মাছ থেকে প্রোটিনযুক্ত শুকনো ৯টি খাবার

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২২, ০৬: ৪০
আপডেট : ১৩ জুন ২০২২, ১৪: ০৮

খাবারগুলো ‘রেডি টু কুক’ বা প্যাকেট ছিঁড়েই রান্নার উপযোগী। এর মধ্যে রয়েছে তেলাপিয়া ও টুনার ফিশ বল, পাঙাশ ও ম্যাকেরেলের ফিশ সসেজ, তেলাপিয়া ও হোয়াইট স্ন্যাপারের ব্যাটারড অ্যান্ড ব্রেডেড ফিশ এবং মেরিনেটেড সারডিন। এ ছাড়া রেডি টু ইট, অর্থাৎ প্যাকেট খুলেই খাওয়া যাবে তেলাপিয়া ও টুনার ফিশ ক্র্যাকার্স।

শহুরে মানুষের কথা মাথায় রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মৎস্য বিভাগের তিনজন গবেষক মাছ থেকে প্রোটিনযুক্ত উল্লিখিত শুকনো নয়টি খাবার তৈরি করেন।

গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের কনফারেন্স রুমে ‘গবেষণা ফলাফল শেয়ার ও প্রোডাক্ট লঞ্চিং’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মুখ্য গবেষক ও ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহুরে মানুষ এখন কাঁচা উপাদানের পরিবর্তে তৎক্ষণাৎ রান্নার উপযুক্ত অথবা খাওয়ার উপযুক্ত খাদ্যদ্রব্য খুঁজে বেড়ায়। আমাদের দেশের সুপারশপগুলোতে বিভিন্ন ধরনের মাংসজাত দ্রব্য প্যাকেটজাত খাবার পাওয়া গেলেও মৎস্যজাত দ্রব্য খুব কম পাওয়া যায়। হিমায়িত দ্রব্যের পাশাপাশি কীভাবে শীতলীকৃত এসব মৎস্যজাত দ্রব্য বাজারে প্রচলন করা যায়, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ, আমাদের দেশের ভোক্তারা হিমায়িত খাবারের চেয়ে শীতলীকৃত দ্রব্য বেশি পছন্দ করেন।’

বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচ ধরনের মাছ থেকে প্রোটিনসমৃদ্ধ ভিন্ন ভিন্ন নয়টি শুকনো খাবার তৈরি করা রাবির মৎস্য বিভাগের তিন গবেষক হলেন ড. তরিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ইয়ামিন হোসেন ও ড. সৈয়দা নুসরাত জাহান।

তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিনটি উদ্দেশ্য নিয়ে গবেষণা প্রকল্পের কাজ করা হয়। সেগুলো হলো, স্বাদুপানি ও সামুদ্রিক মাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের রেডি টু কুক এবং রেডি টু ইট খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা, মডিফাইড অ্যাটমোসফিয়ার প্যাকেজিং করে বিভিন্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ ও স্থায়িত্বকাল নির্ণয় করা এবং প্যাকেটজাত এসব মৎস্যজাত দ্রব্য স্বল্প পরিসরে বিক্রি করার মাধ্যমে ভোক্তাদের গ্রহণযোগ্যতা নির্ণয় করা।’

সৈয়দা নুসরাত জাহানের সঞ্চালনায় সহ-গবেষক অধ্যাপক ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অনেকে নানা কারণে মাছ খেতে চান না। তাই সরাসরি মাছ গ্রহণ না করেও যাতে মাছের প্রোটিন পাওয়া যায় সেটি নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, আমাদের তৈরি এসব খাবার ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসবে।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু পুথিগত পাঠদান নয়। বরং বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদানের সঙ্গে সঙ্গে গবেষণা করা ও গবেষণালব্ধ জ্ঞান মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এ ছাড়া কোনো জ্ঞান যদি মানবকল্যাণে ব্যবহার না হয়, তাহলে সে জ্ঞান মূল্যহীন। আপনারা যেটি করেছেন সেটি বর্তমান সময়ের জন্য বেশ উপযোগী।’

মৎস্য বিভাগের সভাপতি মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি সহ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক।

ভোক্তাপর্যায়ে এসব খাবারের স্বাদ ও মান যাচাইয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যুভেনির শপ, আমানা বিগ বাজার রাজশাহী ও বিএআরসি ক্যানটিন ঢাকায় দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

বিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানির তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

ভারত ও তরুণ প্রজন্মের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রসঙ্গে যা বললেন মির্জা ফখরুল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত