বাগেরহাটে শিশু সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রুবেল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের কাহারডাঙ্গা এলাকা থেকে র‍্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে গতকাল বুধবার রুবেলকে বাগেরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তার রুবেলকে আদালতে পাঠানো হয়। বাগেরহাট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবির পারভেজ রুবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নির্যাতিতা ওই নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যায় নির্যাতিত ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে রুবেল ও সজল নামের দুজনকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পরেই রুবেলকে গ্রেপ্তার করতে বাগেরহাট সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) তকিবুর রহমান অভিযান শুরু করেন। অন্যদিকে র‍্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামের নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি টিমও রুবেলকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে।

একপর্যায়ে যৌথ অভিযানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার সময় লখপুর এলাকা থেকে রুবেল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুবেলকে হেফাজতে নেয় র‍্যাব-৬। পরবর্তীতে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার রুবেল হাওলাদারকে

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসামি রুবেল হাওলাদার মোরেলগঞ্জ উপজেলার পোলেরহাট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাদেকাড়াপাড়া এলাকায় নানা বাড়িতে থাকতেন। নির্যাতনের স্বীকার ওই নারীকে তিনি আগে থেকেই উত্যক্ত করতেন। মামলার আরেক আসামি সজল মল্লিকের সহযোগিতায় কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন তিনি।

বাগেরহাট সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি শুনে গত মঙ্গলবার সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ওই দিন সকালেই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সজল মল্লিককে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ওই নারীর ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়। ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামি রুবেল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

গত সোমবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বাদেকাড়াপাড়া এলাকায় কৌশলে ঘরে ঢুকে সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন রুবেল হাওলাদার। পাশাপাশি নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেন।