আজাদুল আদনান, ঢাকা
রাজধানীর আফতাবনগরের বাসিন্দা সুমন মিয়া ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের এসএমএস পান ২ জুন। সে অনুযায়ী সাত বছরের শিশু মাহিরকে নিয়ে ৬ জুন স্থানীয় সূর্যের হাসি ক্লিনিকে যান তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তারিখ পরিবর্তন হয়েছে।
একই বিড়ম্বনায় পড়েন রাজধানীর কল্যাণপুরের বাসিন্দা কুতুব তারিক। ৮ জুন দুই বছরের মেয়ে আরওয়াকে এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে নিয়ে যান ঢাকা শিশু হাসপাতালে। গিয়ে জানতে পারেন তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। ফলে মেয়েকে এ প্লাস ক্যাপসুল না খাইয়েই ফেরত আসতে হয়েছে তাঁকে।
জনসাধারণকে কোনো ধরনের তথ্য না জানিয়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুতুব তারিক। আজকের পত্রিকা’কে তিনি বলেন, ‘শিশুদের একটি ক্যাম্পেইনে এ ধরনের অব্যবস্থাপনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা যারা বাবা-মা উভয়ে কর্মজীবী, তাদের সময় ম্যানেজ করতে হয়। এত কষ্ট করে গিয়ে যদি দেখি কোনো নোটিশ ছাড়াই ডেট পরিবর্তন হয়েছে, তাহলে আমাদের পুরো সময়টাই নষ্ট হয়।’
শিশু সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে প্রতিবছর ৫-৮ জুন দেশব্যাপী জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় এবারও একই সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রম (এনএনএস) ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, পুষ্টিসেবা প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিতে এই বছর এখন পর্যন্ত ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। দফায় দফায় পেছানো হয়েছে সময়। এতে করে চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছেন শিশুদের অভিভাবকেরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী টিকাকেন্দ্রে গিয়ে কার্যক্রম দেখতে না পেয়ে বাড়িতে ফেরত আসতে হয়েছে তাঁদের।
গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৫-৮ জুন চার দিনব্যাপী দেশজুড়ে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এর আওতায় ১২ থেকে ৫৯ মাস এবং ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী দুই কোটি ২০ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী দেশের সব নাগরিককে মোবাইল ফোনে ক্যাম্পেইনের এসএমএসও পাঠানো হয়।
কিন্তু ক্যাম্পেইনের আগের দিন হঠাৎ করেই দিনক্ষণ পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, যার নোটিশ জেলা সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো পেলেও পাননি অভিভাবকেরা। ৪ জুন সারা দেশে বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ায় এই তারিখ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি।
সর্বশেষ তিন দিন আগে এই কর্মসূচি পালনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয় ১২ থেকে ১৫ জুন। অথচ বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন ১০ জুন শেষ হয়। তারপর নতুন নির্ধারিত সময়ও ঠিক থাকেনি। গত শুক্রবার ক্যাম্পেইনের সময় নির্ধারণ করা হয় ১৫ থেকে ১৯ জুন। সব মিলিয়ে গত ১০ দিনে অন্তত পাঁচ দফা সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। নতুন তারিখও পরিবর্তন হবে কি না, তা নিয়ে এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা।
জাতীয় পুষ্টিসেবার এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারি সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, স্বাভাবিকভাবেই সময় পরিবর্তন করতে হলে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। সেখানে বারবার সময় পরিবর্তনের ফলে মানুষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দায়ী করছে। যারা এই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত, তাদের অভ্যন্তরীণ জটিলতায় এমনটা হচ্ছে।
বারবার তারিখ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইনের অজুহাত দিচ্ছে জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘একাধিকবার তারিখ পরিবর্তনের জন্য আমরা দুঃখিত। বুস্টার ডোজ চলায় তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু সাধারণ মানুষকে সেটি না জানানোয় যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে, সে ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
তবে করোনা প্রতিরোধী বুস্টার ডোজ প্রদানের দায়িত্বে থাকা সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেছেন, ‘বুস্টার ডোজ প্রদানের সময়সীমা আমরা বাড়াইনি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া। সেটি পূরণ হওয়ায় বাড়েনি। তাই আমাদের কারণে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
রাজধানীর আফতাবনগরের বাসিন্দা সুমন মিয়া ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের এসএমএস পান ২ জুন। সে অনুযায়ী সাত বছরের শিশু মাহিরকে নিয়ে ৬ জুন স্থানীয় সূর্যের হাসি ক্লিনিকে যান তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তারিখ পরিবর্তন হয়েছে।
একই বিড়ম্বনায় পড়েন রাজধানীর কল্যাণপুরের বাসিন্দা কুতুব তারিক। ৮ জুন দুই বছরের মেয়ে আরওয়াকে এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে নিয়ে যান ঢাকা শিশু হাসপাতালে। গিয়ে জানতে পারেন তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। ফলে মেয়েকে এ প্লাস ক্যাপসুল না খাইয়েই ফেরত আসতে হয়েছে তাঁকে।
জনসাধারণকে কোনো ধরনের তথ্য না জানিয়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুতুব তারিক। আজকের পত্রিকা’কে তিনি বলেন, ‘শিশুদের একটি ক্যাম্পেইনে এ ধরনের অব্যবস্থাপনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা যারা বাবা-মা উভয়ে কর্মজীবী, তাদের সময় ম্যানেজ করতে হয়। এত কষ্ট করে গিয়ে যদি দেখি কোনো নোটিশ ছাড়াই ডেট পরিবর্তন হয়েছে, তাহলে আমাদের পুরো সময়টাই নষ্ট হয়।’
শিশু সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে প্রতিবছর ৫-৮ জুন দেশব্যাপী জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় এবারও একই সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রম (এনএনএস) ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, পুষ্টিসেবা প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিতে এই বছর এখন পর্যন্ত ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। দফায় দফায় পেছানো হয়েছে সময়। এতে করে চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছেন শিশুদের অভিভাবকেরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী টিকাকেন্দ্রে গিয়ে কার্যক্রম দেখতে না পেয়ে বাড়িতে ফেরত আসতে হয়েছে তাঁদের।
গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৫-৮ জুন চার দিনব্যাপী দেশজুড়ে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এর আওতায় ১২ থেকে ৫৯ মাস এবং ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী দুই কোটি ২০ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী দেশের সব নাগরিককে মোবাইল ফোনে ক্যাম্পেইনের এসএমএসও পাঠানো হয়।
কিন্তু ক্যাম্পেইনের আগের দিন হঠাৎ করেই দিনক্ষণ পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, যার নোটিশ জেলা সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো পেলেও পাননি অভিভাবকেরা। ৪ জুন সারা দেশে বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ায় এই তারিখ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি।
সর্বশেষ তিন দিন আগে এই কর্মসূচি পালনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয় ১২ থেকে ১৫ জুন। অথচ বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন ১০ জুন শেষ হয়। তারপর নতুন নির্ধারিত সময়ও ঠিক থাকেনি। গত শুক্রবার ক্যাম্পেইনের সময় নির্ধারণ করা হয় ১৫ থেকে ১৯ জুন। সব মিলিয়ে গত ১০ দিনে অন্তত পাঁচ দফা সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। নতুন তারিখও পরিবর্তন হবে কি না, তা নিয়ে এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা।
জাতীয় পুষ্টিসেবার এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারি সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, স্বাভাবিকভাবেই সময় পরিবর্তন করতে হলে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। সেখানে বারবার সময় পরিবর্তনের ফলে মানুষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দায়ী করছে। যারা এই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত, তাদের অভ্যন্তরীণ জটিলতায় এমনটা হচ্ছে।
বারবার তারিখ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইনের অজুহাত দিচ্ছে জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘একাধিকবার তারিখ পরিবর্তনের জন্য আমরা দুঃখিত। বুস্টার ডোজ চলায় তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু সাধারণ মানুষকে সেটি না জানানোয় যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে, সে ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
তবে করোনা প্রতিরোধী বুস্টার ডোজ প্রদানের দায়িত্বে থাকা সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেছেন, ‘বুস্টার ডোজ প্রদানের সময়সীমা আমরা বাড়াইনি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া। সেটি পূরণ হওয়ায় বাড়েনি। তাই আমাদের কারণে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে