সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জোট কিংবা যুগপৎ আন্দোলনের হিসাব কষছে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্বে নতুন জোট গড়ার একটি উদ্যোগও আছে। তবে নির্বাচন প্রশ্নে এখনই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ওই সব দলের নেতারা। তাঁরা ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া’র পক্ষে।
দেশে ধর্মভিত্তিক ৩৫টির মতো দল থাকলেও নিবন্ধন আছে মাত্র ১০টির। দলগুলো হলো—বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও খেলাফত মজলিস। এর বাইরে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হলেও রাজনীতিতে প্রভাব ফুরিয়ে যায়নি। স্বল্প পরিচিত কয়েকজন নেতাকে দিয়ে ভিন্ন নামে নিবন্ধন পাওয়ার চেষ্টাও আছে।
ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ থাকলেও অন্যরা জোট গঠন কিংবা নির্বাচনী সমঝোতার বিষয়ে ঘরোয়া আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা ১০টি দল সম্প্রতি কয়েক দফা ঘরোয়া বৈঠকও করেছে।
জানা যায়, আলোচনায় অংশ নেওয়া অন্য দলগুলো হলো—বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, এবি পার্টি, এনডিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (মনসুরুল-ইকরাম) ও এনডিএফ।
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির বাইরে ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি ঐক্য করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখনো আলোচনা ও মতবিনিময়ের পর্যায়ে রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি আমাদের আছে। তবে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যে অসম্ভব, তা ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনে জনগণ হারে হারে উপলব্ধি করেছে।’
দলটির নাম আগে ছিল ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি ভোট পেয়েছিল ৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৪। এর আগের দুটি নির্বাচনে ছিল যথাক্রমে ৫ হাজার ৯৪৪ ও ১১ হাজার ১৫৯।
‘কিছু আলোচনা হচ্ছে’
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের। জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু আলোচনা হচ্ছে, সেটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। যেহেতু নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা এখনো নিশ্চিত না, তাই সুনির্দিষ্ট আলোচনা এখনো হয়নি। মতবিনিময়, আলোচনার মধ্য দিয়ে সম্পর্ক উন্নয়ন হচ্ছে।’
দলটি আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে ছিল। গত বছর ওই জোট ছেড়ে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি ভোট পেয়েছিল ২৭ হাজার ৯২১। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। সমঝোতা সম্ভব, এটাও জোর গলায় বলা যাচ্ছে না; সম্ভব নয়, এটাও বলা যায় না। এটা সময়সাপেক্ষ বিষয়।’ তিনি অবশ্য জানান, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে তাঁরা অংশ নেবেন। তবে তাঁর দাবি, ভোট ব্যালটেই হতে হবে।
এ বিষয়ে খেলাফত আন্দোলনের এক নেতা বলেন, ‘কীভাবে কাছাকাছি আসতে পারি সে জন্য একটা চেষ্টা চলছে।’২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি ভোট পেয়েছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৪৫। এর আগের দুটিতে ছিল ১৯ হাজার ২৫৬ এবং ৪৫ হাজার ৫৮৫।
ঠিকানা ১৪ দলেই
ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে আছে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন। আগামী নির্বাচনেও দলটি এই জোটেই থাকছে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আলি ফারুকী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। তবে জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
বর্তমান সংসদে দলটির একজন সদস্য আছেন। আগের সংসদে ছিল দুটি আসন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি ভোট পেয়েছিল ১৯ হাজার ৯০৫।
দলীয় সরকারের অধীনে এবং ইভিএমেই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সভাপতি বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী। তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে দেশকে ছেড়ে দেওয়া কোনো অবস্থায়ই সমর্থন করি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কারও সঙ্গে জোটের চিন্তা করি নাই। তবে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা হলে ভালো। প্রস্তাব এলে ভেবে দেখব।’ ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি পেয়েছিল ১ হাজার ২০ ভোট।
‘ইভিএমেও ভোট হতে পারে’
এককভাবে নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামী ঐক্যজোট। দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএমেও ভোট হতে পারে; তবে নির্বাচন কমিশনকে ইভিএম নিয়ে জনগণের শঙ্কা কাটানোর জন্য কাজ করতে হবে।’
২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটির ভোট ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৪১৫। এর আগের নির্বাচনে দুটি আসন এবং ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়েছিল।
পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত
সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। দলের চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, ‘আমরা এককভাবেই নির্বাচন করতে চাই। প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাব কি না, তা সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হলে এক ধরনের সিদ্ধান্ত, ২০১৮ সালের মতো হলে অন্যরকম।’
কৌশলী জামায়াত
জামায়াতে ইসলামী গত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিলেও পরে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। তাই এখন কৌশলী অবস্থানে। এরই মধ্যে সক্রিয় এবি পার্টি এবং নিবন্ধনপ্রত্যাশী বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সঙ্গে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কথা উঠেছে। তবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম বলেন, ‘নির্বাচন এখনো অনেক দূরে। তবে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুগপৎ আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৭ ভোট এবং দুটি আসন পেয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে ছিল ২৩ লাখ ৮৫ হাজার ৩৬১ ভোট এবং ১৭টি আসন। এর আগে ছিল ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৩ ভোট এবং তিনটি আসন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জোট কিংবা যুগপৎ আন্দোলনের হিসাব কষছে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্বে নতুন জোট গড়ার একটি উদ্যোগও আছে। তবে নির্বাচন প্রশ্নে এখনই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ওই সব দলের নেতারা। তাঁরা ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া’র পক্ষে।
দেশে ধর্মভিত্তিক ৩৫টির মতো দল থাকলেও নিবন্ধন আছে মাত্র ১০টির। দলগুলো হলো—বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও খেলাফত মজলিস। এর বাইরে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হলেও রাজনীতিতে প্রভাব ফুরিয়ে যায়নি। স্বল্প পরিচিত কয়েকজন নেতাকে দিয়ে ভিন্ন নামে নিবন্ধন পাওয়ার চেষ্টাও আছে।
ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ থাকলেও অন্যরা জোট গঠন কিংবা নির্বাচনী সমঝোতার বিষয়ে ঘরোয়া আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা ১০টি দল সম্প্রতি কয়েক দফা ঘরোয়া বৈঠকও করেছে।
জানা যায়, আলোচনায় অংশ নেওয়া অন্য দলগুলো হলো—বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, এবি পার্টি, এনডিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (মনসুরুল-ইকরাম) ও এনডিএফ।
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির বাইরে ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি ঐক্য করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখনো আলোচনা ও মতবিনিময়ের পর্যায়ে রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি আমাদের আছে। তবে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যে অসম্ভব, তা ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনে জনগণ হারে হারে উপলব্ধি করেছে।’
দলটির নাম আগে ছিল ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি ভোট পেয়েছিল ৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৪। এর আগের দুটি নির্বাচনে ছিল যথাক্রমে ৫ হাজার ৯৪৪ ও ১১ হাজার ১৫৯।
‘কিছু আলোচনা হচ্ছে’
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের। জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু আলোচনা হচ্ছে, সেটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। যেহেতু নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা এখনো নিশ্চিত না, তাই সুনির্দিষ্ট আলোচনা এখনো হয়নি। মতবিনিময়, আলোচনার মধ্য দিয়ে সম্পর্ক উন্নয়ন হচ্ছে।’
দলটি আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে ছিল। গত বছর ওই জোট ছেড়ে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি ভোট পেয়েছিল ২৭ হাজার ৯২১। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। সমঝোতা সম্ভব, এটাও জোর গলায় বলা যাচ্ছে না; সম্ভব নয়, এটাও বলা যায় না। এটা সময়সাপেক্ষ বিষয়।’ তিনি অবশ্য জানান, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে তাঁরা অংশ নেবেন। তবে তাঁর দাবি, ভোট ব্যালটেই হতে হবে।
এ বিষয়ে খেলাফত আন্দোলনের এক নেতা বলেন, ‘কীভাবে কাছাকাছি আসতে পারি সে জন্য একটা চেষ্টা চলছে।’২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি ভোট পেয়েছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৪৫। এর আগের দুটিতে ছিল ১৯ হাজার ২৫৬ এবং ৪৫ হাজার ৫৮৫।
ঠিকানা ১৪ দলেই
ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে আছে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন। আগামী নির্বাচনেও দলটি এই জোটেই থাকছে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আলি ফারুকী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। তবে জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
বর্তমান সংসদে দলটির একজন সদস্য আছেন। আগের সংসদে ছিল দুটি আসন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি ভোট পেয়েছিল ১৯ হাজার ৯০৫।
দলীয় সরকারের অধীনে এবং ইভিএমেই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সভাপতি বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী। তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে দেশকে ছেড়ে দেওয়া কোনো অবস্থায়ই সমর্থন করি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কারও সঙ্গে জোটের চিন্তা করি নাই। তবে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা হলে ভালো। প্রস্তাব এলে ভেবে দেখব।’ ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি পেয়েছিল ১ হাজার ২০ ভোট।
‘ইভিএমেও ভোট হতে পারে’
এককভাবে নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামী ঐক্যজোট। দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএমেও ভোট হতে পারে; তবে নির্বাচন কমিশনকে ইভিএম নিয়ে জনগণের শঙ্কা কাটানোর জন্য কাজ করতে হবে।’
২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটির ভোট ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৪১৫। এর আগের নির্বাচনে দুটি আসন এবং ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়েছিল।
পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত
সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। দলের চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, ‘আমরা এককভাবেই নির্বাচন করতে চাই। প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাব কি না, তা সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হলে এক ধরনের সিদ্ধান্ত, ২০১৮ সালের মতো হলে অন্যরকম।’
কৌশলী জামায়াত
জামায়াতে ইসলামী গত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিলেও পরে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। তাই এখন কৌশলী অবস্থানে। এরই মধ্যে সক্রিয় এবি পার্টি এবং নিবন্ধনপ্রত্যাশী বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সঙ্গে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কথা উঠেছে। তবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম বলেন, ‘নির্বাচন এখনো অনেক দূরে। তবে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুগপৎ আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটি ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৭ ভোট এবং দুটি আসন পেয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে ছিল ২৩ লাখ ৮৫ হাজার ৩৬১ ভোট এবং ১৭টি আসন। এর আগে ছিল ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৩ ভোট এবং তিনটি আসন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে