মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে অসংখ্য লোক বসবাস করছে। পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা এসব ঘরে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বাস করছেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার এসব এলাকা পরিদর্শন করে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী। এ সময় তিনি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে থাকা মানুষজনকে সতর্ক করেন।
গত ৫ দিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থায় টিলার ঢালুতে থাকা মানুষজনকে নিরাপদে রাখতে উপজেলা প্রশাসন ৪ ইউনিয়নে ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খুলে জনসচেতনতামূলক তৎপরতা চালায়।
জানা গেছে, বিগত দুই দশকে উপজেলা সদরের মুসলিমপাড়া, মাস্টারপাড়া, হাজীপাড়া, মহামুনি, রাজপাড়া, গোদারপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজন যে যাঁর মতো করে পাহাড় কেটে ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। টানা বর্ষণ হলে এসব পাহাড় বা টিলাঘেঁষে থাকা স্থাপনায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা থাকে। এটি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে চিন্তায় ফেলে। এ বছরের প্রথম বর্ষাতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
উপজেলা সদর ১ নম্বর মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক বলেন, উপজেলা সদরে বসতি গড়ে তুলতে এক ধরনের অঘোষিত প্রতিযোগিতা হয়। এই সুযোগে পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে প্রায় অর্ধশত পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ঘর বানিয়ে বসবাস করছে।
মানিকছড়ি গুচ্ছগ্রামের সম্মুখভাগে নদীর পাড়ঘেঁষে ১০-১২টি পরিবারের ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িঘর ছিল। পরে এসব পরিবারকে এ বছর নির্মিত আশ্রয়ণকেন্দ্রে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
শাহিদা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। আগে খালের ওপরে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বাস করতাম। প্রতিবছর ভারী বর্ষণে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এসে বিপদমুক্ত থাকতাম। আর এখন প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধায় একটি গৃহ ও চার শতক ভূমি পেয়ে আরাম-আয়েশে থাকছি। আমার প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে এখন আর বর্ষায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় না।’
উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটপ্রধান থোয়াইঅংপ্রু মারমা বলেন, ‘উপজেলা সদরের আশপাশে অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে। অনেকে পাহাড়ঘেঁষে বা কেটে ঘরবাড়ি বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। প্রতিবছর বর্ষায় অতি বৃষ্টি হলে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়। ফলে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়।’
মাস্টারপাড়া ও এয়াতলংপাড়া এলাকার (৭ নম্বর ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য মো. হানিফ বলেন, ‘মানুষ পাহাড় কাটা বা ধসের বিপদ সম্পর্কে সচেতন না। সদরে সামান্য পরিমাণ জায়গা কিনতে পারলে সেটাকে মনের মতো করে কেটে নিজের জীবনের ঝুঁকি বাড়ায়। সতর্ক রয়েছি বলেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে।’
মাস্টারপাড়া এলাকায় পাহাড়ঘেঁষে ঘর বানিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে থাকা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি অসহায় ব্যক্তি। জমি কিনে ঘর করে এখানে থাকি। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে পাশের মাটি ধসে পড়ায় আতঙ্কে রাত্রিযাপন করি’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইউএনও রক্তিম চৌধুরী মাস্টারপাড়া (পুরাতন উপজেলা) এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ (পাহাড়ের পাদদেশে) থাকা কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং বসবাসরতদের অতি বৃষ্টির সময় বা আগে-পরে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে অসংখ্য লোক বসবাস করছে। পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা এসব ঘরে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বাস করছেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার এসব এলাকা পরিদর্শন করে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী। এ সময় তিনি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে থাকা মানুষজনকে সতর্ক করেন।
গত ৫ দিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থায় টিলার ঢালুতে থাকা মানুষজনকে নিরাপদে রাখতে উপজেলা প্রশাসন ৪ ইউনিয়নে ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খুলে জনসচেতনতামূলক তৎপরতা চালায়।
জানা গেছে, বিগত দুই দশকে উপজেলা সদরের মুসলিমপাড়া, মাস্টারপাড়া, হাজীপাড়া, মহামুনি, রাজপাড়া, গোদারপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজন যে যাঁর মতো করে পাহাড় কেটে ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। টানা বর্ষণ হলে এসব পাহাড় বা টিলাঘেঁষে থাকা স্থাপনায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা থাকে। এটি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে চিন্তায় ফেলে। এ বছরের প্রথম বর্ষাতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
উপজেলা সদর ১ নম্বর মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক বলেন, উপজেলা সদরে বসতি গড়ে তুলতে এক ধরনের অঘোষিত প্রতিযোগিতা হয়। এই সুযোগে পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে প্রায় অর্ধশত পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ঘর বানিয়ে বসবাস করছে।
মানিকছড়ি গুচ্ছগ্রামের সম্মুখভাগে নদীর পাড়ঘেঁষে ১০-১২টি পরিবারের ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িঘর ছিল। পরে এসব পরিবারকে এ বছর নির্মিত আশ্রয়ণকেন্দ্রে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
শাহিদা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। আগে খালের ওপরে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বাস করতাম। প্রতিবছর ভারী বর্ষণে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এসে বিপদমুক্ত থাকতাম। আর এখন প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধায় একটি গৃহ ও চার শতক ভূমি পেয়ে আরাম-আয়েশে থাকছি। আমার প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে এখন আর বর্ষায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় না।’
উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটপ্রধান থোয়াইঅংপ্রু মারমা বলেন, ‘উপজেলা সদরের আশপাশে অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে। অনেকে পাহাড়ঘেঁষে বা কেটে ঘরবাড়ি বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। প্রতিবছর বর্ষায় অতি বৃষ্টি হলে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়। ফলে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়।’
মাস্টারপাড়া ও এয়াতলংপাড়া এলাকার (৭ নম্বর ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য মো. হানিফ বলেন, ‘মানুষ পাহাড় কাটা বা ধসের বিপদ সম্পর্কে সচেতন না। সদরে সামান্য পরিমাণ জায়গা কিনতে পারলে সেটাকে মনের মতো করে কেটে নিজের জীবনের ঝুঁকি বাড়ায়। সতর্ক রয়েছি বলেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে।’
মাস্টারপাড়া এলাকায় পাহাড়ঘেঁষে ঘর বানিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে থাকা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি অসহায় ব্যক্তি। জমি কিনে ঘর করে এখানে থাকি। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে পাশের মাটি ধসে পড়ায় আতঙ্কে রাত্রিযাপন করি’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইউএনও রক্তিম চৌধুরী মাস্টারপাড়া (পুরাতন উপজেলা) এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ (পাহাড়ের পাদদেশে) থাকা কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং বসবাসরতদের অতি বৃষ্টির সময় বা আগে-পরে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে