রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীতে এখন ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করলে ৬৫ থেকে ৭৫টি রিপোর্ট আসছে করোনা পজিটিভ। চিকিৎসকেরা বলছেন, রাজশাহীর ঘরে ঘরে আছে করোনা রোগী। কারও করোনার উপসর্গ আছে, কারও নেই। এখানে ব্যাপক হারে করোনার ওমিক্রন ধরনের সামাজিক সংক্রমণ ঘটেছে বলে ধারণা তাঁদের।
পরিস্থিতি যখন এমন, তখন করোনার লাগাম টানতে রাতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সই করা এসংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি গতকাল শনিবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘রাজশাহী জেলায় সংক্রমণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আগের দুটি নির্দেশনা বহাল থাকবে। এর পাশাপাশি রাজশাহীর সব বিপণিবিতান, শপিংমল, বিনোদনকেন্দ্র, রেস্তোরাঁসহ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শনিবার থেকে রাত ৮টার মধ্যে আবশ্যিকভাবে বন্ধ থাকবে।’ জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির গত বৃহস্পতিবারের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ গণবিজ্ঞপ্তি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে করোনার ডেলটা ধরনের সময় সংক্রমণ বেড়ে গেলে রাজশাহীতে এ ধরনের ‘রাতের বিধিনিষেধ’ আরোপ করা হয়েছিল। এবারও এ ধরনের বিধিনিষেধ জারি করা হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। মজার ছলে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, ‘করোনা কি তাহলে রাতে ঘুমায়?’
আসলে এ ধরনের বিধিনিষেধের কার্যকারিতা কতটুকু সে প্রশ্ন করা হলে রাজশাহীর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. চিন্ময় কান্দি দাস বলেছেন, এখন যে অবস্থা, তাতে রাতের বিধিনিষেধে খুব বেশি লাভ হবে বলে তাঁর কাছে মনে হয় না। তিনি বলেন, ‘দিনে সব স্বাভাবিক, সবকিছু খোলা। মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নেই। রাতের বিধিনিষেধ করোনার খুব বেশি লাগাম টানতে পারবে বলে আমার কাছে মনে হয় না। কিছুটা কাজ হতে পারে। সংক্রমণ কমাতে হলে মানুষকে আবার স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হবে।’
জেলা পর্যায়ের করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও জেলার সিভিল সার্জন আবু সাইদ মো. ফারুক এ বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের দিনের অন্য বিধিনিষেধগুলো চলমান। রাতের বিধিনিষেধ অতিরিক্ত। দিনে মার্কেটে কেউ গেলে যেন তার মুখে মাস্ক থাকে—এটা নিশ্চিত করবে প্রশাসন। শহরে কিংবা গ্রামের মোড়ে মোড়ে রাতে যেন আর আড্ডা না বসে, সেই কারণেই এই বিধিনিষেধ।’
করোনা নিয়ন্ত্রণে এখন থেকে দিনেও মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি ভালোভাবে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। তিনি জানান, শহর এবং গ্রামে এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করা হবে। রাতের বিধিনিষেধের কার্যকারিতা নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আসলে ফলপ্রসূর বিষয়টি নির্ভর করে সবার সহযোগিতার ওপর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে শুধু একটা কমিউনিটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সবাই সহায়তা করলে নিশ্চয় ফল পাওয়া যাবে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘সংক্রমণের তুলনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর হার অনেক কম। কিন্তু একটা জেলায় ৭১ পার্সেন্ট সংক্রমণের হার, এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। আমরা খুবই উদ্বেগের সঙ্গেই বিষয়টাকে নিয়েছি এবং মনিটরিং করছি। সে জন্য দিনের বেলায় সরকারের অন্যান্য বিধিনিষেধের পাশাপাশি রাতের জন্য স্থানীয়ভাবে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, আমরা চাই না লকডাউনের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক।’
রাজশাহীতে চলতি মাসের প্রথম দিনও সংক্রমণের হার হয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। ১০ তারিখের পর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। গত বৃহস্পতিবার সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭৫ শতাংশ। পরদিন শুক্রবার অবশ্য সংক্রমণ কিছুটা কমে ৬৪ দশমিক ৫২ শতাংশে নেমেছে। তবে এ দিন চারটি ল্যাবের একটিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। সংক্রমণ এমন বেড়ে যাওয়ায় এখন টিকা কার্যক্রমে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। এখন ১২ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত রাজশাহীর ৬২ শতাংশ মানুষ এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। আগামী এপ্রিলের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের পাশাপাশি পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহীতে এখন ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করলে ৬৫ থেকে ৭৫টি রিপোর্ট আসছে করোনা পজিটিভ। চিকিৎসকেরা বলছেন, রাজশাহীর ঘরে ঘরে আছে করোনা রোগী। কারও করোনার উপসর্গ আছে, কারও নেই। এখানে ব্যাপক হারে করোনার ওমিক্রন ধরনের সামাজিক সংক্রমণ ঘটেছে বলে ধারণা তাঁদের।
পরিস্থিতি যখন এমন, তখন করোনার লাগাম টানতে রাতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সই করা এসংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি গতকাল শনিবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘রাজশাহী জেলায় সংক্রমণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আগের দুটি নির্দেশনা বহাল থাকবে। এর পাশাপাশি রাজশাহীর সব বিপণিবিতান, শপিংমল, বিনোদনকেন্দ্র, রেস্তোরাঁসহ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শনিবার থেকে রাত ৮টার মধ্যে আবশ্যিকভাবে বন্ধ থাকবে।’ জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির গত বৃহস্পতিবারের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ গণবিজ্ঞপ্তি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে করোনার ডেলটা ধরনের সময় সংক্রমণ বেড়ে গেলে রাজশাহীতে এ ধরনের ‘রাতের বিধিনিষেধ’ আরোপ করা হয়েছিল। এবারও এ ধরনের বিধিনিষেধ জারি করা হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। মজার ছলে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, ‘করোনা কি তাহলে রাতে ঘুমায়?’
আসলে এ ধরনের বিধিনিষেধের কার্যকারিতা কতটুকু সে প্রশ্ন করা হলে রাজশাহীর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. চিন্ময় কান্দি দাস বলেছেন, এখন যে অবস্থা, তাতে রাতের বিধিনিষেধে খুব বেশি লাভ হবে বলে তাঁর কাছে মনে হয় না। তিনি বলেন, ‘দিনে সব স্বাভাবিক, সবকিছু খোলা। মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নেই। রাতের বিধিনিষেধ করোনার খুব বেশি লাগাম টানতে পারবে বলে আমার কাছে মনে হয় না। কিছুটা কাজ হতে পারে। সংক্রমণ কমাতে হলে মানুষকে আবার স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হবে।’
জেলা পর্যায়ের করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও জেলার সিভিল সার্জন আবু সাইদ মো. ফারুক এ বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের দিনের অন্য বিধিনিষেধগুলো চলমান। রাতের বিধিনিষেধ অতিরিক্ত। দিনে মার্কেটে কেউ গেলে যেন তার মুখে মাস্ক থাকে—এটা নিশ্চিত করবে প্রশাসন। শহরে কিংবা গ্রামের মোড়ে মোড়ে রাতে যেন আর আড্ডা না বসে, সেই কারণেই এই বিধিনিষেধ।’
করোনা নিয়ন্ত্রণে এখন থেকে দিনেও মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি ভালোভাবে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। তিনি জানান, শহর এবং গ্রামে এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করা হবে। রাতের বিধিনিষেধের কার্যকারিতা নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আসলে ফলপ্রসূর বিষয়টি নির্ভর করে সবার সহযোগিতার ওপর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে শুধু একটা কমিউনিটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সবাই সহায়তা করলে নিশ্চয় ফল পাওয়া যাবে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘সংক্রমণের তুলনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর হার অনেক কম। কিন্তু একটা জেলায় ৭১ পার্সেন্ট সংক্রমণের হার, এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। আমরা খুবই উদ্বেগের সঙ্গেই বিষয়টাকে নিয়েছি এবং মনিটরিং করছি। সে জন্য দিনের বেলায় সরকারের অন্যান্য বিধিনিষেধের পাশাপাশি রাতের জন্য স্থানীয়ভাবে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, আমরা চাই না লকডাউনের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক।’
রাজশাহীতে চলতি মাসের প্রথম দিনও সংক্রমণের হার হয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। ১০ তারিখের পর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। গত বৃহস্পতিবার সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭৫ শতাংশ। পরদিন শুক্রবার অবশ্য সংক্রমণ কিছুটা কমে ৬৪ দশমিক ৫২ শতাংশে নেমেছে। তবে এ দিন চারটি ল্যাবের একটিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। সংক্রমণ এমন বেড়ে যাওয়ায় এখন টিকা কার্যক্রমে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। এখন ১২ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত রাজশাহীর ৬২ শতাংশ মানুষ এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। আগামী এপ্রিলের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের পাশাপাশি পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে