কর্মস্থলে অনুপস্থিত বেতন তোলেন নিয়মিত

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২২, ০৮: ০৩
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, ১০: ০৩

কর্মস্থলে উপস্থিত না হয়েও বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে শাল্লা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

তবে এ ঘটনার পর গত সোমবার শাল্লা সদরে এসে এই কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নীলিমা চন্দকে। তদন্তকালে কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রসঙ্গের বিষয়ে আজিজুর রহমান ঘুষের দাবি করেন। যাঁরা ঘুষ দিতে ব্যর্থ হন, তাঁরা ফলাফলে এগিয়ে থাকলেও চাকরি পান না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক লিখিত বক্তব্যে তদন্ত কমিটির প্রধানকে জানান, আজিজুর রহমান ২০১৮ সালের মার্চ মাসে যোগদান করেন। কিন্তু একদিনের জন্যও কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। এমনকি বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ফলে মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়ছে।

তাঁরা আরও জানান, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও প্রতি মাসে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন এই কর্মকর্তা। আর এসবে সহযোগিতা করছেন একাডেমিক সুপার ভাইজার কালিপদ দাস।

অভিযোগের বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি কর্মস্থলে অনুপস্থিত এটা সত্য। তবে আমার নামে ঘুষের অভিযোগ উঠেছে তা ষড়যন্ত্রমূলক।’

তদন্ত কমিটির প্রধান নীলিমা চন্দ বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাবে না। কয়েক দিনের মধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত