Ajker Patrika

হাসপাতাল ভাঙচুরে ক্ষতি ৩৯ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
হাসপাতাল ভাঙচুরে ক্ষতি ৩৯ লাখ টাকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ারের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীরা যে ভাঙচুর করেছেন, তাতে ৩৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করেছে। আর হাসপাতালে আনার আগেই শাহরিয়ারের মৃত্যু হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর কাছে ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাবি শিক্ষার্থীরা সেদিন হাসপাতাল প্রশাসন ভবনের নিচতলায় ছয়-সাতটি কাচের জানালা ভাঙচুর করেন। আর অর্ধশত ফুলের টব ভাঙেন। এ ছাড়া শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করার পর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নার্সদের বসার টেবিলটি উল্টে ফেলেন। এতেই ৩৯ লাখ টাকার ক্ষতি কীভাবে হলো জানতে চাইলে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানালার দামগুলো জেনে নিয়েছে। তাদের মতামত নিয়েছে। ওদের খরচের হিসাবটা তো একটু বেশিই হয়। সে জন্যই হয়েছে হয়তো।’

তবে ক্ষতির হিসাবের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল। তিনি বলেন, হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভেতরে একটা মিনি ওটি আছে। ওখানকার অনেক যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। গণপূর্তের কর্মকর্তারা তো মেডিকেল যন্ত্রপাতির দাম জানেন না। তাই যন্ত্রপাতির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণটা তদন্ত প্রতিবেদনে আসেনি। ওটা ধরলে হাসপাতালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হবে।

হাসপাতালের পাঁচ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন নিউরো মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন। কমিটি শাহরিয়ারের মৃত্যুর ‘প্রকৃত’ কারণ জানতে মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করার সুপারিশ করেছে। আর মৃত্যু যেহেতু আগেই হয়েছিল, তাই শাহরিয়ারের চিকিৎসায় কোনো অবহেলা হয়নি বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

হাসপাতালের তদন্ত প্রতিবেদনে অস্বাভাবিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনটা তো আমি দেখিনি। তাই এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করছি না।’

গত ১৯ অক্টোবর রাবির হবিবুর রহমান হলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তাঁকে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ সময় চিকিৎসায় অবহেলা এবং আইসিইউ বেড না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাবি শিক্ষার্থীরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত