মাস্ক ব্যবহারে অনীহা,বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ১৪
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ০৯

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলেও অনেকেই তা মানছেন না। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা বেশি দেখা গেছে। গণপরিবহনগুলোতে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহার নেই বললেই চলে। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে ।

এর আগে, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে, যা ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল রাখার কথা বলা হয়।

এদিকে, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিভাগ দিলেও যে যার মতো মাস্ক ব্যবহার না করে চলাফেরা করছেন। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করলেও মাস্ক ব্যবহারে সচেতন হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, খাবারের হোটেল বা রেস্তোরাঁয় সাধারণ মানুষ অবাধে কিনছেন খাবার। অনেকে গাদাগাদি করে বসে খাচ্ছেন। মাস্ক ছাড়াই খাবার পরিবেশন করছেন হোটেলের কর্মচারীরা। তবে কাউকেই দেখাতে হচ্ছে না টিকাসনদ। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেই কোনো নজরদারি।

শহরের রাজধানী হোটেলের ব্যবস্থাপক ইমরান হোসেন বলেন, তিনি বিষয়টি পুরোপুরি অবগত নন, প্রশাসনের তৎপরতা না থাকার কারণে এখনো সে রকমভাবে দেখা হচ্ছে না টিকাসনদ। অনেকে এখনো টিকা দিতে পারেননি, সনদ সঙ্গে আনেননি, কেউ আবার একটি টিকা দিয়েছেন।

ঢাকা বিরিয়ানি হাউসের কর্মচারী শাহিন বলেন, এ বিষয়ে তিনি জানেন না, এর পর থেকে বিষয়টি যাচাই করবেন।

ওই দোকানে খেতে আশা ইশিতা জামান বলেন, ‘হোটেল মালিকেরা আমাদের কাছে কখনো টিকাসনদ দেখতে চাননি, তাই সঙ্গে আনা হয়নি।’

ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনা টিকার জন্য ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৯৩ জন নিবন্ধন করেছেন। প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ১২১ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭৭ হাজার ১২৯ জন, বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৭৮৪ জন। ১২-১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের ১৬ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য আরও ৫ হাজার টিকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে মোট দুজন আক্রান্ত রয়েছেন, যা গত এক মাস আগেও শূন্যের কোঠায় ছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, করোনা বিষয়ে সরকারি বিধিনিষেধ সম্পর্কে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সচেতন করার জন্য মাইকিং করে প্রচার করা হয়েছে। খুব শিগগির মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত