বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় শাস্ত্রীয় সুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭: ৫৩

দিনভর বৃষ্টি। কালোমুখো আকাশের চেহারায় ছিল না হাসি। সে প্রভাব এতটুকু পড়েনি সংগীতপিপাসুদের মনে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেঙ্গল শিল্পালয়ে শাস্ত্রীয় সংগীতের আসরে কোনো আসন ফাঁকা ছিল না। বাইরে বৃষ্টি। ভেতরে চলছে সেতার, সারেঙ্গি, তানপুরা, এসরাজ, তবলার বাদন। তাতে মোহিত হয়ে ওঠেন আগত দর্শক-শ্রোতা। বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের দশম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন শাস্ত্রীয় সংগীত। দুই দিনব্যাপী সুনাদ শিরোনামের বার্ষিক এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার।

শুরুতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘অনুষ্ঠানের নাম সুনাদ এই অর্থে যে শিল্পীর মনের ভেতর আপনা-আপনি যে সুর সৃষ্টি হয়, তার নাম অনাহত নাদ। সেখান থেকে আমাদের প্রত্যাশা, শিল্পীর ভেতরেই একটা প্রীতির ধ্বনি আপনা থেকে সৃষ্টি হবে।’

শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টেনে লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যাকে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক বলছি, সেই সংগীত আফগানিস্তান থেকে শুরু করে আমাদের পূর্ব বাংলা পর্যন্ত একটা বিস্তৃত অঞ্চলে নানা আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়েছে ৩০০-৪০০ বছর ধরে। আমাদের পূর্ব বাংলায় পলিমাটি, অজস্র নদীনালার যে জাল, লোকগানের সুর—সব মিলিয়ে একধরনের সংগীত প্রীতি আছে। উনিশ শতকেও বাংলাদেশে তবলার সমৃদ্ধ একটা ঘরানা ছিল। খেয়াল, সেতার, সরোদের বাদন ও চর্চা ছিল। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যাঁদের হাতে শাস্ত্রীয় সংগীত শুধু বিকশিতই হয়নি, পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত হয়েছে, তাঁদের অনেকেরই পারিবারিক সূত্রে, জন্মসূত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। সুতরাং, শাস্ত্রীয় সংগীত আজ যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তাতে বাংলাদেশের মানুষ, মাটি ও জলের অবদান আছে।’

এদিন খেয়াল পরিবেশন করেন সংগীতালয়ের নবীন ছাত্রছাত্রীরা। ছিলেন শাশ্বত কুমার মন্ডল, মিথীলা ফাল্গুনী মন্ডল, কুমার বিক্রমাদিত্য সরকার, দিব্যশ্রী সাহা, মাহির আজমাইন ইভান, ত্বকী ইয়াসার আইমান, সদ্য মজুমদার। ফাহমিদা নাজনীন ও ধ্রুব সরকার তাঁদের তবলা ও হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন।

এরপর সোহিনী মজুমদার আসেন সেতার বাদন নিয়ে। তাঁকে তবলায় সংগত করেন নুসরাত ই জাহান খুশবু। খেয়াল গেয়ে শোনান অনিয়া পাল। তাঁকে তবলা ও হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন আপন বিশ্বাস ও ধ্রুব সরকার। এসরাজ ও সারেঙ্গির দ্বৈত বাদন নিয়ে আসেন সৌমিত রায় ও নিলয় হালদার। তাঁদের তবলায় সহযোগিতা করেন ফাহমিদা নাজনীন।

টিঙ্কু শীল ধ্রুপদ শোনান। তাঁকে পাখোয়াজ ও তানপুরায় সংগত করেন কুমার প্রতিবিম্ব ও অপূর্ব কর্মকার।

গতকাল সবশেষ শিল্পী ছিলেন সজীব বিশ্বাস। তাঁর একক তবলা বাদন দিয়ে শেষ হয় উদ্বোধনী দিনের আয়োজন। তাঁকে হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন ধ্রুব সরকার। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনেও থাকছে নানা পরিবেশনা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত