শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় কৃষকদের ধানকাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন ঘরে ঘরে চলছে ধান সেদ্ধ করার কাজ। গ্রামে গ্রামে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করার সময়টুকু একটা উৎসবের মতো আমেজ সৃষ্টি করছে।
গ্রামের কৃষক ও গৃহবধূরা জানান, উপজেলাজুড়ে প্রচুর ধান চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয় আড়িয়ল বিলে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে চিরাচরিত নিয়মে এই গ্রামগুলোতে ধানকাটার পুরো প্রক্রিয়াটা উৎসবমুখর হয়ে থাকে। বিশেষ করে মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে মাড়াই করা হয়। এরপর সেই ধান ভোররাতে মাটির চুলায় সেদ্ধ করেন গৃহবধূরা। অনেকেই সন্ধ্যা এবং মধ্যরাতেও ধান সেদ্ধ করে থাকেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভোরের দিকেই ধান সেদ্ধ করার আয়োজন চলে। পরদিন ধান সেদ্ধ করা হবে, এ কথা মাথায় রেখে আগের দিন রাতে একটু আগেভাগেই ঘুমিয়ে পড়েন গৃহবধূরা। আবছা অন্ধকার ভোরে এমন ধান সেদ্ধ করার কর্মযজ্ঞ খুব আনন্দময় হয়। গৃহবধূদের সঙ্গে অনেক সময় বাড়ির পুরুষেরাও অংশ নেন। আলো ফোটার পর সেদ্ধ করা ধান রোদে শুকাতে দেওয়া হয়।
উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের শাহিদা বেগম বলেন, ভোরে ধান সেদ্ধ করতে পাশাপাশি কয়েকটি চুলা বসানো হয়। এ সময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ধান সেদ্ধ করার কাজ চলে। নিস্তব্ধ ভোরে নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় খুব ভালো সময় কাটে গৃহবধূদের। এরপর রোদ উঠলে সেই ধান শুকাতে সবাই আবার ব্যস্ত হয়ে যান। তবে ধান সেদ্ধ করার সময়টুকু যুগের পর যুগ গ্রামে একটা উৎসবের মতো আমেজ সৃষ্টি করছে।
বাঘড়া গ্রামের জাবেদা বেগম বলেন, ‘এবার তাঁরা প্রায় সারা রাত ধরে ধান সেদ্ধ করেছেন। রোদ ওঠার আগপর্যন্ত খড় বা বড় ত্রিপল দিয়ে ধান ঢেকে রেখে দেওয়া হয়। এই কাজে যথেষ্ট পরিশ্রম থাকলেও বেশ আনন্দের।’
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সড়কের পাশে রাতে চুলায় ধান সেদ্ধ করতে দেখা গেছে। এ সময় ফাতেমা বেগম বলেন, ‘পুরুষেরা ধান কেটে নিয়ে আসেন। আমরা সেদ্ধ করি, রোদে শুকাই। সবাই মিলে আনন্দের সঙ্গেই কাজগুলো করি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শান্তনা রানী বলেন, এই সময় গ্রামজুড়ে নারী-পুরুষ ধান তোলা, সেদ্ধ করার কাজে অংশ নেন। এই কর্মযজ্ঞ আনন্দময় হয়ে এখনো টিকে আছে। মাড়াই থেকে সেদ্ধ করা, রোদে শুকানোর কাজগুলো চলছে উৎসবমুখর পরিবেশে।
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় কৃষকদের ধানকাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন ঘরে ঘরে চলছে ধান সেদ্ধ করার কাজ। গ্রামে গ্রামে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করার সময়টুকু একটা উৎসবের মতো আমেজ সৃষ্টি করছে।
গ্রামের কৃষক ও গৃহবধূরা জানান, উপজেলাজুড়ে প্রচুর ধান চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয় আড়িয়ল বিলে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে চিরাচরিত নিয়মে এই গ্রামগুলোতে ধানকাটার পুরো প্রক্রিয়াটা উৎসবমুখর হয়ে থাকে। বিশেষ করে মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে মাড়াই করা হয়। এরপর সেই ধান ভোররাতে মাটির চুলায় সেদ্ধ করেন গৃহবধূরা। অনেকেই সন্ধ্যা এবং মধ্যরাতেও ধান সেদ্ধ করে থাকেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভোরের দিকেই ধান সেদ্ধ করার আয়োজন চলে। পরদিন ধান সেদ্ধ করা হবে, এ কথা মাথায় রেখে আগের দিন রাতে একটু আগেভাগেই ঘুমিয়ে পড়েন গৃহবধূরা। আবছা অন্ধকার ভোরে এমন ধান সেদ্ধ করার কর্মযজ্ঞ খুব আনন্দময় হয়। গৃহবধূদের সঙ্গে অনেক সময় বাড়ির পুরুষেরাও অংশ নেন। আলো ফোটার পর সেদ্ধ করা ধান রোদে শুকাতে দেওয়া হয়।
উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের শাহিদা বেগম বলেন, ভোরে ধান সেদ্ধ করতে পাশাপাশি কয়েকটি চুলা বসানো হয়। এ সময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ধান সেদ্ধ করার কাজ চলে। নিস্তব্ধ ভোরে নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় খুব ভালো সময় কাটে গৃহবধূদের। এরপর রোদ উঠলে সেই ধান শুকাতে সবাই আবার ব্যস্ত হয়ে যান। তবে ধান সেদ্ধ করার সময়টুকু যুগের পর যুগ গ্রামে একটা উৎসবের মতো আমেজ সৃষ্টি করছে।
বাঘড়া গ্রামের জাবেদা বেগম বলেন, ‘এবার তাঁরা প্রায় সারা রাত ধরে ধান সেদ্ধ করেছেন। রোদ ওঠার আগপর্যন্ত খড় বা বড় ত্রিপল দিয়ে ধান ঢেকে রেখে দেওয়া হয়। এই কাজে যথেষ্ট পরিশ্রম থাকলেও বেশ আনন্দের।’
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সড়কের পাশে রাতে চুলায় ধান সেদ্ধ করতে দেখা গেছে। এ সময় ফাতেমা বেগম বলেন, ‘পুরুষেরা ধান কেটে নিয়ে আসেন। আমরা সেদ্ধ করি, রোদে শুকাই। সবাই মিলে আনন্দের সঙ্গেই কাজগুলো করি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শান্তনা রানী বলেন, এই সময় গ্রামজুড়ে নারী-পুরুষ ধান তোলা, সেদ্ধ করার কাজে অংশ নেন। এই কর্মযজ্ঞ আনন্দময় হয়ে এখনো টিকে আছে। মাড়াই থেকে সেদ্ধ করা, রোদে শুকানোর কাজগুলো চলছে উৎসবমুখর পরিবেশে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে