নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় চালের বাজারে আবারও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। বাড়ছে দাম। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নতুন করে আবারও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চালের বাজারে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম পাইকারিতে দুই-তিন টাকা এবং খুচরা বাজারে পাঁচ-ছয় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে অন্য পণ্যের মতো চালের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ধান-চাল পরিবহন ও উৎপাদনে খরচ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া বর্তমানে সরবরাহ কমায় বাজারে ধানের দামও বাড়তি। ধানের দাম বেড়ে যাওয়া এবং পরিবহনের বাড়তি খরচ সমন্বয় করে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং মিলাররা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় চাল মজুত করে রাখায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। খুচরা বাজারে চাহিদামতো তাঁরা চাল সরবরাহ পাচ্ছেন না। মোকামে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
গতকাল বুধবার নওগাঁর পৌর চাল বাজারের খুচরা মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো চাল মিলছে না। সম্পা কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭২, জিরা ৬০ থেকে ৬৫, বিআর-২৮ প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৫৭, স্বর্ণা-৫ প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা এবং খাটো দশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে মোটা চালের সরবরাহ একেবারে নেই বললেই চলে। চাল বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনাও কম।
দফায় দফায় চালের দাম বাড়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাঁরা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের আয় বাড়েনি। এরই মধ্যে বেড়েছে প্রতিটি সবজির দাম। সেই সঙ্গে চালের বাজারও অস্থির। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাদের কষ্ট করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে।’
জানা গেছে, জেলার পাইকারি চালের মোকামগুলোতে মোটা চালের (স্বর্ণা-৫, হাইব্রিড স্বর্ণা) দাম প্রতি বস্তায় ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরু চালের দাম প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। ২ সপ্তাহ আগে যে স্বর্ণা-৫ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা। এ ছাড়া জিরা চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০ টাকায়, তা এখন ৩ হাজার ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাটারিভোগ শর্টার প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়।
এদিকে চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিলমালিকদের দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, কিছু ব্যবসায়ী ও মিলাররা চাল মজুত ও সিন্ডিকেট করে বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী করেছে। তাঁদের দাবি, মিলাররা চালের দাম বাড়ানোয় বাধ্য হয়ে তাঁদের চাল বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খুচরা চাল ব্যবসায়ী মো. সাদেক হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর মিলগেটে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) মোটা চালের দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন মিলাররা।
চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেলকন গ্রুপের ব্যবস্থাপক আবু ওয়াহিদ হোসেন আলাল বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে ধানের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাড়তি পরিবহন খরচ সমন্বয় করে মিল পর্যায়ে চালের দাম প্রতি কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, ‘মিলারদের মধ্যে ধান কেনার প্রতিযোগিতা থাকায় ধানের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াটা চালের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ। এ পরিস্থিতিতে চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’
নওগাঁয় চালের বাজারে আবারও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। বাড়ছে দাম। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নতুন করে আবারও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চালের বাজারে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম পাইকারিতে দুই-তিন টাকা এবং খুচরা বাজারে পাঁচ-ছয় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে অন্য পণ্যের মতো চালের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ধান-চাল পরিবহন ও উৎপাদনে খরচ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া বর্তমানে সরবরাহ কমায় বাজারে ধানের দামও বাড়তি। ধানের দাম বেড়ে যাওয়া এবং পরিবহনের বাড়তি খরচ সমন্বয় করে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং মিলাররা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় চাল মজুত করে রাখায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। খুচরা বাজারে চাহিদামতো তাঁরা চাল সরবরাহ পাচ্ছেন না। মোকামে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
গতকাল বুধবার নওগাঁর পৌর চাল বাজারের খুচরা মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো চাল মিলছে না। সম্পা কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭২, জিরা ৬০ থেকে ৬৫, বিআর-২৮ প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৫৭, স্বর্ণা-৫ প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা এবং খাটো দশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে মোটা চালের সরবরাহ একেবারে নেই বললেই চলে। চাল বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনাও কম।
দফায় দফায় চালের দাম বাড়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাঁরা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের আয় বাড়েনি। এরই মধ্যে বেড়েছে প্রতিটি সবজির দাম। সেই সঙ্গে চালের বাজারও অস্থির। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাদের কষ্ট করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে।’
জানা গেছে, জেলার পাইকারি চালের মোকামগুলোতে মোটা চালের (স্বর্ণা-৫, হাইব্রিড স্বর্ণা) দাম প্রতি বস্তায় ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরু চালের দাম প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। ২ সপ্তাহ আগে যে স্বর্ণা-৫ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা। এ ছাড়া জিরা চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০ টাকায়, তা এখন ৩ হাজার ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাটারিভোগ শর্টার প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়।
এদিকে চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিলমালিকদের দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, কিছু ব্যবসায়ী ও মিলাররা চাল মজুত ও সিন্ডিকেট করে বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী করেছে। তাঁদের দাবি, মিলাররা চালের দাম বাড়ানোয় বাধ্য হয়ে তাঁদের চাল বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খুচরা চাল ব্যবসায়ী মো. সাদেক হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর মিলগেটে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) মোটা চালের দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন মিলাররা।
চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেলকন গ্রুপের ব্যবস্থাপক আবু ওয়াহিদ হোসেন আলাল বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে ধানের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাড়তি পরিবহন খরচ সমন্বয় করে মিল পর্যায়ে চালের দাম প্রতি কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, ‘মিলারদের মধ্যে ধান কেনার প্রতিযোগিতা থাকায় ধানের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াটা চালের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ। এ পরিস্থিতিতে চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে