চুরি যাওয়া মিটার ফেরত মেলে টাকায়

কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ৫০
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১১

বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে যায় একদল চোর। সেখানে চিরকুটে রেখে যায় বিকাশ নম্বর। সেই নম্বরে মিটার মালিকেরা টাকা পাঠান। এরপর ফোনে তাঁদের নির্দিষ্ট স্থানের কথা বলা হয়। সেখানে গেলেই মালিকেরা পেয়ে যান তাঁদের চুরি হওয়া মিটার। এমনই ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায়। কয়েক দিন ধরেই উপজেলায় বৈদ্যুতিক মিটার চুরি বেড়েছে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিটার ফেরত পেতে সময় ও বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে। তাই মিটার দ্রুত ফেরত পেতে তাঁরা বাধ্য হয়ে চোরের রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাচ্ছেন।

এভাবে টাকা পাঠিয়ে চুরি যাওয়া মিটার গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেরত পেয়েছেন অটোরাইচ মিলের মালিক আব্দুর রাজ্জাক। বিকাশে টাকা পাঠালে পার্শ্ববর্তী বগুড়ার ধুনট উপজেলার বাকশাপাড়ায় একটি খড়ের গাদার মধ্যে মিটার পাবেন বলে জানিয়ে দেয় চোর। পরে সেখানে গিয়ে মিটারটি উদ্ধার করেন মালিক। একই কায়দায় অন্য দুই ব্যবসায়ীও মিটারপ্রতি ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে ফেরত পান চুরি যাওয়া মিটার।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাইচমিল ব্যবসায়ী ও সেচপাম্প মালিকদের মধ্যে মিটার চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে কাজীপুরের সোনামুখী ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামে অবস্থিত শাহাদত হোসেন রাজের একটি সেমি অটো মিল, রুবেল হোসেনের একটি রাইচমিল এবং কাজীপুর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের একটি সেমি অটো ও একটি রাইস মিলের মিটার চুরি যায়। সেখানে চিরকুটে বিকাশ নম্বর লিখে মিলের কাছে রেখে যায় চোরেরা।

কাজীপুর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দ্রুত মিটার ফেরত পেতে বাধ্য হয়ে চোরের রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়েছি। আইনে গেলে হয়তো ফেরত পেতে সময় ও বিড়ম্বনার শিকার হতাম।’

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পঞ্চনন্দ সরকার জানান, ‘কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে মৌখিকভাবে বিষয়টি জেনেছি। চোরের রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বর শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত