মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর
চাঁদপুরের কচুয়া ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা অংশে অবস্থিত ক্ষীরাই নদ ৪৮ বছর পর খনন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ কিলোমিটার নদের খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে কয়েক হাজার কৃষক সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে নদের মতলব দক্ষিণ উপজেলা অংশের আরও ১১ কিলোমিটার খনন শুরু হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০-এর আওতায় সমগ্র বাংলাদেশে খাল, জলাশয় খননের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই খননের ফলে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। এসব পুনঃখননের মাধ্যমে ছোট নদ-নদী ও খালে পানির ধারণক্ষমতা বাড়বে। কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া সহজ হবে। একই সঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানির পর্যাপ্ত ব্যবহারের পাশাপাশি বাস্তুসংস্থানের পুনর্জীবন সম্ভব হবে। এর ফলে পরিবেশের ওপর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এই প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে কচুয়া উপজেলার সাচার বড় সেতুসংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে কচুয়া ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা জামতলা পর্যন্ত নদ খনন সম্পন্ন হয়েছে। এতে বরাদ্দ ছিল ছয় কোটি টাকা। কচুয়া সাচার ইউনিয়নের সাউপাড়া গ্রামের কৃষক ফজলু মিয়া বলেন, ১৯৭৪ সালে এই নদ খনন হয়েছে। এরপর আর খনন হয়নি। এখন আবার দুবারে খনন করা হয়েছে। এখন নদ গভীর হয়েছে। বড় বড় নৌকা আসতে পারবে। তাঁরা ধান, পাট, ভুট্টাসহ মৌসুমি ফসল চাষ করতে পারবেন। পানির সংকট থাকবে না।
সুয়ারুল দিঘিরপাড় এলাকার কৃষক আবু ইউসুফ প্রধান বলেন, নদ কেটে গভীর করায় পানি বেড়েছে। মাছের বিচরণ বেড়েছে। ফসলের জন্যও অনেক ভালো হবে। একই এলাকার কৃষক আব্দুল হক বেপারী ও দুলাল মিয়া বলেন, নদে চর পড়েছিল। এখন ১২ থেকে ১৫ হাত গভীর হয়েছে। দুই পারের গ্রামগুলোর সব কৃষকই এখন সুবিধা পাবেন। পানির সংকট হবে না। আবার বর্ষা শেষে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
আব্দুল হক বেপারী ও দুলাল মিয়া আরও বলেন, শুধু তাঁদের গ্রাম নয়, পার্শ্ববর্তী উদান, চিনাইয়া, আটমমুড়, টমলপুর, ভটিচিনিয়া, মধুপুর ও দীঘিলগাঁও গ্রামের হাজার হাজার কৃষক নদ খননের সুবিধা পাবেন। সম্প্রতি ক্ষীরাই নদ খনন পরিদর্শন করেছেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদ খননের জন্য যে নকশা করেছে, তা ঠিক আছে। কাজের গুণগত মান অনেক ভালো। তবে কাজ করতে গিয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে নকশা ঠিক রাখা যায় না। তাদের কাজের পরিমাণের ওপর বিল পাবে।
পাউবো চাঁদপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ক্ষীরাই নদ খননকাজের কচুয়া অংশ শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে কচুয়া জামতলা থেকে মতলব অংশের কাজ শুরু হবে। জামতলা থেকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার খননকাজ ২০২৩ সালের ৩০ মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। খুব শিগগির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে এবং তাদের সেই প্রস্তুতি আছে। এই ১১ কিলোমিটার নদ খননকাজের বরাদ্দ প্রায় ১০ কোটি টাকা।
চাঁদপুরের কচুয়া ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা অংশে অবস্থিত ক্ষীরাই নদ ৪৮ বছর পর খনন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ কিলোমিটার নদের খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে কয়েক হাজার কৃষক সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে নদের মতলব দক্ষিণ উপজেলা অংশের আরও ১১ কিলোমিটার খনন শুরু হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০-এর আওতায় সমগ্র বাংলাদেশে খাল, জলাশয় খননের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই খননের ফলে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। এসব পুনঃখননের মাধ্যমে ছোট নদ-নদী ও খালে পানির ধারণক্ষমতা বাড়বে। কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া সহজ হবে। একই সঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানির পর্যাপ্ত ব্যবহারের পাশাপাশি বাস্তুসংস্থানের পুনর্জীবন সম্ভব হবে। এর ফলে পরিবেশের ওপর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এই প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে কচুয়া উপজেলার সাচার বড় সেতুসংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে কচুয়া ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা জামতলা পর্যন্ত নদ খনন সম্পন্ন হয়েছে। এতে বরাদ্দ ছিল ছয় কোটি টাকা। কচুয়া সাচার ইউনিয়নের সাউপাড়া গ্রামের কৃষক ফজলু মিয়া বলেন, ১৯৭৪ সালে এই নদ খনন হয়েছে। এরপর আর খনন হয়নি। এখন আবার দুবারে খনন করা হয়েছে। এখন নদ গভীর হয়েছে। বড় বড় নৌকা আসতে পারবে। তাঁরা ধান, পাট, ভুট্টাসহ মৌসুমি ফসল চাষ করতে পারবেন। পানির সংকট থাকবে না।
সুয়ারুল দিঘিরপাড় এলাকার কৃষক আবু ইউসুফ প্রধান বলেন, নদ কেটে গভীর করায় পানি বেড়েছে। মাছের বিচরণ বেড়েছে। ফসলের জন্যও অনেক ভালো হবে। একই এলাকার কৃষক আব্দুল হক বেপারী ও দুলাল মিয়া বলেন, নদে চর পড়েছিল। এখন ১২ থেকে ১৫ হাত গভীর হয়েছে। দুই পারের গ্রামগুলোর সব কৃষকই এখন সুবিধা পাবেন। পানির সংকট হবে না। আবার বর্ষা শেষে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
আব্দুল হক বেপারী ও দুলাল মিয়া আরও বলেন, শুধু তাঁদের গ্রাম নয়, পার্শ্ববর্তী উদান, চিনাইয়া, আটমমুড়, টমলপুর, ভটিচিনিয়া, মধুপুর ও দীঘিলগাঁও গ্রামের হাজার হাজার কৃষক নদ খননের সুবিধা পাবেন। সম্প্রতি ক্ষীরাই নদ খনন পরিদর্শন করেছেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদ খননের জন্য যে নকশা করেছে, তা ঠিক আছে। কাজের গুণগত মান অনেক ভালো। তবে কাজ করতে গিয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে নকশা ঠিক রাখা যায় না। তাদের কাজের পরিমাণের ওপর বিল পাবে।
পাউবো চাঁদপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ক্ষীরাই নদ খননকাজের কচুয়া অংশ শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে কচুয়া জামতলা থেকে মতলব অংশের কাজ শুরু হবে। জামতলা থেকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার খননকাজ ২০২৩ সালের ৩০ মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। খুব শিগগির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে এবং তাদের সেই প্রস্তুতি আছে। এই ১১ কিলোমিটার নদ খননকাজের বরাদ্দ প্রায় ১০ কোটি টাকা।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে