হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশনের ভেতর এলাকাভেদে গৃহকর নির্ধারণ করা হয় বর্গফুটের হিসাবে। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চলতে চাইছে ভিন্ন পথে। তারা ফ্ল্যাটের ভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ করতে চাইছে। এতে গৃহকর এক লাফে কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। ভবনমালিকেরা বলছেন, পাঁচ বছর আগে এই কৌশলে গৃহকর আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি। সে সময় অসন্তোষের মুখে ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু পাঁচ বছর পর এসে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর ভবনমালিকেরা। আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতারা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘সবুজসংকেত’ দেওয়া চিঠিটি গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, আগে সিটি করপোরেশনের ভেতর এলাকাভেদে বর্গফুটের হিসাবে ফ্ল্যাটের একটি ভাড়া নির্ধারণ করত করপোরেশন। সেই ভাড়ার ১৭ শতাংশ হারে গৃহকর আদায় করা হতো। কিন্তু নতুন নিয়মে ফ্ল্যাটের ভাড়ার ওপর ভিত্তি করে গৃহকর নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে একটি এলাকার একটি ফ্ল্যাটের ভাড়াকে মানদণ্ড ধরে ওই এলাকার সব ফ্ল্যাটের গৃহকর নির্ধারণ হবে।
জানতে চাইলে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের মুখপাত্র হাসান মারুফ রুমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাড়ার ভিত্তিতে যে গৃহকর মূল্যায়ন করা হয়েছে, সেটি প্রয়োগযোগ্য নয়। গত ৩০ বছরে কোনো মেয়র বা প্রশাসক সেটি বাস্তবায়ন করেনি। কিন্তু সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সেটি বাস্তবায়ন করতে যান। জনবান্ধব না হওয়ায় তখন নগরবাসী এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পাঁচ বছর পর এখন সেই আইনের ভিত্তিতেই আবার গৃহকর আদায় করতে যাচ্ছেন বর্তমান মেয়র।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান মেয়র নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, গৃহকর বাড়াবেন না। ভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর নেবেন না। অথচ তিনি ক্ষমতায় বসেই মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে দফায় দফায় চিঠি দিয়েছেন। যার
পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে মন্ত্রণালয়। তার মানে তিনি মুখে বলছেন এক, কাজ করছেন ভিন্ন। উনি বিশ্বাস ভঙ্গ করছেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দ্য সিটি করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস অ্যাক্ট ১৯৮৬-এর ২১ ধারায় সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সকল প্রকার স্থাপনার পরিমাপ ও সংশ্লিষ্ট তথ্য সরেজমিনে সংগ্রহ করে পৌরকর নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। আইনটির আলোকে ২০১৬ সালে তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পঞ্চবার্ষিক গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের উদ্যোগ নেন। পুনর্মূল্যায়ন শেষে তা ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট প্রকাশ করা হয়। সে সময় নগরীতে ১ লাখ ৮৫ হাজার হোল্ডিং চিহ্নিত করা হয়। পুনর্মূল্যায়নে ৮৫১ কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৯ টাকা পৌরকর আদায়ের প্রস্তাব করা হয়, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১০৩ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৭ টাকা। ভবনের ভাড়া বা আয়ের বিপরীতে গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন করায় ২০১৭ সালে এক লাফে গৃহকর কয়েক গুণ বেড়ে যায়। নতুন নিয়মে যেকোনো বহুতল স্থাপনার সবগুলো ফ্ল্যাটের মোট বার্ষিক ভাড়ার মধ্যে দুই মাসের ভাড়া বাদ যাবে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হিসেবে। ভবনমালিক যদি কোনো ফ্ল্যাটে বসবাস করেন, সে ক্ষেত্রে আরও ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। বার্ষিক মোট ভাড়ার বাকি অংশের ওপর ১৭ শতাংশ কর দিতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে ভবনমালিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয় সে সময়। তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ওই সময় বর্ধিত গৃহকর আদায়ের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন তৎকালীন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। একই দাবিতে আন্দোলনে নামে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদও। পরে আন্দোলনের মুখে বর্ধিত গৃহকর আদায় স্থগিত করার নির্দেশনা দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
নগরীর ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকার ভবনমালিক মহিউদ্দিন রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রতি বর্গফুটের চার টাকা হারে ভবনের আয়তনকে গুণ করে যেই ভাড়া আসে, তার ওপর ভিত্তি করে ১৭ শতাংশ গৃহকর নির্ধারণ করত সিটি করপোরেশন। কিন্তু ভবনের ভাড়ার ওপর ভিত্তি করে গৃহকর নির্ধারণ করে তা আদায় করতে চাচ্ছে সিটি করপোরেশন। আগের হিসেবে ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের গৃহকর আসত ১ হাজার টাকা। কিন্তু ভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ করা হলে ওই ফ্ল্যাটের গৃহকর হবে আড়াই হাজার টাকা।’
ভবনমালিকদের কথা বিবেচনায় রেখে সিটি করপোরেশনকে আগের নিয়মে গৃহকর নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অবশ্যই গৃহকর বাড়াতে হবে। না হলে সিটি করপোরেশন কীভাবে কাজ করবে। তবে গৃহকর এমনভাবে বাড়াতে হবে, যাতে ভবনমালিকদের সেটি দিতে তেমন কষ্ট না হয়। মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৭ বছর সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন। তিনি জনগণের, বিশেষ করে ভবনমালিকদের কথা চিন্তা করেই তখন পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাই আমার আবেদন থাকবে, বর্তমান মেয়র বিষয়টি সুবিবেচনায় নিয়ে গৃহকর বাড়াবেন।’
একই দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৭ সালে যেহেতু গৃহকর নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল, তাই বিতর্কিত এই গৃহকর আদায় না করাই ভালো।’ তিনি যৌক্তিকভাবে গৃহকর বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর অফিস সহকারী ফোন ধরে বলেন, মেয়র মিটিং করছেন। পরে সন্ধ্যায় আবার কল করা হলেও মেয়র ফোন ধরেননি।
সিটি করপোরেশনের ভেতর এলাকাভেদে গৃহকর নির্ধারণ করা হয় বর্গফুটের হিসাবে। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চলতে চাইছে ভিন্ন পথে। তারা ফ্ল্যাটের ভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ করতে চাইছে। এতে গৃহকর এক লাফে কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। ভবনমালিকেরা বলছেন, পাঁচ বছর আগে এই কৌশলে গৃহকর আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি। সে সময় অসন্তোষের মুখে ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু পাঁচ বছর পর এসে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর ভবনমালিকেরা। আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতারা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘সবুজসংকেত’ দেওয়া চিঠিটি গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, আগে সিটি করপোরেশনের ভেতর এলাকাভেদে বর্গফুটের হিসাবে ফ্ল্যাটের একটি ভাড়া নির্ধারণ করত করপোরেশন। সেই ভাড়ার ১৭ শতাংশ হারে গৃহকর আদায় করা হতো। কিন্তু নতুন নিয়মে ফ্ল্যাটের ভাড়ার ওপর ভিত্তি করে গৃহকর নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে একটি এলাকার একটি ফ্ল্যাটের ভাড়াকে মানদণ্ড ধরে ওই এলাকার সব ফ্ল্যাটের গৃহকর নির্ধারণ হবে।
জানতে চাইলে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের মুখপাত্র হাসান মারুফ রুমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাড়ার ভিত্তিতে যে গৃহকর মূল্যায়ন করা হয়েছে, সেটি প্রয়োগযোগ্য নয়। গত ৩০ বছরে কোনো মেয়র বা প্রশাসক সেটি বাস্তবায়ন করেনি। কিন্তু সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সেটি বাস্তবায়ন করতে যান। জনবান্ধব না হওয়ায় তখন নগরবাসী এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পাঁচ বছর পর এখন সেই আইনের ভিত্তিতেই আবার গৃহকর আদায় করতে যাচ্ছেন বর্তমান মেয়র।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান মেয়র নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, গৃহকর বাড়াবেন না। ভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর নেবেন না। অথচ তিনি ক্ষমতায় বসেই মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে দফায় দফায় চিঠি দিয়েছেন। যার
পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে মন্ত্রণালয়। তার মানে তিনি মুখে বলছেন এক, কাজ করছেন ভিন্ন। উনি বিশ্বাস ভঙ্গ করছেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দ্য সিটি করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস অ্যাক্ট ১৯৮৬-এর ২১ ধারায় সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সকল প্রকার স্থাপনার পরিমাপ ও সংশ্লিষ্ট তথ্য সরেজমিনে সংগ্রহ করে পৌরকর নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। আইনটির আলোকে ২০১৬ সালে তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পঞ্চবার্ষিক গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের উদ্যোগ নেন। পুনর্মূল্যায়ন শেষে তা ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট প্রকাশ করা হয়। সে সময় নগরীতে ১ লাখ ৮৫ হাজার হোল্ডিং চিহ্নিত করা হয়। পুনর্মূল্যায়নে ৮৫১ কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৯ টাকা পৌরকর আদায়ের প্রস্তাব করা হয়, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১০৩ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৭ টাকা। ভবনের ভাড়া বা আয়ের বিপরীতে গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন করায় ২০১৭ সালে এক লাফে গৃহকর কয়েক গুণ বেড়ে যায়। নতুন নিয়মে যেকোনো বহুতল স্থাপনার সবগুলো ফ্ল্যাটের মোট বার্ষিক ভাড়ার মধ্যে দুই মাসের ভাড়া বাদ যাবে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হিসেবে। ভবনমালিক যদি কোনো ফ্ল্যাটে বসবাস করেন, সে ক্ষেত্রে আরও ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। বার্ষিক মোট ভাড়ার বাকি অংশের ওপর ১৭ শতাংশ কর দিতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে ভবনমালিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয় সে সময়। তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ওই সময় বর্ধিত গৃহকর আদায়ের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন তৎকালীন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। একই দাবিতে আন্দোলনে নামে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদও। পরে আন্দোলনের মুখে বর্ধিত গৃহকর আদায় স্থগিত করার নির্দেশনা দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
নগরীর ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকার ভবনমালিক মহিউদ্দিন রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রতি বর্গফুটের চার টাকা হারে ভবনের আয়তনকে গুণ করে যেই ভাড়া আসে, তার ওপর ভিত্তি করে ১৭ শতাংশ গৃহকর নির্ধারণ করত সিটি করপোরেশন। কিন্তু ভবনের ভাড়ার ওপর ভিত্তি করে গৃহকর নির্ধারণ করে তা আদায় করতে চাচ্ছে সিটি করপোরেশন। আগের হিসেবে ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের গৃহকর আসত ১ হাজার টাকা। কিন্তু ভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ করা হলে ওই ফ্ল্যাটের গৃহকর হবে আড়াই হাজার টাকা।’
ভবনমালিকদের কথা বিবেচনায় রেখে সিটি করপোরেশনকে আগের নিয়মে গৃহকর নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অবশ্যই গৃহকর বাড়াতে হবে। না হলে সিটি করপোরেশন কীভাবে কাজ করবে। তবে গৃহকর এমনভাবে বাড়াতে হবে, যাতে ভবনমালিকদের সেটি দিতে তেমন কষ্ট না হয়। মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৭ বছর সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন। তিনি জনগণের, বিশেষ করে ভবনমালিকদের কথা চিন্তা করেই তখন পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাই আমার আবেদন থাকবে, বর্তমান মেয়র বিষয়টি সুবিবেচনায় নিয়ে গৃহকর বাড়াবেন।’
একই দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৭ সালে যেহেতু গৃহকর নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল, তাই বিতর্কিত এই গৃহকর আদায় না করাই ভালো।’ তিনি যৌক্তিকভাবে গৃহকর বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর অফিস সহকারী ফোন ধরে বলেন, মেয়র মিটিং করছেন। পরে সন্ধ্যায় আবার কল করা হলেও মেয়র ফোন ধরেননি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে