Ajker Patrika

বান্দরবানে আতঙ্কে উৎসব কেন্দ্রিক ব্যবসায় ভাটা

এস বাসু দাশ, বান্দরবান
বান্দরবানে আতঙ্কে উৎসব কেন্দ্রিক ব্যবসায় ভাটা

কেএনএফের হামলা, অস্ত্র-টাকা লুট ও অপহরণের পর ফের হামলার আশঙ্কা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে বান্দরবানে সন্ধ্যা নামলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মানুষের চলাচল। বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় মানুষের দেখা মেলা ভার। ফলে আসন্ন তিন উৎসবের আমেজের পরিবর্তে গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে সেখানে। ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে অচলাবস্থা।

২ এপ্রিল রাতে রুমায় এবং ৩ এপ্রিল থানচিতে হামলা চালায় কেএনএফ সদস্যরা। এরপর গতকাল বিকেল ৫টা থেকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সব ধরনের যান চলাচলে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি। এসব কারণে জেলা ও উপজেলার বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনা কম বলে জানা গেছে।

থানচি বাজার কমিটির সভাপতি কামলাই ম্রো গতকাল জানান, হামলার কয়েক দিন পর এখন দিনের বেলা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পথে। মানুষ আবার বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে উৎসবকে সামনে রেখে যেমনটা হওয়ার কথা, তা নেই।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই ঘটনার পর জেলাজুড়েই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্কে দিন কাটছে মানুষের। জেলা সদর থেকে উন্নয়নকাজ করতে যাওয়া শ্রমিকেরা উপজেলার দুর্গম এলাকায় কাজ করতে যাচ্ছেন না, ফলে থমকে গেছে উন্নয়নকাজ। অন্যদিকে পাহাড়ের কৃষিপণ্য কিনতে ব্যবসায়ীরা উপজেলাগুলোতে না যাওয়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে কৃষিপণ্য।

রুমা বাজার কমিটির সভাপতি অঞ্জন বড়ুয়া বলেন, সাধারণ মানুষ এখনো আতঙ্কে আছে। বাজারে মানুষ খুব কম আসার কারণে বেচাকেনাও হচ্ছে না।

ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও বৌদ্ধ ধর্মানুসারীদের বিসু, বিজু ও সাংগ্রাই উৎসবকে সামনে রেখে বিগত বছরগুলোতে হাজার হাজার পর্যটক জেলায় ভ্রমণে এলেও এবার হোটেল-মোটেলগুলোতে সিট বুকিং নেই বললেই চলে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পুরোদমে বেচাকেনা হওয়ার কথা থাকলেও পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে তেমন বেচাকেনা হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

আলীকদম বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কায়সার উদ্দিন বাপ্পি জানান, রুমা, থানচির ঘটনার পর আলীকদমের ২৬ কিলোর ঘটনা, কলাঝিরি এলাকায় অস্ত্রধারী দেখা গেছে বলে মানুষ আতঙ্কে আছে। তাই বাজারে কেনাকাটা করতে মানুষ আসছে কম।

রুমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শৈমং মারমা শৈবং বলেন, ঘটনার পর থেকে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। বাজারে লোকসমাগম খুব কম, কেউ প্রয়োজনের বাইরে বের হচ্ছে না।

মানুষ আতঙ্কে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, পাহাড়ের তিন উৎসব সামনে রেখে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত