প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর
মিঠাপুকুরে সৌরশক্তি ব্যবহার করে ঘাঘট নদের পানি সরাসরি চলে যাচ্ছে কৃষকের খেতে। এই পদ্ধতিতে প্রতি বিঘা জমির সেচ খরচে কৃষকের সাশ্রয় হচ্ছে ৫০০ টাকা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সৌরবিদ্যুতে চালিত এমন পরিবেশবান্ধব সাশ্রয়ী সেচব্যবস্থা চালু করেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
মিঠাপুকুর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমির ওপরের পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে বৃহত্তর রংপুরে সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় মিঠাপুকুরে সোলার প্যানেলের শক্তির সাহায্যে নদীর পানি সরাসরি কৃষকের শস্যখেতে সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, নদীর পানি সেচকাজে ব্যবহারের এই পদ্ধতিকে বলা হয় সৌরবিদ্যুৎ চালিত এলএলপি (কম গভীর পাম্প)। উপজেলায় তিনটি পরীক্ষামূলক এলএলপির মাধ্যমে কম দামে সেচ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ভাংনী ইউনিয়নে দুটি ও বালারহাটে একটি রয়েছে। প্রতিটিতে সৌরশক্তির ৪৫টি প্যানেল রয়েছে।
শরিফুল ইসলাম আরও জানান, বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কৃষি, কৃষক ও পরিবেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সৌরবিদ্যুৎ চালিত এলএলপি। এই পাম্পে এক ঘণ্টা সেচের জন্য মাত্র ১১০ টাকা নেওয়া হয়।
ভাংনী ইউনিয়নের কাগজীপাড়ায় ঘাঘট নদের তীরে এলএলপি পরিচালনা করেন কৃষক ফজলুল হক। তিনি জানান, তাঁর পাম্পের সাহায্যে ৫০ থেকে ৬০ একর জমিতে সেচ দেওয়া যায়। এর চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু সবার খেতে সেচ দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ যে সোলার প্যানেল রয়েছে তাতে ৫০ থেকে ৬০ একরের বেশি জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব না।
ফজলুল হকের দেওয়া হিসাব মতে, গভীর ও অগভীর নলকূপের তুলনায় এলএলপি দিয়ে সেচ অনেক সাশ্রয়ী। অগভীর নলকূপে এক বিঘায় সেচ খরচ ৮০০ টাকা। অপরদিকে এলএলপি দিয়ে সেচ দিতে নেওয়া হয় ৩০০ টাকা। সময় লাগে ২ ঘণ্টার মতো। এতে বিঘায় ৫০০ টাকা সাশ্রয় হয়।
এই কৃষক জানান, তাঁদের নগদ টাকার কোনো কারবার হয় না। কার্ড দিয়ে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। ঘণ্টায় ১৫০ টাকা নেওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, রাতে একজন পাহারা দেন। একজন সব সময় সেচের কাজ তদারকি করেন। সুবিধাভোগী কৃষকরাই তাঁদের সম্মানী হিসেবে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দিয়ে থাকেন।
মিঠাপুকুরে এলএলপি প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। উপকৃত হচ্ছেন ১৬০ কৃষক। এই উপজেলার পশ্চিম এলাকায় আঁখিরা ও যমুনেশ্বরী নদী প্রবাহিত। কিন্তু নদী দুটির পানি এখনো সেচকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এগুলোর তীরে এলএলপি চালু করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
সেচ সম্প্রসারণের রংপুরের প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শস্য উৎপাদনে প্রায় সারা বছর সেচ দিতে হয়। কৃষকেরা এই সেচ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কারণ এখনো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি দিয়েই সেচ দেওয়া হয়। এতে একদিকে বিদ্যুতের অপচয় অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি রোধে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মূলত ভূগর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে উপরিভাগের পানির সর্বোত্তম ব্যবহার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করছে।
হাবিবুর রহমান জানান, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার জন্য নদী, খাল, বিল ও পুকুর খননসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলচালিত সেচ যন্ত্রপাতির ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্যই সৌরবিদ্যুতের সাহায্যে নদীর পানি ও পাতকুয়ার মাধ্যমে বৃষ্টির পানি দিয়ে খেতে সেচ দেওয়া শুরু করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা জানান, সেচকাজে নদনদীর পানির ব্যবহার বাড়াতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত এলএলপি কার্যক্রম জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মিঠাপুকুরে সৌরশক্তি ব্যবহার করে ঘাঘট নদের পানি সরাসরি চলে যাচ্ছে কৃষকের খেতে। এই পদ্ধতিতে প্রতি বিঘা জমির সেচ খরচে কৃষকের সাশ্রয় হচ্ছে ৫০০ টাকা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সৌরবিদ্যুতে চালিত এমন পরিবেশবান্ধব সাশ্রয়ী সেচব্যবস্থা চালু করেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
মিঠাপুকুর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমির ওপরের পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে বৃহত্তর রংপুরে সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় মিঠাপুকুরে সোলার প্যানেলের শক্তির সাহায্যে নদীর পানি সরাসরি কৃষকের শস্যখেতে সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, নদীর পানি সেচকাজে ব্যবহারের এই পদ্ধতিকে বলা হয় সৌরবিদ্যুৎ চালিত এলএলপি (কম গভীর পাম্প)। উপজেলায় তিনটি পরীক্ষামূলক এলএলপির মাধ্যমে কম দামে সেচ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ভাংনী ইউনিয়নে দুটি ও বালারহাটে একটি রয়েছে। প্রতিটিতে সৌরশক্তির ৪৫টি প্যানেল রয়েছে।
শরিফুল ইসলাম আরও জানান, বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কৃষি, কৃষক ও পরিবেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সৌরবিদ্যুৎ চালিত এলএলপি। এই পাম্পে এক ঘণ্টা সেচের জন্য মাত্র ১১০ টাকা নেওয়া হয়।
ভাংনী ইউনিয়নের কাগজীপাড়ায় ঘাঘট নদের তীরে এলএলপি পরিচালনা করেন কৃষক ফজলুল হক। তিনি জানান, তাঁর পাম্পের সাহায্যে ৫০ থেকে ৬০ একর জমিতে সেচ দেওয়া যায়। এর চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু সবার খেতে সেচ দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ যে সোলার প্যানেল রয়েছে তাতে ৫০ থেকে ৬০ একরের বেশি জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব না।
ফজলুল হকের দেওয়া হিসাব মতে, গভীর ও অগভীর নলকূপের তুলনায় এলএলপি দিয়ে সেচ অনেক সাশ্রয়ী। অগভীর নলকূপে এক বিঘায় সেচ খরচ ৮০০ টাকা। অপরদিকে এলএলপি দিয়ে সেচ দিতে নেওয়া হয় ৩০০ টাকা। সময় লাগে ২ ঘণ্টার মতো। এতে বিঘায় ৫০০ টাকা সাশ্রয় হয়।
এই কৃষক জানান, তাঁদের নগদ টাকার কোনো কারবার হয় না। কার্ড দিয়ে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। ঘণ্টায় ১৫০ টাকা নেওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, রাতে একজন পাহারা দেন। একজন সব সময় সেচের কাজ তদারকি করেন। সুবিধাভোগী কৃষকরাই তাঁদের সম্মানী হিসেবে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দিয়ে থাকেন।
মিঠাপুকুরে এলএলপি প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। উপকৃত হচ্ছেন ১৬০ কৃষক। এই উপজেলার পশ্চিম এলাকায় আঁখিরা ও যমুনেশ্বরী নদী প্রবাহিত। কিন্তু নদী দুটির পানি এখনো সেচকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এগুলোর তীরে এলএলপি চালু করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
সেচ সম্প্রসারণের রংপুরের প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শস্য উৎপাদনে প্রায় সারা বছর সেচ দিতে হয়। কৃষকেরা এই সেচ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কারণ এখনো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি দিয়েই সেচ দেওয়া হয়। এতে একদিকে বিদ্যুতের অপচয় অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি রোধে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মূলত ভূগর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে উপরিভাগের পানির সর্বোত্তম ব্যবহার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করছে।
হাবিবুর রহমান জানান, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার জন্য নদী, খাল, বিল ও পুকুর খননসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলচালিত সেচ যন্ত্রপাতির ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্যই সৌরবিদ্যুতের সাহায্যে নদীর পানি ও পাতকুয়ার মাধ্যমে বৃষ্টির পানি দিয়ে খেতে সেচ দেওয়া শুরু করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা জানান, সেচকাজে নদনদীর পানির ব্যবহার বাড়াতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত এলএলপি কার্যক্রম জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪