শেখ আবু হাসান, খুলনা
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্যাথলজি, এক্স-রে, ইসিজিসহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে নানা কৌশলে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এসব দালাল। এদের তৎপরতায় দরিদ্র ও নিরীহ রোগীরা সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন।
আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালায়। কিছু দালালকে ধরাও হয়। কিন্তু আইনের ফাঁক গলে দালালেরা বেরিয়ে এসে আবারও জোরেশোরে কাজে নেমে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগ, ইসিজি, এক্স-রে, প্যাথলজি বিভাগ, পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডের আশপাশে দালাল চক্রের সদস্যরা ঘুরঘুর করে। বিভিন্ন এলাকা, বিশেষ করে দূরের এবং গ্রাম এলাকা থেকে আসা রোগীদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে নানা ফন্দি-ফিকিরে আলাপ করে ভাগিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় তারা।
বহির্বিভাগে রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে করতে আসা রূপসা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, খুব সকালে হাসপাতালের ভেতর আসতেই এক লোক তাঁর বাড়ি কোথায়, কী করেন ইত্যাদি জানতে চান। তারপর জিজ্ঞাসা করেন সঙ্গে আর কেউ এসেছে কি না এবং হাসপাতালে তাঁর কোনো আত্মীয় আছে কি না। পরে তাঁকে বলা হয়, হাসপাতালের পরীক্ষা সরকারি পরীক্ষা বলে দায়সারাভাবে করা হয়, সঠিক হয় না। বাইরে থেকে ভালো পরীক্ষা করা যায়, তাঁর সঙ্গে গেলে খরচও বেশি হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের আশপাশে গড়ে ওঠা সাইনবোর্ড-সর্বস্ব ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধের দোকানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ দালাল চক্রটি তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রোগীপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কমিশনের বিনিময়ে এসব দালাল হাসপাতাল থেকে রোগী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা আত্মীয়স্বজনকে কম খরচে চিকিৎসার কথা বলে এবং কম দামে ওষুধ পাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে ভুল বুঝিয়ে অখ্যাত বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রেতার কাছে নিয়ে যায়।
ফলে অনেক নিরীহ ও সহজ-সরল রোগী প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। দালালদের খপ্পরে পড়ে হাসপাতালের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করে নিম্নমানের পরীক্ষা করতে হচ্ছে এবং তুলনামূলক বেশি দামে সাধারণ মানের ওষুধ কিনতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় নিম্নমানের রি-এজেন্ট ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি তাদের নেই কোনো দক্ষ টেকনিশিয়ান। অথচ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে দক্ষ টেকনিশিয়ান, উন্নতমানের রি-এজেন্ট। পাশাপাশি এখানে খরচও কম। এ ছাড়া যেসব ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরকারিভাবে বিতরণ করা হয় না, তা লিখে দিলে (প্রেসক্রিপশন) দালাল চক্রটি তাদের নিজস্ব দোকানে নিয়ে বেশি দাম রাখে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অখ্যাত প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের ওষুধ কিনতে বাধ্য করে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর আশপাশে বেশ কিছু প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অসংখ্য ওষুধের দোকান ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত একাধিকবার এসব ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করেছেন।
এ ছাড়া ক্লিনিকের মান ও পরিবেশ ভালো করার জন্য সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযান চালানোর পর কয়েক দিন দালালদের উপদ্রব কম থাকলেও আবার একই অবস্থা ফিরে আসে। সব মিলিয়ে অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান দালাল চক্রের উপদ্রবের কথা স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দালালদের কারণে নিরীহ রোগীরা প্রতারিত হচ্ছেন। রাতে ও খুব সকালের দিকে দালাল চক্র অধিক মাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। গ্রাম থেকে আসা নিরীহ রোগী এবং তাঁর আত্মীয়স্বজনকে ভুল বুঝিয়ে তাদের শিকারে পরিণত করে। এদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আমি নিজে, আমার চিকিৎসকেরা ও কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান চালাই। এ ছাড়া আমাদের নিরাপত্তাকর্মী ও আনসারদের রীতিমতো নির্দেশ দেওয়া আছে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও মনিটর করার।’
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্যাথলজি, এক্স-রে, ইসিজিসহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে নানা কৌশলে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এসব দালাল। এদের তৎপরতায় দরিদ্র ও নিরীহ রোগীরা সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন।
আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালায়। কিছু দালালকে ধরাও হয়। কিন্তু আইনের ফাঁক গলে দালালেরা বেরিয়ে এসে আবারও জোরেশোরে কাজে নেমে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগ, ইসিজি, এক্স-রে, প্যাথলজি বিভাগ, পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডের আশপাশে দালাল চক্রের সদস্যরা ঘুরঘুর করে। বিভিন্ন এলাকা, বিশেষ করে দূরের এবং গ্রাম এলাকা থেকে আসা রোগীদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে নানা ফন্দি-ফিকিরে আলাপ করে ভাগিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় তারা।
বহির্বিভাগে রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে করতে আসা রূপসা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, খুব সকালে হাসপাতালের ভেতর আসতেই এক লোক তাঁর বাড়ি কোথায়, কী করেন ইত্যাদি জানতে চান। তারপর জিজ্ঞাসা করেন সঙ্গে আর কেউ এসেছে কি না এবং হাসপাতালে তাঁর কোনো আত্মীয় আছে কি না। পরে তাঁকে বলা হয়, হাসপাতালের পরীক্ষা সরকারি পরীক্ষা বলে দায়সারাভাবে করা হয়, সঠিক হয় না। বাইরে থেকে ভালো পরীক্ষা করা যায়, তাঁর সঙ্গে গেলে খরচও বেশি হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের আশপাশে গড়ে ওঠা সাইনবোর্ড-সর্বস্ব ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধের দোকানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ দালাল চক্রটি তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রোগীপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কমিশনের বিনিময়ে এসব দালাল হাসপাতাল থেকে রোগী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা আত্মীয়স্বজনকে কম খরচে চিকিৎসার কথা বলে এবং কম দামে ওষুধ পাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে ভুল বুঝিয়ে অখ্যাত বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রেতার কাছে নিয়ে যায়।
ফলে অনেক নিরীহ ও সহজ-সরল রোগী প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। দালালদের খপ্পরে পড়ে হাসপাতালের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করে নিম্নমানের পরীক্ষা করতে হচ্ছে এবং তুলনামূলক বেশি দামে সাধারণ মানের ওষুধ কিনতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় নিম্নমানের রি-এজেন্ট ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি তাদের নেই কোনো দক্ষ টেকনিশিয়ান। অথচ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে দক্ষ টেকনিশিয়ান, উন্নতমানের রি-এজেন্ট। পাশাপাশি এখানে খরচও কম। এ ছাড়া যেসব ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরকারিভাবে বিতরণ করা হয় না, তা লিখে দিলে (প্রেসক্রিপশন) দালাল চক্রটি তাদের নিজস্ব দোকানে নিয়ে বেশি দাম রাখে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অখ্যাত প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের ওষুধ কিনতে বাধ্য করে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর আশপাশে বেশ কিছু প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অসংখ্য ওষুধের দোকান ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত একাধিকবার এসব ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করেছেন।
এ ছাড়া ক্লিনিকের মান ও পরিবেশ ভালো করার জন্য সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযান চালানোর পর কয়েক দিন দালালদের উপদ্রব কম থাকলেও আবার একই অবস্থা ফিরে আসে। সব মিলিয়ে অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান দালাল চক্রের উপদ্রবের কথা স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দালালদের কারণে নিরীহ রোগীরা প্রতারিত হচ্ছেন। রাতে ও খুব সকালের দিকে দালাল চক্র অধিক মাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। গ্রাম থেকে আসা নিরীহ রোগী এবং তাঁর আত্মীয়স্বজনকে ভুল বুঝিয়ে তাদের শিকারে পরিণত করে। এদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আমি নিজে, আমার চিকিৎসকেরা ও কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান চালাই। এ ছাড়া আমাদের নিরাপত্তাকর্মী ও আনসারদের রীতিমতো নির্দেশ দেওয়া আছে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও মনিটর করার।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে