Ajker Patrika

হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী

নীলফামারীতে ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে গতকাল শনিবার। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ এভাবে নিচে নেমে আসায় জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ।

ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভিড় করছেন। শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. গোলাম রসুল রাখি বলেন, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড় বেড়েছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগ মিলিয়ে সহস্রাধিক রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় শয্যা এবং জনবলের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। এরপরও রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

গোলাম রসুল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৬১ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৭ এবং ১০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ৪৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ভিড় কমাতে এবং শিশুদের সুস্থ রাখতে নানা পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ওয়াসিম বারী জয়।

ওয়াসিম বারী বলেন, শিশুদের শীতজনিত রোগ থেকে দূরে রাখতে হলে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। এ জন্য শিশুদের ঘর থেকে বাইরে বের না করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, গরম কাপড় দিয়ে শরীর জড়িয়ে রাখা এবং বাসি খাবার না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল সকাল নয়টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল পুরো জেলা। শুক্রবার কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় বেলা দেড়টা পর্যন্ত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকে। পরে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হলেও রাতে তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকাল নয়টার পর সূর্যের দেখা মেলায় দ্রুত কুয়াশা কেটে যায়। ফলে ফ্লাইট ওঠানামা ছিল স্বাভাবিক।

শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী লোকজন। বিশেষ করে ডিমলা উপজেলার চরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষেরা কষ্টে আছেন। সেখানে শীতার্ত মানুষের মধ্যে ৪ হাজার ৯০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে আজকের পত্রিকাকে জানান ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত