লালপুর হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত এই সড়কের দৈর্ঘ্য ৫৪ কিলোমিটার। বর্তমানে সড়কটি রয়েছে ১৮ ফুট চওড়া। নতুন সড়ক হবে ৩৪ ফুট চওড়া। সড়কের দুই পাশে তিন ফুট করে মোট ছয় ফুট থাকবে ফুটপাত। সড়কের চারঘাট, বাঘা ও লালপুর সদরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। পানি জমে এ রকম জায়গায় নির্মাণ করা হবে ঢালাই সড়ক। অথচ এত ব্যয়বহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করা হচ্ছে না। এ সড়কের শুধু চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিটি বাঁকেই সরকারি জমি আছে। কিন্তু দখলদার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দাপটে সরকারি জমি অধিগ্রহণ না করে বাঁক রেখেই সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। নির্মাণকাজ শেষ হয়ে হয়ে গেলে কখনো এই বাঁক সোজা করা হবে না ৷ তখন প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটবে।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, রাস্তার যেসব জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক আছে, সেখানে সরকারি জমি নেই। এ জন্য তারা জমি অধিগ্রহণ করতে পারছে না। সড়ক নির্মাণকাজ শেষ হলে আলাদা একটা প্রকল্প নিয়ে বাঁকগুলো সোজা করা হবে।
গতকাল রোববার ওই সড়কের চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, হলিদাগাছী স্কুল মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়, সরদহ ট্রাফিক মোড়, ঈদগাহ মোড়, পাইলট স্কুল মোড়, ফকিরের মোড়, সিনেমা হল মোড় ও কাঁকরামারী বটতলা মোড়ের বাঁকগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব মোড় আগেই বিপজ্জনক ছিল, রাস্তা বড় হলে অধিক গাড়ির চাপে আরও বিপজ্জনক হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সড়ক আন্দোলন চারঘাট উপজেলা শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে রূপান্তর হলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের গাড়িগুলো এ সড়কে চলাচল করবে। তখন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে দুর্ঘটনার পরিমাণ আরও বাড়বে। এ ব্যাপারে আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগে লিখিত আবেদনও করেছি। কিন্তু তারপরও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সড়কের কাজ শেষ হওয়ার পর বাঁক সোজা করার উদ্যোগ নেওয়া হলে নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে।’
এদিকে সড়কের কাজে অনিয়মের অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয় লোকজন। চারঘাটের মেরামতপুর এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, সড়কের বানেশ্বর-ট্রাফিক মোড় অংশে পুরো রাস্তা খুঁড়ে নতুন পাথর, বালি ও খোয়া দিয়ে রাস্তা করা হয়েছ। অথচ চারঘাট বাজার থেকে বাঘা অংশে আগের রাস্তার ওপর বালু-পাথর দিয়ে পিচ দেওয়া হচ্ছে। এতে এই অংশের রাস্তা টেকসই হবে না।
বাঁক সোজা করার বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রাজশাহীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ মো. আসিফ বলেন, সরকারি জমি সবটুকু ব্যবহার করেও রাস্তার বাঁকগুলো সোজা করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে আলাদা একটা প্রকল্প নিয়ে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সড়কের কাজ
শেষে নতুন করে বাঁকগুলো সোজা করার কাজ করা হবে।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা-নাটোরের লালপুর হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত এই সড়কের দৈর্ঘ্য ৫৪ কিলোমিটার।
সড়কের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হলেও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সড়কের শুধু চারঘাট উপজেলায় ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দখলদার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দাপটে সরকারি জমি অধিগ্রহণ না করে বাঁক রেখেই সড়কের নির্মাণকাজ চলছে।
সড়কের কাজে অনিয়মের বিষয়ে শাহ মো. আসিফ বলেন, সড়কের বানেশ্বর-ট্রাফিক মোড় অংশে প্রথম ১০ কিলোমিটার রাস্তার নিচে এইচবিবি রাস্তা ছিল। সে জন্য সেগুলো তুলে ফেলে নতুন করে বক্স কেটে বালু-পাথর দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। অপরদিকে চারঘাট বাজার অংশে পিচের নিচে যথেষ্ট খোয়া ছিল। সে জন্য সেখানে সব
তুলে ফেলা হয়নি ৷ ডিজাইন অনুযায়ী রাস্তার কাজ করা হচ্ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪